চাঁদের ফোটোগ্রাফি।
বেশ কয়েকদিন ধরে চেষ্টা করছি কিছু ফোটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। তবে সময় কুলিয়ে উঠতে না পাড়ার কারণে ফোটোগ্রাফি করতে বেশ বেগ পেতে হয় আমাকে। গতকাল রাতে হটাৎ ছাদে যেতে ইচ্ছে করে , বাবুকে কোলে করে নিয়ে ছাদে চলে যাই। যদিও সেটা হয়তো পূর্ণিমার রাত ছিল না তবে চাঁদটা দেখতে বেশ বড় এবং অনেক উজ্জ্বল লাগছিলো। তাই ভাবলাম কিছু ফোটোগ্রাফি করে নেই চাঁদটার। প্রথমে ভাবছিলাম হয়তো বেশি একটা ভালো ছবি আসবে না কিন্তু প্রথম ছবিটি দেখা পর বুঝলাম যে আমার ফোন এর নাইট মোড ফোটোগ্রাফি বেশ ভালোই আসে। যদিও চাঁদটার একদম নিখুঁত ভাবে ছবি তুলতে পারছিলোনা আমার ফোন। তাও যত টুকু পেরেছিলো ততটুকু একদমই খারাপ বলা যায়না।
ঐদিনটাতে বেশ গরম পড়েছিল। দিনের বেলা একদম আকাশ ছিল পরিষ্কার। তাই দেখে সূর্যের রশ্নি একদম সরাসরি পড়ছিলো এবং এতে করে ঘর দোয়ার বেশ উত্তপ্ত হয়ে যায়। আর সামান্য পরিমানে বাতাসও ছিল না বাইরে। তবে বিকেলের আকাশ দেখতে অনেক চমৎকার লাগছিলো। ঐদিন বিকেলে ঘুম থেকে উঠার পর বাইরে এসে আকাশের দিকে তাকালে দেখতে পাই আকাশ একদম অপরূপ সুন্দর্যে সজ্জিত হয়ে আছে। ছোপ ছোপ মেঘ দিয়ে সূর্যটা কিছুটা ঢাকা। আবার একপাশ সোনালী আবার আরেকপাশ একদম নীল। সত্যিই খুবই দারুন লেগেছিলো তখন।
যাই হোক , রাতের বেলা ছাদে যাওয়ার মূল কারণই ছিল অতিরিক্ত গরম। এই গরমে বাবুকে নিয়ে একটু বাতাস খাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে ছাদে যাই। যদিও তেমন বেশি একটা বাতাস ছিল না তবে আবহাওয়াটা বেশ ঠান্ডা ঠান্ডা ছিল। আর আকাশ একদম পরিষ্কার থাকার কারণে আকাশ ভর্তি তারা ছিল। চেয়েছিলাম সেই তারা গুলোর ফোটোগ্রাফি করতে কিন্তু ছবি তোলার পর দেখি তারা গুলো ছবিতে মোটেও বুঝা যাচ্ছে না। তাই আর তারার ফটোগ্রাফি করিনি।চাঁদের ফোটোগ্রাফি শেষে সেখানে চেয়ার নিয়ে বেশ কিছুক্ষন বসে থাকি বাবুকে নিয়ে। সত্যিই দারুন লাগছিলো তখন। নীরব নিস্তব্ধ পরিবেশ আবার সাথে এতো সুন্দর আকাশ , অনুভুতিটা বলে বুঝানোর মতো না।
মাঝে মধ্যে আমাদের এমন পরিবেশে কিছু সময় কাটানো উচিত। এতে করে আমরা সুন্দর কিছু সময় কাটাতে পারি । আমাদের উক্তেজিত মনকে সেখানে কিছুটা সময় কাটানোর মাধ্যমেই একদম শান্ত করে ফেলতে পারবো।যাই হোক , আশা করছি আপনাদের কাছে আমার আজকের এই ফোটোগ্রাফি গুলো ভালো লেগেছে। আপনাদের অসংখ্যা ধন্যবাদ।
ক্যামেরা | Xiaomi Redmi Note 10 Pro Max | |||
---|---|---|---|---|
ক্যাটাগরি | ফোটোগ্রাফি | |||
লোকেশন | শাহবাজপুর , ব্রাহ্মণবাড়িয়া। | |||
তারিখ | ২৩ /০৬/২০২৪ |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
_
বাহ্! চাঁদের ফটোগ্রাফি গুলো এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে আপু। আপনি তো দেখছি বেশ ভালো ফটোগ্রাফি করেন। রাতের বেলা ছাঁদে গিয়ে সময় কাটাতে কিন্তু দারুণ লাগে। আমিও মাঝেমধ্যে এমনটা করে থাকি। এতে করে কিছুটা হলেও এই তীব্র গরমে স্বস্তি পাওয়া যায়। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে বর্তমানে হঠাৎ যে পরিমাণ গরমের প্রভাব বেড়েছে তাতে রাতের বেলায় চাঁদের সৌন্দর্য উপভোগ করা ছাড়া উপায় নাই। সামান্য একটু লোডশেডিং হলেই আর রুমে থাকা যায় না। চাঁদের ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
