ফটোগ্রাফি: প্রকৃতির সুন্দর দৃশ্য।
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১৩ ই জানুয়ারি, সোমবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কভার ফটো
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমরা সবাই আমাদের চারপাশের প্রকৃতিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আমার কাছে মনে হয় প্রকৃতি আমাদের জীবন প্রকৃতি আছে বলেই আমরা জীবিত আছি। আর এই প্রকৃতিকে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখার দায়িত্বটাও আমাদের। প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য আমাদের প্রত্যেকের হৃদয়কে মুগ্ধ করে। প্রকৃতির সাথে সুন্দর সময় কাটাতে আমরা সবাই অনেক পছন্দ করি। আমি গ্রামে গেলে সব সময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝেই ঘুরে বেড়ায় আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমার ফোনের ক্যামেরায় বন্দি করে রাখি। ব্যক্তিগতভাবে প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে ভীষণ পছন্দ করি আর ফটোগ্রাফির ভেতরেই আনন্দ খোঁজার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন সময়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি করেছি যেগুলো আমি এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। তাহলে চলুন দেরি না করে আমার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আসি।
প্রথম ফটোগ্রাফি
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ৯ ই জানুয়ারি ২০২৫ খ্রিঃ
লোকেশন: কুষ্টিয়া
আমার প্রথম ফটোগ্রাফিতে রয়েছে শিশির ভেজা ঘাসের দৃশ্য। কয়েকদিন আগে সকালে ঘুম থেকে উঠে ফটোগ্রাফি করার জন্য মাঠের দিকে গিয়েছিলাম। শীতের সময় এ ফটোগ্রাফি করার সব থেকে সুন্দর জায়গা হলো মাঠ। শীতের সকালে ঘাসের উপর জমে থাকা শিশির ফোটা গুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। এরকম সুন্দর দৃশ্য দেখে ফটোগ্রাফি না করে আর থাকা যায় না। যদিও বাস্তবে দেখার থেকে মোবাইলের ক্যামেরায় বন্দি করলে এ ধরনের দৃশ্য গুলো অনেক সুন্দর দেখায়।
দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ৯ ই জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: কুষ্টিয়া
আমার দ্বিতীয় ফটোগ্রাফিতে রয়েছে কুয়াশামাখা মাঠের দৃশ্য। গ্রামীন এ ধরনের দৃশ্যগুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। সত্যি বলতে ঢাকা শহরে থেকে এমন দৃশ্য কখনোই কল্পনা করা যায় না। যারা শহরে থাকে তারা শীতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে না। শীতের সৌন্দর্য উপভোগ করার সবচেয়ে সুন্দর জায়গা হলো গ্রাম। আমি যেদিন ফটোগ্রাফি করার জন্য বের হয়েছিলাম সেদিন অনেক বেশি কুয়াশা পড়েছিল মাঠের এপাশ থেকে ও পাশের দৃশ্য দেখা যাচ্ছিল না।
তৃতীয় ফটোগ্রাফি
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ৩১ শে ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: কুষ্টিয়া
আবার তৃতীয় ফটোগ্রাফিতে রয়েছে সরিষা ফুলের সৌন্দর্য। আমরা যেদিন পদ্মা নদীর চড়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম সেদিন এই ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম। শীতের সময়ে পদ্মা নদীর চরের দৃশ্য অনেক বেশি সুন্দর হয় কারণ পুরো জুড়ে সরিষা ফুলে ভরে থাকে। সরিষা ফুলের হলুদ চাদরে মোড়ানো মাঠগুলো দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগে।
চতুর্থ ফটোগ্রাফি
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ৩০ শে ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: কুষ্টিয়া
আমার চতুর্থ ফটোগ্রাফিতে রয়েছে শেষ বিকেলের সূর্য। শীতের সময়ে বিকালে সূর্য দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। আমি বাড়িতে আসার পরের দিন আমাদের পাশের এলাকায় মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। এই ফটোগ্রাফিটি মূলত সেখানে যাওয়ার সময়ে করেছিলাম। হঠাৎ তাল গাছের উপর শেষ বিকেলের সূর্য দেখে চোখ আটকে যায় তারপর মোবাইলে এই দৃশ্যটি ক্যামেরা বন্দী করি।
পঞ্চম ফটোগ্রাফি
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ৭ ই জানুয়ারি ২০২৫ খ্রিঃ
লোকেশন: কুষ্টিয়া
আমার পঞ্চম ফটোগ্রাফিতে রয়েছে শিউলি ফুল। যেকোনো ফুলই আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। কারণ ফুলের প্রাকৃতিক দৃশ্য সব সময় আমাকে অনেক বেশি মুগ্ধ করে। আমার কাছে মনে হয় শিউলি ফুল অনেকেরই ছোটবেলার স্মৃতি বহন করে। কারণ আমি যখন ছোট ছিলাম তখন খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে শিউলি ফুল কুড়াতে যেতাম। শিউলি ফুলের গন্ধ আমার কাছে খুব সুন্দর লাগে। শিউলি ফুল সাধারণত শরৎকালে ফোটে। কয়েকদিন আগে আমাদের বাড়িতে এসেছিলাম এসে দেখলাম এখনো শীতকালে শিউলি ফুল গাছে ফুটে রয়েছে।
ষষ্ঠ ফটোগ্রাফি
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ৭ ই জানুয়ারি ২০২৫ খ্রিঃ
লোকেশন: কুষ্টিয়া
আমার ষষ্ঠ ফটোগ্রাফিতে রয়েছে গাঁদা ফুলের দৃশ্য। এই ফটোগ্রাফি কয়েকদিন আগে আমাদের বাড়ির আঙিনা থেকে করেছি। আমাদের বাড়িতে প্রতি বছর গাঁদা ফুলের গাছ লাগানো হয় আর শীতের সময় গাছে ফুল ধরে। যখন ছোট ছিলাম তখন আমি নিজেও গাঁদা ফুলের অনেক গাছ লাগাতাম বাড়ির আঙিনায়। আর এখন আমার ছোট ভাই বোনেরা গাঁদা ফুলের গাছ লাগায় বাড়ির আঙিনায়। সত্যি বলতে বাড়ীর আঙিনায় যে, কোন ফুলের গাছ থাকলে দেখতে অনেক সুন্দর লাগে।
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি কে !
