"তিন বন্ধু একসাথে কাচ্চি ভাইয়ের কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়া-দাওয়া"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২০ শে ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কভার ফটো
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। এইতো কয়েকদিন আগে আমার বন্ধু রাহুল আউয়াল আর আমি ধানমন্ডির কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম। অনেকদিন পরে তিন বন্ধু একসাথে রেস্টুরেন্টে বেশ ভালই সুন্দর সময় কাটিয়েছিলাম। সত্যি বলতে বন্ধু ছোট ভাই ব্রাদার, বড় ভাই ব্রাদার এদের সাথে চমৎকার সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে আমার কাছে। জীবনকে সুন্দরভাবে উপভোগ করার জন্য আসলে সব কিছুরই প্রয়োজন রয়েছে। যখন কারো সাথে সুন্দর সময় অতিবাহিত করি তখন আমাদের মনটা অনেক ভালো থাকে। আর প্রতিনিয়ত মনকে ভালো রাখার জন্য আমরা অনেক কিছুই করে থাকি। সেদিনে কাচ্চি ভাইয়ের তিন বন্ধু মিলে জমিয়ে কাচ্চি বিরিয়ানি খেয়েছিলাম সেই সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
অনেকদিন হলো দিন বন্ধুর একসাথে দেখা হয় না। আমি আর আমার বন্ধু রাহুল ঢাকাতে প্রায় আড়াই বছর হলো আছি। এ সময়টাতে বন্ধু আউয়ালের সাথে দেখা হয়েছে মাত্র তিনবার। প্রথমবার দেখা হওয়ার পরে আমরা তিন বন্ধু মিলে সুলতান ডাইনে কাচ্চি বিরিয়ানি খেয়েছিলাম। তারপর দ্বিতীয়বার দেখা হওয়ার পরে কাচ্চি ভাইয়ের কাচ্চি বিরিয়ানি খেয়েছিলাম। এইবার দিয়ে তৃতীয়বার দেখা হলো আর এবারেও আমারা কাচ্চি ভাইয়ের কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ার প্ল্যানিং করেছিলাম।
গত শনিবারে বন্ধু রাহুল জানালো যে, রাতে আওয়াল আসবে ওর সাথে দেখা করতে হবে। তখন আমি বললাম যে আচ্ছা ঠিক আছে আমরা পরীক্ষা শেষ করে রাতে ওর সাথে দেখা করবো। আমরা পরীক্ষা শেষ করে বন্ধু আউয়াল এর কাছে ফোন দিলাম। তারপর বললাম যে, ধানমন্ডির কাচ্চি ভাইয়ের সামনে আসতে এ সময়টাতে বন্ধু আওয়াল নিউমার্কেটে শপিং করছিলো। যাইহোক আমি আর আমার বন্ধু রাহুল বাইক নিয়ে কাচ্চি ভাইয়ের সামনে এসে বন্ধু আউয়াল এর জন্য অপেক্ষা করতে থাকলাম।
আমরা ধানমন্ডির কাচ্চি ভাইয়ের সামনে যাওয়ার একটু সময় পরেই বন্ধু আওয়াল এসে উপস্থিত হলো। একদিন পরে তিন বন্ধু একসাথে দেখা করে খুব ভালো লাগছিল। তারপর তিন বন্ধু মিলে কাচ্চি ভাইয়ের ঢুকলাম কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ার জন্য। কাচ্চি ভাইয়ের অন্যান্য আইটেম খুব একটা নেই কাচ্চি বিরিয়ানিটাই আমার কাছে সবথেকে বেস্ট লাগে। আমরা খাবারের মেনু দেখে ওয়ান ইস্টু থ্রি কাচ্চি বিরিয়ানি অর্ডার করলাম আর সাথে তিনটা বোরহানি।
যদিও আমাদের এই দিন ওয়ান ইস্টু ফাইভ অর্ডার করার ইচ্ছা ছিলো কিন্তু বন্ধু রাহুল জানালো যে, সে আজকে বেশি খেতে পারবে না তাই ওয়ান ইস্টু থ্রি অর্ডার করেছিলাম। আমাদেরকে কিছু সময় অপেক্ষা করতে বলে তত সময় আমরা তিন বন্ধু মিলে মজার মজার গল্প করি। আসলে অনেকদিন পরে দেখা হলে যা হয়।
যাইহোক আমরা অর্ডার করার কিছু সময় পরেই টেবিলে আমাদের খাবার দিয়ে যায়। কাচ্চি ভাইয়ের কাচ্চি বিরিয়ানির মতো খাবার সামনে পাওয়ার পরে ছবি তোলার কথা সাধারণত মনে থাকে না। মূলত আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে পোস্ট করার জন্যই ছবি তোলা হয়। যাইহোক ঝটপট কয়েকটি ছবি তুলে খাবারগুলো প্লেটে ডিস্ট্রিবিউশন করে নিই।
তারপর শুরু হয় আমাদের মেইন কার্যক্রম অর্থাৎ খাওয়া দাওয়া। আহ্ কাচ্চি ভাইয়ের কাচ্চি বিরিয়ানি মুখে দিতেই অন্যরকম একটা স্বাদ। আমার কাছে খুব ভালো লাগে। তিন বন্ধু মিলে গল্প করতে করতে খাওয়া-দাওয়া শেষ করলাম। তারপর বিল মেনু টেবিলে দিয়ে যাওয়ার পরে বিল পেমেন্ট করে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে আসি। আমরা বাইরে এসে তিন বন্ধু কয়েক মিনিট গল্প করি তারপর বন্ধু আওয়ালকে বিদায় দিয়ে আমি আর বন্ধু রাহুল আমাদের বাসায় চলে আসি।
আমরা তিন বন্ধু মিলে কাচ্চি ভাইয়ের কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ার মুহূর্তটা অনেক সুন্দরভাবে উপভোগ করেছিলাম।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২০ শে ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: মোহাম্মদপুর,ঢাকা
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি কে !
