হৃদয় আকাশে || বাংলা নাটকের রিভিউ
হৃদয় আকাশে বাংলা নাটকের রিভিউ
সবাই কেমন আছেন ? আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আজকে আমি আবারো একটি বাংলা নাটককে রিভিও করার চেষ্টা করেছি ও আপনাদের সাথে নাটকের সম্পূর্ণ কাহিনী সুন্দর ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
সবার কপালে সব সময় সবকিছু জুটেনা। ঠিক তেমনি ভালোবাসাও যে সবসময় ভাগ্যের সাথে থাকে বিষয়টিও এমন নয়। কিছু কিছু সময় ভাগ্যকে হার মানিয়ে ভালোবাসা জীবন থেকে হারিয়ে যায় হাজার চেষ্টার পরেও। আজকের এই হৃদয় আকাশে নাটকটির মধ্যে এমনই একটি হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসার কাহিনী নিয়ে নাটকটি তৈরি করা হয়েছে। হাজারো ভালোবাসার পরেও ভালোবাসার মানুষকে কাছাকাছি পেয়েও হারিয়ে ফেলেছে। আজকে আমি আমার এই পোস্টের মাধ্যমে হৃদয় আকাশে নাটকের পুরো কাহিনী নিজের মতো করে রিভিউ করার চেষ্টা করলাম। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য |
---|
নাটকের নাম | হৃদয় আকাশে |
---|---|
প্লাটফর্ম | ইউটিউব |
পরিচালক | এস আর মজুমদার |
অভিনয়ে | জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, কেয়া পায়েল ও আরো অনেকেই। |
প্রকাশিত | ১ জুলাই ২০২৩ |
সময় | ৫২:৪০ মিনিট |
নাটকের মূল কাহিনী শুরু |
---|
প্রতিটি নাটকের শুরুতে যেমনটা হয়, একটি ছেলে ও একটি মেয়ের সুন্দর প্রেম কাহিনী ও প্রেমের সময় কাটাচ্ছে। ঠিক সেই সময় মেয়ের পরিবার মেয়েকে বিয়ে দেয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগে। এদিকে ছেলে রাজনীতির সাথে জড়িত, নিজের আপন চাচা না হলেও বাবার খুব ক্লোজ বন্ধু বলে আপন চাচার থেকেও কোন অংশে কম নয়। বাবা মরে যাওয়ার পর থেকেই উনাকেই চাচা হিসেবে গ্রহণ করেছে ও ছোট বেলা থেকেই এই চাচাকে অনেক বেশি সম্মান ও শ্রদ্ধা করে। আর উনার পেছনে থেকেই ছেলেটি কাজ করে এবং এই চাচার জন্য জীবন দিতে রাজি। সামনেই নির্বাচন আর এই নির্বাচনে জেতার জন্য ছেলেটি যা যা করা প্রয়োজন সবকিছুই করছে।
এদিকে মেয়ে এসে খবর দেয় তার বিয়ে ঠিক হয়ে যাচ্ছে। পরিবারে তাদের সম্পর্কটা জেনে গেছে আর তার সাথে কখনোই সম্পর্ক মেনে নিবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। এখন তারা পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে ছেলের মুখে কথা একটাই যে সামনে নির্বাচন আর এই নির্বাচন শেষ হয়ে গেলেই তুমি আর আমি দুচোখ যেদিকে যায় সে দিকে চলে যাব। শুধু একটু সময় অপেক্ষা করো।
এরই মধ্যে একদিন মেয়েটি এসে বলে যে সামনের সপ্তাহে আমার বিয়ে। আজকে ছেলেপক্ষ এসে আমাকে দেখে গেলেই বিয়ে ফাইনাল হয়ে যাবে। চলো আমরা আজকেই বিয়ে করে ফেলি। না হয় তুমি আমাকে হারাতে হবে। ছেলেটি এই কথা শুনে কাল সকালে আসার কথা বলে ও মেয়েটিকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দেয়। আর এই দিন এই ছেলেটি রাজনৈতিক কোন এক কারণে একজনকে খুন করে আর এই খুনের দায়ে তাকে পালাতে হয় একটি রিসোর্টে। আর পালিয়ে যাওয়ার আগে সমস্ত যোগাযোগ মাধ্যম তার কাছ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় ও তার ফোন নিয়ে নেওয়া হয়। আর বন্ধ হয়ে যায় মেয়েটির সাথে যোগাযোগও।