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
অনেকদিন পর শিউলি ফুল দেখলাম। শিউলি ফুলের ফটোগ্রাফিটি খুবই সুন্দর হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে ভাইয়া। আপনি খুবই ভালো ফটোগ্রাফি করেন। অনেক ভালো লাগলো ফটোগ্রাফি গুলো।
ওয়াও আজকে আপনি চমৎকার কয়েকটি ফটোগ্ৰাফি শেয়ার করেছেন। আপনার ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। বাকি ফটোগ্ৰাফি গুলো বেশ দারুন হয়েছে ভাই।
প্রকৃতি সব সময় অনেক সুন্দর। প্রকৃতির এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে আমরা সবাই পছন্দ করি ।গ্রামীণ পরিবেশ এরকম দৃশ্যগুলো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম দেখতে পাই। আপনার করা ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর ছিল।
প্রতিটা ছবি আপনি ভীষণ সুন্দর তুলেছেন, বিশেষ করে সকালবেলায় ঘাসের আগায় শিশিরের বিন্দু। এই ছবিগুলো দেখলেই স্পষ্ট বোঝা যায় শীতকাল উঠুন জুড়ে বাস করছে। এছাড়াও আপনার তোলা প্রতিটি ফুলের ছবি বেশ মনোরম লাগলো। খুবই যত্ন করে ছবিগুলো তুলেছেন তা বোঝা যায়।
আপনার ফটোগ্রাফির দক্ষতা সত্যিই অসাধারণ। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে শিশির ভেজা ঘাসের ফটোগ্রাফি এবং সরিষা ফুলের ফটোগ্রাফি দেখে। হলুদ সরিষা ফুলের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। দারুন হয়েছে আপনার ক্যাপচার করা ফটোগ্রাফি গুলো। শিউলি ফুলের ফটোগ্রাফি দেখেও ভালো লাগলো। সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
শীতকালে প্রাকৃতিক দৃশ্যের সৌন্দর্য অনেক টা বৃদ্ধি পায়। কেননা, শীতকালে সবুজ শ্যামল প্রকৃতি একদম তরতাজা থাকে। আপনি প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফী দিয়ে একটি ফটোগ্রাফি অ্যালবাম সাজিয়েছেন। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি ফটোগ্ৰাফী আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। সরিষা ফুলের ফটোগ্রাফী টি একটু বেশি ভালো লেগেছে।
অসাধারণ সব শীতের ফটোগ্রাফি আমাদের সঙ্গে পোস্ট করলেন বলে ভালো লাগলো ভাই। শীতকালে এই ধরনের ছবিগুলি বিভিন্ন ধরনের তোলা যায়। আর ফুলের ছবি গুলিয়ে দুর্দান্ত সুন্দরভাবে ক্যাপচার করেছেন। সব মিলিয়ে দারুণ সুন্দর একটি অ্যালবাম আমাদের সঙ্গে শেয়ার করলেন।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বরাবরই আমাদের মুগ্ধ করে ফেলে এটা অবশ্যই আমাদের মানতে হবে। আর যে ব্যক্তি প্রকৃতি প্রেমে পড়ে গিয়েছে প্রকৃতির মুগ্ধতা কেবলমাত্র সেই উপলব্ধি করতে পারবে। যাইহোক গ্রামে অবস্থানরত সময়ে বিভিন্ন আঙ্গিকে গ্রামীন পরিবেশের প্রকৃতির চমৎকার ফটোগ্রাফি গুলি উপস্থাপন করেছেন। কোনটা ছেড়ে কোনটার প্রশংসা করব বুঝে উঠতে পারছি না। সবগুলোই মুগ্ধ করে ফেলেছে আমাকে। ফটোগ্রাফি গুলি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।