নাগরিক জীবনের অবসাদ ও স্বাস্থ্য সচেতনতার বার্তা

🗓️📌 তারিখ : ২৮.০৬.২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , শুক্রবার।

হ্যালো বন্ধুগণ, সবাই কেমন আছেন ?

আশা করি ভালোই আছেন আর বিভিন্ন বিস্তর কর্মযজ্ঞের মধ্য দিয়ে সময় বেশ ভালোই কাটছে। আজ বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষাভাষী জনসংখ্যার একটি বড় অংশের জন্য সাপ্তাহিক ছুটির দিন। তাই রূটিনসিদ্ধ কার্যক্রম না থাকায় বেশ কিছুটা অবসর সবারই আছে কমবেশি।

মানুষ সাধারণত ছুটির দিনে খুব বেশি একটা সময় ব্যয় করে না ব্যস্ততার যে ধারাটি চলছে জীবনের পাশ ঘিরে, যদিও এর ব্যতিক্রমও আছে। খুব বেশি জীবনের প্রয়োজন না হলে আমি পরামর্শ দেব আপনি অন্তত সপ্তাহের একটি দিন বিনোদন পর্বের জন্য নির্ধারিত রাখুন, এটি লাইফস্টাইলের মধ্যে বৈচিত্র্য নিয়ে আসবে।

বিষয়টিকে সবসময় দেখা যায় আমরা গুরুত্ব দেই না।

Src

জীবনের যে প্রয়োজন জীবিকাকে ঘিরে বেড়ে ওঠে, তার মধ্যে একটি নিয়মানুবর্তিতা থাকে, তা অল্প হোক কিংবা বেশি। শহর কিংবা নগরজীবনের দিকে তাকালে এ দৃশ্যটি খুব সহজেই চোখের সামনে ভেসে উঠবে৷ শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার এই দিনগুলোতে কেউ বিদ্যার্জনের তাগিদে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছে, কারো বা পেশা, বৃত্তি ছড়িয়ে রয়েছে, মানুষের ঢল নামা শহরে চাকরি -বাকরি, ব্যবসা বাণিজ্যের সন্ধানে ব্যস্ততার পালা বেয়ে ঢল নেমেছে মানুষের।

এটি একটি নিত্যকার চিত্র আর সমাজবাস্তবতা। হয়তো সবার জীবনের অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা সমান নয়, কারো ক্ষেত্রে নানা টানাপোড়েন ও উদ্যোগ লেগেই আছে। যেহেতু জীবনের একটি বড় অংশে চাওয়া পাওয়ার মাপকাঠি বেশি থাকে, ন্যায়সঙ্গতভাবে জীবনের ধর্ম হওয়া উচিত কীভাবে সিঁড়ি বেয়ে ধীরে ধীরে উন্নত অবস্থায় পৌঁছানো যায়, দিনের পর দিন, রাতের পর রাত, এভাবেই সময় বয়ে চলে।

এই প্লাটফর্মে যেহেতু অধিকাংশ পাঠকমণ্ডলী তরুণ ও প্রৌড়ত্ব বয়সের প্রতিনিধিত্ব করে সেক্ষেত্রে কর্মজীবনের ক্ষেত্র সকলের মাঝেই বিন্যস্ত আছে। কমবেশি সবারই বিভিন্ন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সাধনের তাগিদ থাকবে, আবার কারো ক্ষেত্রে সরলরেখার গতিপথের সরল জীবনের হিসাব ক্যারিয়ারকে জড়িয়ে ধরবে, কিন্তু তারপরেও অবসরের দিনে যখন কিছুটা সময় হাতে আসে তখন সবারই মননশীল স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল করা উচিত।

বেশ কয়েদিন ধরেই বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায়, পত্রিকায় আর গণমাধ্যমে দেখেছি প্রায়শই হতাশা,অবসাদ, ডিপ্রেশন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলাপচারিতা, সংবাদ প্রকাশ আর মানুষের মতামত জানানোর ধুম পড়ে যাচ্ছে।

Src

যে বিষয়টি নিয়ে বিস্তর পরিসরে কথাবার্তা চলছে, হাইলাইট করা হচ্ছে কোন কোন ক্ষেত্রে তা ব্যাক্তিগত জীবনকে ঘিরে ধরে - এ সামগ্রিক বিষয়টি দেখার পর কিছু কথা যোগ না করে পারছি না।

প্রথমত, হতাশা ও অবসাদ একটি মানুষের জীবনে স্বাভাবিক মানসিক অবস্থা যা যেকোন সময় মনোজগতের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে। সাফল্য -ব্যর্থতার বিষয়টি জড়িয়ে তো রয়েছেই, তাছাড়া কখনো দেখা যায় মানুষ ব্যর্থতার কারণে খুব বেশি হতাশ হয়ে যায়। হতাশার পালা বয়ে ঘনিয়ে আসে অবসাদ, আর তা কখনো কখনো ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনে রূপ নেয়।

নাগরিক জীবনে একটি দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করার পর যেটি বুঝতে পারলাম তা হলো, হাসিখুশি থাকা আর আপনজন, প্রিয় মানুষের সান্নিধ্য লাভ করা ও বঞ্চিত থাকার মধ্যে একটি বিস্তর ফারাক রয়ে যায়। প্রথমটিতে মানুষ উৎফুল্ল, হাসিখুশি থাকতে পারে যা একটি স্বাস্থ্যকর মন বজায় রাখতে সাহায্য করে ; দ্বিতীয়টিতে খুব সহজেই হতাশা, অপ্রাপ্তির বেদনা বিষাদ ঘিরে ধরে যা অবসাদে জীবনকে ভীড়াতে ইন্ধন জোগায়।

সর্বোপরি তাহলে বলতে হয়, আপনি নিজের মনকে উৎফুল্ল রাখার জন্য কি করেছেন? অথবা, ব্যক্তিগত জীবনে মানসিকভাবে সুখী থাকার জন্য আপনার এ সপ্তাহের পরিকল্পনা কি ?

Src

সবসময়ই সব পর্যায়ে এসেই জীবনের চাওয়া পাওয়ার পরিধি বাড়তেই থাকবে, তাই সেদিকে মনোনিবেশ না করাই উত্তম৷ ছুটির দিনে বিনোদনমুখর হওয়া কিংবা হালকা ছুটি কাটিয়ে আসার মধ্যে একটি অদৃশ্য প্রাপ্তিযোগ আছে যা অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। অবসর দিনের বিকেলে কোন একটি নিকটস্থ পার্কে ঘুরে আসতে পারেন, নয়তো চিড়িয়াখানায় কিংবা ইকোপার্ক।

নগরে বসবাস হলে নগরউদ্যানে বেশ ভালোই সময় কাটবে। এটি নাগরিক কোলাহল আর ব্যক্তিগত দুশ্চিন্তা থেকে নিজেকে মুক্ত করতে সাহায্য করবে। নানাবিধ অপূর্ণতার মধ্য থেকে পূর্ণতা পাওয়ার দিক থেকে অনেকদূর, অনেকটা পথ এগিয়ে দিবে।

শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য ধন্যবাদ, আমার এই সামান্য পরামর্শ আপনাদের উপকারে আসলেই সার্থকতা খুঁজে পাব।

নিজের সম্পর্কে কিছু কথা

(