ঠিক পালিয়ে থাকার এক মাস পর মেয়েটি তার হাজবেন্ড নিয়ে এই রিসোর্টেই ঘুরতে আসে। আর এমন এক পরিস্থিতিতে মেয়েটির সাথে দেখা হয় যে সে দেখছে তার হাজবেন্ড তার গায়ে হাত তুলছে। আর ঠিক তখনই সে দৌড়ে গিয়ে তার হাজবেন্ডের গায়ে হাত তোলে ও বলে কেন তার গায়ে হাত তুলছে। তারপর তার হাজবেন্ড বলে সে আমার বউ আমি তাকে যা ইচ্ছা তাই করব তাতে আপনি বলার কে ? আর এ কথা শুনে সে হতবম্ভ হয়ে যায় ও অবাক দৃষ্টিতে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে থাকে।
এরপর সেখান থেকে চলে গেলে কিছুক্ষণ পর মেয়েটা আবার আসে। এসে সেদিনের কারণ জানতে চাই। তখন ছেলেটি কষ্ট মনে পুরনো কাহিনী সবকিছু বলে যে আমার এই কারণেই তোমার সাথে আমি যোগাযোগ করতে পারিনি। আর তখন মেয়েটিও মেয়েটির কাহিনী বলে যে আমিও সেদিন বাসা থেকে পালিয়ে তোমার কাছে চলে গিয়েছিলাম, কিন্তু তোমার অপেক্ষায় সারাদিন কেটে গিয়েছিল তুমি আসলে না। তোমার বাসায় গিয়েছিলাম তোমার বাসার তালামারা ছিল। তারপর আকাশ ভরা লজ্জা নিয়ে আবার বাসায় ফিরে যাই আর তখনই উনার সাথে আমার পরিবার বিয়ে দিয়ে দেয়। আর সেদিন থেকেই উনি আমার উপর নির্যাতন ও অত্যাচার করে। উনি একজন ব্যবসায়ী ওনার প্রচুর টাকা উনি ব্যবসা ছাড়া আর কোন কিছুই বোঝেন না। উনার মাঝে মাঝে মাথা ঠিক থাকে না তাই আমার গায়ে প্রচুর হাত তুলে থাকে। এই কথা বলতে বলতে সে কাঁদতে থাকে।
এরপর একদিন মেয়েটিকে বলে যে আমরা চাইলে আবারো এক হতে পারি। তুমি তোমার স্বামীকে ডিভোর্স দাও আর আমি চাচার কাছে গিয়ে আমার পাওনা টাকা গুলো নিয়ে তোমাকে নিয়ে চলে যাবো অনেক দূর। মেয়েটি প্রথম দিকে কোন কথা না বললেও একটা পর্যায়ে স্বামীকে ছেড়ে যেতে বাধ্য করে। এর মধ্যে একজন এসে ছেলেটিকে হত্যা করার চেষ্টা করে। তারপর সে পিস্তল ঢেকে কে পাঠিয়েছে জিজ্ঞাসা করলে বলে যে আপনার চাচাই আমাকে পাঠিয়েছে আপনাকে মারার জন্য। কথাটি বিশ্বাস করতে না পেরে সে নিজেই তখন রিসোর্ট ছেড়ে চাচার কাছে যায় ও কারণ জানতে চাই। এরই মধ্যে চাচার সাথে থাকা আরেকজন পিছন থেকে তাকে গুলি করে মেরে ফেলে। আর এদিকে বেচারী স্বামীকে ছেড়ে স্বামীহারা হয়েছে আবার এদিকে ভালোবাসার মানুষকে কাছে পেয়েও হারিয়েছে। জানিনা শেষ পরিণতি মেয়েটির হয়েছিল বা কি হতে পারে। তবে এই নাটকের সমাপ্তি এখানেই ঘটে।
ব্যক্তিগত মতামত |
---|
ভালোবাসার কাহিনী গুলো অসমাপ্ত থেকে গেলে খুবই কষ্টদায়ক মনে হয়। এই গল্পে ভালোবাসা হারিয়ে যাওয়ার পরেও যেন নতুন করে ফিরে পেয়েছিল কিন্তু এভাবেই যে আবারও হারিয়ে যাবে তা কখনোই ভাবতে পারিনি। মেয়েটির জীবন এখন এমন এক জায়গায় এসে আটকে গেছে যেন সমুদ্রের মাঝখানে সে হাবুডুবু খাচ্ছে। না পারছে একুল যেতে যা পারছে সেকুল যেতে। কিছু ভালোবাসা সত্যি অনেক নিষ্ঠুরতার পরিচয় দিয়ে থাকে, যা কখনোই কাম্য নয়। নিচে দেয়া লিংক থেকে নাটকটি দেখে নিতে পারেন।
