ভাপা পিঠা 🥰
হেলো বন্ধুরা
সবাই কেমন আছেন আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আমি @ashik333 বাংলাদেশ থেকে বলছি চলে এলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে আমার আজকের ব্লগে থাকছে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।চলুন শুরু করি আজকের ব্লগ।
ভাপা পিঠা শিতের এক মজাদার পিঠা।খেজুর রস গাছ থেকে সংগ্রহ করে সেটা আগুনে জালিয়ে জালিয়ে বানানো হয় গারো ঘনো তরল এর পরে ছাচে বসিয়ে ৩-৪ ঘন্টা রেখে বানানো হয় পাটালি গুর। আর সেই পাটালি গুর দিয়েই বানানো হয় ভাপা পিঠা।একটা মজার বিষয় হলো পাটালি ছাড়া আপনি ভাপা পিঠা খেতে পারবেন না।শুধু পাটালি গুরেই হয় এই সুস্বাদু পিঠা।
চাউলের গুরা আর খেজুর পাটালি মিলিয়ে বানানো হয় ভাপা পিঠা শিতের সকালে চুলার পাশে বসে মায়ের হাতের ভাপা পিঠা খাওয়ার মজা অন্য রকম এটার অনুভূতি বলা যায়না।আমাদের শৈশবে অনেক ঘটনা রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ভাপা পিঠা খাওয়ার গল্প।আম্মুর সাথে ঢেকিতে চাউল কোটা এরপরে পিঠা বানানোর জন্য সেই গুরা হালকা পানি দিয়ে মিশিয়ে চালানি দিয়ে চালা।চালার পরে ছোট ছোট ঢাকুনে সেই গুরা অরধেক ভরে মাঝে পাটালি গুর দিয়ে আবারো চাউলের গুরা দিয়ে বসানো হতো গরম পানির ভাপে।কয়েক মিনিট পরেই হয়ে যেতো পিঠা।
অসাধারণ স্বাদের এই পিঠা এতোই মজা আমার কাছে বেশি মজা লাগলো এই পিঠা শক্ত হয়ে গেলে কামরে কামরে খাওয়ার সময়।এখন বড় হয়ে যাওয়ার ফলে সেই আগের মতো মায়ের পাশে বসে আর পিঠা বানানো হয়না খাওয়াও হয়না কাজের ব্যাস্ততা আমাদের কে এইসব আনন্দ থেকে দূরে ঠেলে দিয়েছে।শিতের আবহাওয়া দেশে বিরাজ করছে কিছুদিন পরে পিঠা পুলির আয়োজন ও শুরু হবে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
0.00 SBD,
1.15 STEEM,
1.15 SP
একদমই তাই শীতকালের এই বিখ্যাত ভাপা পিঠা কেবলমাত্র খেজুর গুড়ের সাথেই ভালো লাগে। আপনার ভাপা পিঠা দেখে তো মনে হচ্ছে দারুন খেতে হয়েছিল। গ্রামের দিন গুলো মনে পড়ে যায়। ভীষণ লোভনীয়।
অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
শীতকাল মানেই ভাপা পিঠা।আর সেই সাথে বর্তমান নবান্ন উৎসব চলছে গ্ৰাম এলাকা গুলোর মধ্যে।আমি গত বছর আমার মায়ের হাতে তৈরি করা ভাপা পিঠা বেশ কয়েকদিন খেয়েছিলাম। তবে, এবছর এখন পর্যন্ত কোন দিন খাওয়া হয়নি। আশা করছি খুবই তাড়াতাড়ি খেতে পারবো।
শীত পুরো পুরি ভাবে পরতে শুরু করলেই খাওয়া হবে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া শীতের সকালে চুলার পাশে বসে মায়ের হাতে তৈরি করা ভাপা পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। এমনিতেও শীতের সকালে গরম গরম খাবার খেতে বেশ ভালো লাগে চুলার পাশে বসে। আমরা তো বেশিরভাগ শীতে আগুন জ্বালায়। আপনার শেয়ার করা পিঠার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার কিন্তু ভীষন খেতে ইচ্ছে করছে। শীতে আসতেই ভাবো পিঠা খেয়ে নিলেন খেজুরের গুড় দিয়ে।
অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ভাপা পিঠা খাওয়া হয়ে গেল তাহলে। আমি এবছর এখনো পিঠা খাই নি। ভাপা পিঠা আমার খুব পছন্দের একটা পিঠা। গুড় দিয়ে ভালই লাগে খেতে। পিঠাগুলো দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে।
শীতকালীন মজাদার পিঠা এই ভাপা পিঠা। আমার তো অনেক পছন্দের এই পিঠা।পাটালি গুড় দিয়ে ভাপা পিঠা খেতে দারুণ লাগে।আপনার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে শৈশবের ভাপা পিঠা বানানো ও খাওয়ার জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।
ধন্যবাদ দিদি সুন্দর মন্তব্যের জন্য ।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিদিন নির্দিষ্ট কিছু টাস্ক কমপ্লিট করতে হবে, না হলে কিউরেশন হবে না।
https://steemit.com/hive-129948/@rex-sumon/very-important
ভাইয়া আমি তো টাস্ক গুলো কম্পলিট করছি ডেইলি।
প্রতিদিনের টাস্কের স্কিনশর্ট আপনার প্রতিদিনের পোস্টের নিচে দিতে হবে।
ভাইয়া আপনি ভাপা পিঠা নিয়ে আপনার যে অনুভূতি তা খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। শীতের সময়ে মায়ের হাতের তৈরি এই পিঠা নিয়ে সবার মনেই অনুভূতি রয়েছে। সেই সময়টা যেনো হারিয়ে গিয়েছে। আমরা বড় হয়ে গিয়েছি,যার যার মতো করে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। কিন্তু স্মৃতি গুলো সবসময়ই রয়ে যাবে মনের গভীরে। আপনার লেখা পড়ে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেলো। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
কমিউনিটিতে শীত না আসতেই শুরু হয়ে গেছে পিঠার সমাচার। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে ভাপা পিঠা সর্বপ্রথম দেখতে পেলাম কমিউনিটিতে। বেশ মজা করেই খেয়েছেন বুঝলাম। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।