রাতের আকাশ থেকে চাঁদের দুর্দান্ত কিছু ফটোগ্রাফি ধারণ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আমিও মাঝে মাঝে চেষ্টা করি চাঁদের ফটোগ্রাফি ধারণ করতে। আসলে এখন যেভাবে গরম করতে শুরু করেছে তাতে বাইরে থাকতে যেমন ভালো লাগে ঠিক তেমনিভাবে চাঁদের ফটোগ্রাফি ধারণ করতে অনেক ভালো লাগে।
গরমের জন্য ছাদে গিয়ে এমন চমৎকার রাতের আকাশ এবং চাঁদের ফটোগ্রাফি। সত্যি দারুণ লাগছে। ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর করেছেন আপু। এবং ঠিকই বলেছেন আমাদের প্রায়ই এমন সুন্দর সময় কাটানো উচিত। দারুণ ছিল আপনার করা রাতের ফটোগ্রাফি গুলো।
বেশ দুর্দান্ত কিছু চাঁদের ফটোগ্রাফি করেছেন আপু। যেগুলো দেখতে অনেক সুন্দর লেগেছে। এরকম সুন্দর পরিবেশে সময় কাটাতে আসলেই ভালো লাগে। রাতের দৃশ্য ভালোভাবে উপভোগ করা যায়। মাঝেমধ্যে বাহিরে বের হয়ে এই দৃশ্যগুলো উপভোগ করা দরকার। তবেই আমরা বুঝতে পারবো এগুলোর মধ্যে কতটা সৌন্দর্য লুকিয়ে রয়েছে। রাতের এই নির্জন সময়ে আশেপাশের দৃশ্যগুলো খুব সুন্দর থাকে। আর তখন খোলা আকাশের নিচে বসে থাকলে মনটা অনেক ভালো হয়ে যায়।
বাবুকে নিয়ে ছাদে গিয়েছেন আর সেই সুযোগে এত সুন্দর ভাবে এই ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। চাঁদনী রাত না হওয়া সত্ত্বেও আপনার ফটোগ্রাফিটা খুবই ক্লিয়ার হয়েছে আপু। আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে।
চাঁদের নিখুঁত ফটো ফোন দিয়ে তোলা আসলেই খুব মুশকিল একটা কাজ আপু। জুম লেন্সের ক্যামেরা দিয়ে তুলতে পারলে তখন ফটোগ্রাফি ভালো বোঝা যায়। যাইহোক, এই গরমকালে ছাদে গেলে একটু ভালো লাগে, এটা ঠিক। আমিও মাঝে মাঝে অতিরিক্ত গরম পড়লে ছাদে চলে যাই। আর ছাদে গিয়ে চাঁদ দেখার সুযোগ হলে তো জাস্ট অসাধারণ লাগে। তাছাড়া, ছাদে গিয়ে নীরব নিস্তব্ধ পরিবেশে সময় কাটাতে পারলে মনের মধ্যেও শান্তি লাগে।
ইদানিং অনেকটাই গরম পড়ছে আবার। গরমের জন্য বাবুকে নিয়ে রাতের বেলা ছাদে গিয়েছেন। ছাদে গিয়ে খুব সুন্দর চাঁদের ফটোগ্রাফি করেছেন আপু। নিশ্চয়ই অনেক আলো ছিল। আকাশ ভর্তি তারা চাঁদ সত্যিই অসাধারণ একটা পরিবেশ। মেঘগুলো খুবই সুন্দর লাগছে দেখতে। মনমুগ্ধকর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বাহ্ দারুন হয়েছে আপনার চাঁদের ফটোগ্রাফি টি। চাঁদ দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। রাতে মাঝে মধ্যে আমিও বাইরে গিয়ে চাঁদের সৌন্দর্য উপভোগ করি।আপনি খুবই চমৎকার ভাবে ফটোগ্রাফির সাথে সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু পোস্ট টি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু যেই পরিমান গরম শুরু হয়েছে এতে রাতের বেলা ছাদে গিয়ে বসে থাকতে ভালোই লাগে। কিন্তু আমাদের ছাদে সবসময় তালা দেওয়া থাকে আর বাড়িওয়ালা কাউকে ছাদে যেতে দেয় না। ছাদে বসে রাতের আকাশ দেখতে খুব ভালো লাগে। সেই দৃশ্য দেখতে দেখতে নিজেকে কল্পনায় নিয়ে যেতে আরও বেশি ভালো লাগে। আপনি গাছের ফাঁক দিয়ে রাতের অন্ধকার আকাশের এক ফালি চাঁদের খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে ফটোগ্রাফি গুলো করা হয়েছে বলে দেখতে আরও বেশি সুন্দর দেখাচ্ছে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।