আমার টিউশন লাইফ
আমাদের পরিবার আর্থিকভাবে একটু অসচ্ছল হওয়ায় ছোটবেলা থেকেই নিজের উপার্জন আমার নিজেকেই করতে হয়েছে। নিজের টাকা নিজেই ইনকামের মধ্য দিয়েই টিউশন এর সাথে পরিচিত হই। ছোটবেলায় বাবা এবং পরিবারের বড় ভাইদের কাজে সহায়তা করলেও পড়ে গিয়ে নিজে ইনকাম করা শুরু করে দেই।
সপ্তম শ্রেণীতে থাকা অবস্থায় আমি প্রথম টিউশনি শুরু করি। প্রথমদিকে আমি প্রাইমারি স্কুলের ছেলেমেয়েদের বাসায় গিয়ে টিউশনি পড়ানো শুরু করি। পরে আমি টিউশন এর জন্য বাসায় না গিয়ে নিজেই একটি প্রাইভেটের ব্যাচ খুলি। আমি প্রথমে আমার গ্রামে প্রাইভেট পড়ানো শুরু করেছিলাম। প্রাইভেট পড়ানোর ফলে ছোট বাচ্চাদের সঙ্গে ভালো একটা ভাব জমে ওঠে। তারা আমার জন্য প্রায়ই বাসা থেকে খাবার রান্না করে নিয়ে আসত। সপ্তম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত গ্রামে প্রাইভেট পড়তাম। এই তিন বছরে জমানো টাকা দিয়ে আমি আমার বাবা মাকে অনেক সাহায্য করি। এরপর মাধ্যমিক পাস করার পর চলে যায় বগুড়ায়। উচ্চমাধ্যমিকে যে কলেজে ভর্তি হয়েছি সেখানে আমি আমার টিউশনির টাকা দিয়েই ভর্তি হয়েছিলাম। বগুড়া যাওয়ার পর প্রথম দিকে কলেজের বেতন ও মেস ভাড়া দিতে খুব কষ্ট হচ্ছিল। বাড়ি থেকে আমাকে খুব একটা আর্থিক সহায়তা দেয়া হতো না। বগুড়ায় থাকার আর কিছুদিন পর একটা টিউশনি যোগাড় করে ফেলি। পরবর্তীতে আস্তে আস্তে আমার টিউশনির ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বেড়ে যায়।
অনেক সময়ে বেশি টাকা খরচ করি। টিউশনি করলে টাকা ইনকাম করার গুরুত্ব বোঝা যায়। ফলে বেহিসেবি টাকা খরচ করা কমে যায় এবং মিতব্যয়ী গুন লাভ করা যায়।
একটা জিনিস হচ্ছে আমাদের ছেলেদের কিন্তু মাথায় একটা জিনিস ঢুকিয়ে দেওয়া হয় নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। তেমনি আর টিউশনি করাও ভালো একটি দিক। আপনি নিজেও সচল হচ্ছেন। নিজের টাকা ইনকাম করতে পারবেন আর্থিক ভাবে নিজেও সচল ভাবে জীবন যাপন করছেন। এটি খুবই ভালো লাগছে। আপনি অনেক কষ্ট পরিশ্রম করে কাজ করছেন। আপনার জন্য দোয়া রইল আপনি যেন সফল হতে পারেন।
আমার জন্য দোয়া করবেন ভাই।আমি যাতে ভবিষ্যতে সফল হতে পারি।
সপ্তম শ্রেণী থেকে টিউশনি করার ছেলেটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং আসলেই মৃতব্যয়ী হওয়া যায়। কারণ টাকা ইনকাম করার কষ্ট টা খুব ভালোভাবে বোঝা যায়। আপনার বানান গুলো আরেকবার একটু চেক করে নেবেন
ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
আপনার জীবনের কথাগুলো পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনি জীবনে অনেক কষ্ট করেছেন। কিন্তু এই কষ্টই একসময় আপনাকে সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে দেবে। শুধু আপনাকে লেগে থাকতে হবে। হাল ছেড়ে দেয়া যাবে না। আপনার জন্য আমার পরামর্শ আপনি অতি দ্রুত মার্কডাউনের ব্যবহার শিখে নিন। আর চেষ্টা করবেন পোস্ট গুলিতে আরো বেশি সংখ্যক ছবি যোগ করার। আর ছবির সঙ্গে অবশ্যই w3word লোকেশন লিংক দিবেন।তাহলে আপনার পোষ্টের কোয়ালিটি অনেক ভাল হবে। আপনার জন্য শুভ কামনা। ধন্যবাদ আপনাকে।
গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
জীবনে সংগ্রাম করে বড় হয়েছেন এবং আরও সংগ্রাম করে সামনে এগিয়ে যাবেন। এটাতেই আপনার সার্থকতা আসবে। যারা বাবার টাকা পড়াশোনা করছে, তাদের থেকে আপনি টিউশনি করে যে কত দূর এগিয়ে যাবেন তা আপনি বুঝতে পারবেন যে কোন সরকারি প্রফেশনাল চাকরির পরীক্ষায়। নিজের সক্ষমতা বাড়াতে টিউশনি খুবই উপকারী
ধন্যবাদ ভাই।আমার জন্য দোয়া করবেন।
অনেক সুন্দর এবং শিক্ষনীয় পোস্ট। একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে বড় হতেই ইনকামের কথা মাথায় রাখতে হয়। তবে আপনি অনেক কষ্ট করে ইনকাম করেন। আপনার জন্য দোয়া ও ভালোবাসা রইলো