" কলাপাতায় নুডুলস পিকনিক"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৫ শে মে, শনিবার,২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে, আমার বাড়ি গ্রামে। আর আমি ছোটবেলা থেকেই গ্রামে বড় হয়েছি। গ্রামীণ মানুষদের সাথে মিশতে আমি সবথেকে বেশি পছন্দ করি। কিছুদিন আগে ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে বন্ধু বড় ভাই আর ছোট ভাইদের নিয়ে নুডুলস দিয়ে পিকনিক করেছিলাম। গ্রামে গিয়ে এরকম পিকনিক করতে সত্যি আমার অনেক ভালো লাগে। আমাদের পিকনিকের সুন্দর মুহূর্ত এখন আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আমরা যেদিন পিকনিক করেছিলাম সেদিন উপজেলা নির্বাচন ছিলো। আমরা খুব সকালে সবাই মিলে ভোট দিয়ে গল্প করতে করতে হঠাৎ করেই এক ছোট ভাই বলে উঠল যে, আজকে দুপুরে যদি নুডুলস দিয়ে পিকনিক করা যায় তাহলে ভালো হবে। তারপর আমরা সবাই মিলে কথাবার্তা বলে সিদ্ধান্ত নিলাম যে, দুপুরের দিকে নুডলস পিকনিক করবো। কয়েক বছর আগে অবশ্য একদিন নুডুলস দিয়ে পিকনিক করেছিলাম তারপর আর কখনো করা হয়নি। যাইহোক আমরা সবাই মিলে ৫০ টাকা করে দিয়ে বাজার থেকে নুডুলস ডিম কিনে নিয়ে সোজা আমাদের পুকুরে চালায় চলে আসলাম।
এই পুকুরে চালাতেই আমরা মাঝেমধ্যে পিকনিক করে থাকি। কারণ এখানকার পরিবেশটা অনেক ঠান্ডা এবং পাশেই একটি সুপারি গাছের মাচা রয়েছে। আর দিনের বেশিরভাগ সময়টাতেই এখানে বসে সবাই গল্পগুজব করে কাটিয়ে দিই। আমরা শুধুমাত্র নুডুলসের ডিম বাজার থেকে কিনেছিলাম আর যা যা লেখেছিল সেগুলো আমাদের বাড়ি থেকে নিয়েছিলাম। আমাদের আগে যেখানে চুলা কাটা ছিল সেখানেই আমরা রান্নার জন্য আয়োজন করি।
তারপর আশেপাশের গাছগুলো থেকে রান্নার জন্য শুকনা খড়ি জোগাড় করি। আমাদের এবারে পিকনিকের সদস্য সংখ্যা ছিলাম আট জন। প্রায় সময়টাতেই আমরা এরকম সাত আট জন করেই পিকনিক করে থাকি। সবাই মিলে এভাবে মাঝেমধ্যে পিকনিক করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে পিকনিক করার সময়ে গল্প গুজব হাসি তামাশা এগুলো সব থেকে বেশি মজা দেয়। এবারে লুডুস পিকনিকের দিনে রান্নার দায়িত্বে ছিলাম আমি আর আমার এক পাড়া-প্রতিবেশী দাদা।
আমরা দুজন মিলে খুব অল্প সময়ের ভিতরেই নুডুলস রান্না করি। তারপর দুইজন ছোট ভাইকে বলি যে, কলাগাছ থেকে কলা পাতা কেটে আনার জন্য। আমরা বেশিরভাগ পিকনিক গুলোতেই কলার পাতায় খেয়ে থাকি। আমার কাছে মনে হয় গ্রামীণ পিকনিক গুলোতে কলার পাতায় খাওয়াতেই আসল মজা রয়েছে। কলাপাতা কেটে এনে সুন্দরভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে মাথার উপরে রাখলাম।
তারপর আলাদা আলাদা ভাবে প্রতিটি কলা পাতায় সুন্দরভাবে নুডুলস ডিস্ট্রিবিউশন করলাম। তারপর সবাই মিলে একসাথে খাওয়া শুরু করলাম। আহ কি মজা কলার পাতায় সবাই মিলে একসাথে গল্পগুজব করা আর নুডুলস খাওয়া চলতে থাকলো। তারপর হঠাৎ করেই আমাদের মাঝে পরিচিত এক দাদা আসলো। তারপর সেই দাদাকে সাথে নিয়ে সবাই মিলে একসাথে মজা করে নুডলস খেলাম।
আমি সবসময় চেষ্টা করি গ্রামীন পিকনিক গুলোতে যুক্ত থাকার জন্য। সবার সাথে এভাবে মিলেমিশে পিকনিক করতে ভীষণ ভালো লাগে। তাইতো আমি যখনই ঢাকা থেকে বাড়িতে যাই তখনই সবার সাথে পিকনিক করে থাকি। আমি বাড়িতে গেলে প্রতি সপ্তাহেই পিকনিক করে থাকি। জীবনকে সুন্দরভাবে উপভোগ করার জন্য সবকিছুরই প্রয়োজন রয়েছে।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ৮ ই মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |
লোকেশন | কুষ্টিয়া |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


নুডুলস পিকনিক দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। এই কারনে নিজের আইডিয়াটা কিন্তু দারুন ছিল। আর কলা পাতায় পরিবেশন করাটাও বেশ ভালো লেগেছে ভাইয়া। দারুন একটি পোস্ট আমাদের সবার মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আসলে আপু কলা পাতায় খেতে ভীষণ ভালো লাগে। গ্রামীণ এসব ঐতিহ্যগুলো চেষ্টা করে ধরে রাখার জন্য। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সচরাচর নুডুলস পিকনিক দেখা যায় না।তাই আপনাদের নুডুলস পিকনিক করতে দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।আর কলাপাতায় পরিবেশন করলেন বিষয়টি আরো বেশী ভালো লেগেছে আমার। চমৎকার একটি মূহুর্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
