বাহারী সয়া কারি (১০%@shy-fox এবং ৫%@abb-school এর জন্য)
নমস্কার
জানি নামটা শুনে অনেকেরই অপছন্দ হবে কিন্তু সোয়াবিন আমার মত করে রান্না করলে সত্যিই খুব টেস্টি হবে একেবারে রেস্টুরেন্টের মত স্বাদ আসবে আমি বাজি ধরে বলতে পারি। আমি খুব অল্প এবং সহজলভ্য উপকরণ ব্যবহার করে খুব সহজ পদ্ধতিতে কিভাবে এই সোয়াবিনটি রান্না করেছি চলুন আপনাদের সাথে শেয়ার করে নি।
সবার প্রথমে আমি উপকরণের তালিকাটি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি।
১)ভালো কোম্পানির সোয়াবিন (১৫০গ্রাম)
২)সরষের তেল (৪টেবিল চামচ)
৩)টক দই (১০০গ্রাম)
৪)জিরা গোটা ও গুঁড়ো (১চা চামচ করে)
৫)ধনেগুড়ো (১চা চামচ)
৬)কাঁচালঙ্কা (১০ -১২ টা)
৭)হলুদ (১ চা চামচ)
৮)নুন স্বাদমতো
৯)চিনি স্বাদমতো
১০)কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়া (২ চা চামচ)
১১)টমেটো (২টা )
১২)ধনেপাতা (২ টো গাছ)
১৩)ক্যাপসিকাম (১টা ছোট)
১৪)চারমগজ(১টেবিল চামচ)
১৫)আলু (২টো মাঝারি সাইজের)
১৬)আদা (১ইঞ্চি)
১৭)গরম মসলা(২ চা চামচ)
অনেকেই বলেন সয়াবিন রান্না করলে তেমন সুস্বাদু হয় না, অথবা রান্নার পর শক্ত হয়ে যায়, খেতে স্বাদ লাগে না। তাদের জন্য বলছি আমি যেভাবে সয়াবিন টা রান্নার জন্য তৈরি করে নিই, আপনারাও সেই একই পদ্ধতি অনুসরণ করুন, ভালো হবেই।
ধাপ১
প্রথমে নুন সহযোগে সয়াবিন গুলো ভালো করে সেদ্ধ করে নিতে হবে, তারপর জল ছেকে তুলে নিয়ে ঠান্ডা জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে কিছুক্ষন। সয়াবিন গুলি ঠান্ডা হয়ে গেলে জল থেকে যতটা সম্ভব চেপে চেপে তুলে নিতে হবে।
এর পর কড়াইতে এক টেবিল চামচ তেল দিয়ে সয়াবিন টাকে ভেজে নিতে হবে, ভাজার সময় এতে প্রয়োজন মত নুন, অল্প চিনি, সামান্য হলুদ গুঁড়ো কিছুটা লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে ভেজে নেবেন , নামানোর আগে গুঁড়ো গরম মসলা ছড়িয়ে মিশিয়ে নেবেন। নামানোর পর ফেটানো টক দই দিয়ে সয়াবিন গুলি ম্যারিনেট করে রেখে দিন। এই পর্যন্ত করলেই সয়াবিন রান্নার জন্য মোটামুটি তৈরি।
ধাপ ২
রেস্টুরেন্ট স্টাইলে রান্নার জন্য আমি একটু বিশেষ ভাবে মসলা তৈরি করেছি
কড়াইতে এক টেবিল চামচ তেল দিয়ে প্রথমে টুকরো করে রাখা টমেটো,আদা, ক্যাপসিকাম, কাঁচা লঙ্কা দিয়ে ভাজতে হবে, একটু ভাজা ভাজা হয়ে এলে এতে চারমগজ এবং ধনেপাতা দিয়ে নেড়ে চেড়ে নামিয়ে ঠাণ্ডা হতে দিন।
ঠান্ডা হয়ে গেলে মিশ্রণটি মিক্সী তে দিয়ে একটা স্মুথ পেস্ট তৈরি করে নিন।
ধাপ ৩
এরপর আলু গুলো ছুলে টুকরো করে নিন, এবং অল্প নুন ও হলুদ দিয়ে কিছুটা সেদ্ধ করে নিন।
মোটামুটি রান্নার প্রথম দিকের ধাপ গুলি কমপ্লিট, এবার মেইন রান্না চাপানোর পালা।
ধাপ৪
একটি কড়াই গ্যাসে বসিয়ে বাকি তেল টুকু দিয়ে গরম হওয়ার অপেক্ষা করুন, গরম হলে তাতে গোটা জিরে ফরন দিন এবং সাথে টুকরো করা আলু গুলো দিয়ে ভাজতে থাকুন।