নাটকটির ইউটিউব লিংক |
---|
নাটকটি দেখেছি অনেক আগে। নাটকটির গল্প টি ছিলো একটু ভিন্ন রকম। প্রথমের দিকে দুজন দুজনকে পায় পরে আবার হারিয়ে ফেলে আবারো শেষের দিকে পায়। পরে আবারো হারিয়ে যায়। পরিচালক ভিন্ন রকম একটি নাটক উপহার দিয়েছেন। অপূর্বের নাটক গুলো ভীষণ ভালো লাগে ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
যদিও নাটকটি দেখা হয়নি তবে আপনার রিভিউ পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো।অবশ্য অপূর্ব ও কেয়া পায়েলের এক সাথে অনেক নাটকই দেখা হয়েছে। এই নাটকটিও সময় করে দেখবো।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, এত সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি নাটক রিভিউ এর মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। আসলে নাটকটি কিছুদিন আগে মুক্তি পেয়েছে আমিও নাটকটি ডাউনলোড করে আমার মোবাইল ফোনে রেখে দিয়েছি কিন্তু এখনো দেখা হয়নি আমার দেখার আগে আপনার রিভিউ পোস্ট পড়ে আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো আপু। বর্তমানে অপূর্ব ও কেয়া পায়েল এর নাটক গুলো দেখতে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। আসলে এখনকার বেশিরভাগ নাটকেই ভালোবাসার কাহিনী গুলো অসমাপ্তর মাধ্যমে রেখে দেয় তাই নাটকগুলো দেখতে বেশ চমৎকার লাগে আমার কাছে মনে হয়। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি নাটক রিভিউ এর মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য।
অসম্ভব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ করেছেন আপু।আসলে সময় স্বল্পতার কারণে এখন নাটক দেখা হয়না। তবে নাটকটি বেশ ভালো ছিল ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন সর্বদায়।
আপু আপনি খুব চমৎকার ভাবে এই বাংলা নাটকটির রিভিউ করেছেন। হৃদয় আকাশে নাটকটার রিভিউ পড়ে খুব ভালো লেগেছে। আসলে ভালোবাসার মানুষটাকে পাওয়ার পরেও হারিয়েছে, আর এই বিষয়টা সত্যি অনেক বেশি কষ্টদায়ক যা কখনোই মেনে নেওয়া সম্ভব না। কেয়া পায়েল এবং অপূর্বের নাটকগুলো সব সময় খুব সুন্দর হয়। তাদের দুজনের নাটক দেখতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আপু আমি সময় পেলে অবশ্যই চেষ্টা করব এই নাটকটা দেখে নেওয়ার জন্য।
আপু নাটকের রিভিউটি চমৎকার হয়েছে। আমার খুব ভালো লেগেছে। নাটকটি আমি সামান্য দেখেছিলাম।আজ আপনার রিভিউ পড়ে আবার দেখবো বাকিটুকু ভাবছি।তবে খুব খারাপ লাগলো আসলে মেয়েটির জন্য। মেয়েটির এই অবস্থা আসলেই কষ্টকর। খুব সুন্দর ভাবে নাটকের রিভিউ পোস্ট শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
অপূর্ব নাটক গুলো দেখতে আমার কাছে খুবই দারুণ লাগে। হৃদয় আকাশে নাটক টি দেখা হয়নি।তবে আপনার করা পোস্ট নাটক রিভিউ পড়ে খুবই ভালো লেগেছে আপু ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করার জন্য।