কলাপাতায় নুডুলস খাওয়ার মজাই আলাদা। গ্রামের ছেলেপেলেরা মিলেছে সেদিনে অনেক মজা করেছিলাম। অনেক সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ভোট দেওয়ার পর হঠাৎ পরিকল্পনা এবং তারপর এইরকম নুডুলস পিকনিক। ব্যাপার টা বেশ ভালো। তবে আমার সবচাইতে ভালো লেগেছে কলাপাতায় খাওয়ার বিষয়টি। গ্রামের ছেলেদের এই অভ্যাস আছে অবশ্য। দারুণ ছিল আপনার পোস্ট টা। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
আসলে আমরা যখন পিকনিক করি হঠাৎ করেই করি। কলাপাতায় খাইতে ভীষণ ভালো লাগে আমার কাছে। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
কলাপাতায় নুডুলস পিকনিক করার দারুণ অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। উপজেলা নির্বাচনে সকালে সবাই মিলে ভোট দিয়ে আসার পর গল্প করতে করতে পিকনিকের আয়োজন করলেন। এবং বাজার থেকে ডিম ও নুডুলস কিনে এনে আট জন মিলে মজা করে খেয়েছেন,দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। ছোটবেলায় আমিও কলপাতায় পিকনিক করে খেয়েছিলাম। আপনি প্রতি সপ্তাহেই পিকনিক করে থাকেন জেনে খুশি হলাম। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।
আপনার মতো আমরাও ছোটবেলায় কলাপাতায় অনেক পিকনিক করেছি কিন্তু বর্তমানে এটা হারিয়ে গেছে। তারপরও আমরা চেষ্টা করি গ্রামীণ ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ভোট দিয়ে আসার পথে নুডুলস্ দিয়ে পিকনিকের ডিসিশন নেয়া এবং পিকনিক করা বেশ ভালো লাগলো।নুডুলস্ মজা করে রান্না করেছেন এবং তা আবার কলাপাতায় খেয়েছেন ফটোগ্রাফিতে দেখে খুব ভালো লাগলো।খুব সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট টি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
নুডুলস খেতে এমনিতেই অনেক বেশি পছন্দ করি আমি আর তারপরে যদি সবাই মিলে একসাথে পিকনিক করে কলা পাতায় খাওয়া হয় তাহলে তো দারুন হয়। সন্ধ্যা সাফল্যের ভাষায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
নুডুলস পিকনিকের কথা তো কখনো শোনা হয়নি। এরকম পিকনিক কখনো করাও হয়নি। বেশ ভালো লাগলো আপনাদের পিকনিকের মুহূর্ত গুলো দেখে। কলা পাতায় নুডুলস খেয়েছেন সবাই মিলে। ভোট দিয়ে আসার পর হঠাৎ করে সবাই প্ল্যান করেছেন তাহলে। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পোষ্টের টাইটেলে সম্ভবত বানানে ভুল রয়েছে। ঠিক করে নেবেন আশা করি।
হুম আপু কক্সবাজার ট্যুরে আসছি তো তাই খুব তাড়াহুড়ো করে সকালে পোস্টে দিয়ে দিয়েছিলাম। আর সেজন্যই ভুলটা হয়েছে যাই হোক এডিট করে সংশোধন করে নিয়েছি। সবাই মিলে কলা পাতায় নুডুলস খাওয়ার মজাই আলাদা। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
অনেক সুন্দর পিকনিকের আয়োজন করেছেন দেখছি। আমরা ছোটবেলায় পিকনিক করতাম খিচুড়ি ভাত। আর আপনারা নুডুলসের পিকনিক করছেন দেখে সত্যিই আশ্চর্য হলাম। যতদিন যাবে তত পিকনিক উন্নত হবে দেখছি।
আমরাও মাঝেমধ্যে খিচুড়ি পিকনিক করি তবে এবার একটু আলাদা আইটেমে পিকনিক করেছিলাম। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আসলে সবাই মিলে পিকনিক করার মজাই আলাদা। এভাবে গ্রামে সবাই মিলে রান্নার আয়োজন করা তারপর একএিত হয়ে একসাথে খাওয়া এর চেয়ে শান্তি কি আছে।ভালোই লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে। ধন্যবাদ
হ্যাঁ আপু গ্রামে সবাই মিলে এভাবে পিকনিক করতে ভীষণ মজা লাগে। সবাই মিলে বসে কলাপাতায় খাওয়ার মজাই আলাদা। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
নুডুলস দিয়ে পিকনিক করার আইডিয়াটা আপনার ছোট ভাইয়ের মাথা থেকে এসেছে এটা শুনে ভালো লাগলো। এরকম নতুন নতুন আইডিয়া মাথায় এলে সেই কাজগুলো করতে খুবই ভালো লাগে। আর এভাবে কখনো নুডুলসের পিকনিক করা হয়নি ভাইয়া। সময় হলে কোন একদিন এভাবে নুডুলস রান্না করবো আর সবাই মিলে খাবো।
আসলে ভাই আমাদের এই ছোট ভাইয়ের মাথায় অনেক বুদ্ধি তাই এরকম ইউনিক একটা আইডিয়া বের করেছিলো। কলাপাতায় নুডুলস পিকনিকে আমরা অনেক বেশি মজা করেছিলাম সবাই মিলে। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।