ভাজা কিছুটা হলে পরে এক এক করে গুঁড়ো মশলা গুলো অ্যাড করতে থাকুন। তারপর আপনার বানানো সেই রেস্টুরেন্ট স্টাইল স্মুথ পেস্ট টা দিয়ে দিন। তারপর প্রয়োজন মত নুন মিষ্টি দিয়ে ভালো ভাবে কসতে থাকুন, এই পর্যায়ে ম্যারিনেট করা সয়াবিনটাও অ্যাড করে দিন।
ধাপ ৫
এরপর সমস্ত ব্যাপারটিকে ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে গরম জল দিয়ে দিন। রান্নায় গরম জল দিলে তার স্বাদ বৃদ্ধি পায়।
কিছুক্ষন ফুটতে দিন এবং জলটা কিছুটা টেনে গেলে ওপর থেকে গরম মশলা ছড়িয়ে দিন। ব্যস তৈরি, রেস্তোরার মত
লাজাবাব বাহারী সয়া কারি।
আপনার বাহারি সয়া কারি রান্নার রেসিপি আমার কাছে ইউনিক মনে হয়েছে। রান্নার রঙ অনেক সুন্দর এসেছে। দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজা হবে। চারমগজ মশলা আমার কাছে নতুন মনে হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
রান্নার মজা চার মগজ দিলেই আসবে, ট্রাই করবেন।
ভাইয়া আপনার শেয়ার করা রেসিপির কালার কিন্তু দারুণ এসেছে। দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। এভাবে কখনো সয়া রান্না করে খাওয়া হয়নি। আপনার কাছে নতুন রেসিপি শিখতে পেরে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি সব সময় চেষ্টা করি একটু আলাদা কিছু ট্রাই করতে, আপনার ভালো লেগেছে শুনে ভালো লাগলো
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। একদিন বানিয়ে দেখবেন কথা দিচ্ছি ভালোলাগবে
আমি হোস্টেলে থাকি, তাই সয়াবিনের তরকারিটা বেশিরভাগ সময় খেতে হয়। সে সূত্রের সয়াকারি টা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বেশ ভালো লাগলো আপনার রেসিপি দেখে। খুব সুন্দরভাবে তৈরি করেছেন।
তাহলে একবার ট্রাই করবেন, অনেক মজাদার হবে।
আপনি খুবই ইউনিক একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। দেখে তো মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু এবং ইয়াম্মি হয়েছে আপনার বাহারি সয়া কারি রেসিপি। খুবই ভালো লাগলো আপনার রেসিপি দেখে। সকলের মাঝে উপস্থাপনা করি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাদের মূল্যবান বক্তব্য আমায় আরও উৎসাহিত করে, ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি খুব অসাধারণ একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। খুব লোভনীয় পোস্ট পিসিবি কালার দেখে মনে হয় খুব সুস্বাদু হবে।বাহারী সয়া কারি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব অসাধারণ ভাবে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনাকে ধন্যবাদ, আশা করছি একদিন বানিয়ে দেখবেন
আপনি খুবই অনেক একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনি ঠিকই বলেছেন অনেকে বলে থাকে সয়াবিন রান্না করলে কেমন সুস্বাদু হয় না। কিন্তু আমার কাছে খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে প্রত্যেকটি কথা তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।