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
0.00 SBD,
0.00 STEEM,
0.00 SP
আসলে সত্যি বলতে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া, ঘোরাঘুরি করা, খাওয়া দাওয়া করাসহ সব কিছুই করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি আপনার তিন বন্ধু সহ একসাথে কাচ্চি ভাইয়ের কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়া-দাওয়ার মূহুর্তগুলো শেয়ার করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনার জন্য এবং আপনার বন্ধুদের জন্য শুভকামনা রইলো। আপনাদের বন্ধুত্ব অটুট থাকুক এই কামনাই করি।
ভাইয়া কাচ্চির ছবি দেখেই লোভ লাগছে।এত রাতে কই পাবো হা হা।আসলে বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো সেরা মুর্হুত। গল্প জেন শেষ হয় না।আপনাকে ধন্যবাদ
আপনার অনুভূতি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। তিনজন মিলে একসাথে কাচ্চি বিরিয়ানি খেয়েছেন এবং সেই মুহূর্তের ভালোলাগা গুলো আমাদের মাঝে প্রেজেন্ট করেছেন। বারবার ফিরে আসুক আপনাদের এমন একসাথে চলার মুহূর্ত।
তিন বন্ধু মিলে কাচ্চি ভাইয়ের কাচ্চি খাওয়ার দারুণ মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছেন। বন্ধুদের সাথে কাটানো এরকম সময় সত্যি উপভোগ্য হয়ে থাকে। বন্ধুদের সাথে কাটানো দারুন মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টটি যে বেশ ভালো একটি রেস্টুরেন্ট তা দেখেই বুঝতে পারছি ভাই। সেখানে কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ার অনুভূতি আপনি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন বলে ভালো লাগলো। বিরিয়ানি আমার অলটাইম ফেভারিট খাবার। তার মধ্যে যদি এত ভালো জায়গায় হয় তবে তো আর কথাই নেই। সব মিলিয়ে বেশ মনে রাখার মত একটি সময় কাটিয়েছেন সকলের সাথে।
আপনারা তিন বন্ধু মিলে কাচ্চি বিরিয়ানি খেয়েছিলেন শুনে অনেক ভালো লাগলো। কাচ্চি বিরিয়ানি দেখেই তো আমার অনেক বেশি লোভ লেগে গেলো আর খেতে ইচ্ছে করছে। নিশ্চয়ই খাওয়া দাওয়া করার মুহূর্তটা অনেক বেশি ভালো ছিল। আমার কাছে পুরোটা অনেক ভালো লেগেছে দেখে।
কাচ্চি বিরিয়ানির নাম শুনেই তো জিভে জল চলে আসলো ভাই। তিন বন্ধু একসাথে কাচ্চি বিরিয়ানি খেয়েছেন কাচ্চি ভাই থেকে এটা ভেবে তো ভালো লাগছে। খুব সুন্দর একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন বন্ধুদের সাথে। আপনাদের খাওয়া দাওয়া করার মুহূর্তটা খুবই ভালো ছিল।
বন্ধুদের সাথে একসঙ্গে ঘুরে বেড়ানো এবং খাওয়া দাওয়া করার মজাই আলাদা। আর আপনাদের দেশে কাচ্চি বিরিয়ানি অত্যন্ত বিখ্যাত অনেকের পোস্টেই সেসব দেখি। এই রেস্টুরেন্টটিও বেশ ভালো। আপনাদের বন্ধুদের মধ্যে এমন মুহূর্ত বারবার ঘুরে আসুক এই কামনা করি আর আরো অনেক কাচ্চি বিরিয়ানি খান একসাথে।