RE: আমার চোখে মুর্শিদাবাদের খোশবাগ। বাংলার এক জমানো অভিমানের আঁতুড়ঘর৷
বাহ! আজ আপনার পোস্টটি পড়ে যেন স্টিমিটে এ যাবতকালের যতগুলো পোস্ট পড়েছি সবচেয়ে ভালো লেগেছে এটি। লেখার সৌন্দর্যের জন্য নয়, প্রিয় নবাব সিরাজের সমাধি আর তার প্রিয় নানার সমাধির চিত্ররূপ তুলে ধরেছেন।
খুব খারাপ লাগছে, মীর জাফরের কবর আজ কত সমাদর পেয়ে চারপাশ অলঙ্কৃত করে রাখা আছে। অথচ বাংলার শেষ স্বাধীন নবাবের, আমার সবচেয়ে প্রিয় ঐতিহাসিক চরিত্রের বেলায় জুটলো অবিরাম অবহেলা । এ কষ্ট কাকে বোঝাই ?
বাংলার স্বাধীনতাটুকুু টিকিয়ে রাখার জন্য সিরাজ কি না করেছে, বারবার বিশ্বাসঘাতক সিপাহসালারকে বিশ্বাস করে আখেরে ঠকেছেন। চরম প্রতিদান দিল তার পাত্র অমাত্যরা।
ইতিহাস পুরোটা সত্য তুলে ধরে না, তাই তো ইতিহাস। কিন্তু যখন অনুমান করে বুঝতে পারি, সিরাজকে ধরে বেঁধে ইংরেজরা নিয়ে যাচ্ছে, লর্ড ক্লাইভ বলে গেছে, ' যদি আশেপাশের প্রজারা বা মানুষরা একটি করে ঢিল ছুড়তো, বাংলার স্বাধীনতা তখনো অক্ষুন্ন থাকতো৷!
মস্ত বড় আফসোসের কথা ! 🥲
যা হোক, যা হবার তা তো ঘটতোই। মুর্শিদাবাদ তথা খোশবাগে একদিন যাবই যদি কলকাতা যাওয়ার সৌভাগ্য হয় বাংলাদেশ থেকে। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতি আহবান থাকবে, অনুরোধ একজন বাঙালি হিসেবে যেন সিরাজউদ্দৌলার স্মৃতি রক্ষার্থে ওনারা যত্নবান হোন।
এমন ঐতিহ্য যাতে কখনোই না হারিয়ে যায় কালের বিবর্তনে।
অনেক ধন্যবাদ। লেখাটি পড়ে সত্যিই অনেক ভালো লেগেছে, ❤️
অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর করে বিস্তৃত আকারে মন্তব্য করবার জন্য। আমি মুর্শিদাবাদ গেলে হারিয়ে যাই। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে তুলে আনার চেষ্টা করি সঠিক ইতিহাস। কিন্তু বর্তমানে সঠিক ইতিহাস বিকৃত। সব নবাবের সব স্থাপত্য না পেলেও কিছুটা আন্দাজ করা যায় যে মুর্শিদাবাদ ঠিক কেমন ছিল তখন। অবশ্যই আসবার আহ্বান জানালাম। নিজের সুবিধামতো কলকাতায় এসে সেখান থেকে মুর্শিদাবাদ ঘুরে যাবেন। স্বাগতম।