"একটু ঘোরাফেরা"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১৮ ই জুন, মঙ্গলবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে আসার পরে বেশ ভালই সুন্দর সময় অতিবাহিত করছি। গ্রামীণ প্রকৃতি আমার কাছে সব সময় অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি যখনই গ্রামে আসি তখনই চেষ্টা করি গ্রামে এসে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে। গ্রামে আসলে আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে খুবই কম বেড়ানো হয়। তবে আত্মীয়তা রক্ষা করার জন্য হলেও আত্মীয়দের বাড়িতে বেড়ানো উচিত। আমার পিসিমণির ছেলে আকাশ অনেকদিন ধরেই তাদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য বলে কিন্তু সময়ের অভাবে যেতে পারি না। আসলে কি একা একা আত্মীয়ের বাড়িতে ঘুরতে একদমই ভালো লাগেনা। তাই এবারে ঈদের আগের দিন আমরা চার ভাই আর আমাদের পাড়ার মিঠুন দা আর শ্যামল দা কে নিয়ে দুটি মোটরসাইকেলে করে ঘুরতে গিয়েছিলাম।
আমি ব্যক্তিগতভাবে গ্রামে আসলে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘোরাফেরা করতে ভীষণ পছন্দ করি। তবে একা একা ঘোরাফেরা করতে একদম ভালো লাগে না সবসময় যদি সাথে কেউ থাকে তাহলে বেশ ভালো লাগে। গ্রামে আসলে বন্ধু বান্ধব ছাড়াও পাড়ার বড় বড় ভাই ও ছোট ভাইদের কে নিয়েও বেশ ঘোরাফেরা করা হয়। সত্যি বলতে সবার সাথে ঘোরাফেরা করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। গত ঈদে বাড়িতে আসার পরে চিন্তাভাবনা করেছিলাম বেলগাছি আমার পিসি মনির বাসায় বেড়াতে যাবো। তবে আমি একা একা না আমরা কয়েক ভাই আর পাড়ার বড় দাদার মিলে। কিন্তু গত ঈদে মোটরসাইকেলের অভাবে বেলগাছি যেতে পারছিলাম না।
এবারে ঈদের আগের দিন দুটি বাইক নিয়ে আমরা ছয় জন দুপুরের দিকে বের হলাম বেলগাছি যাওয়ার উদ্দেশ্যে। যদিও একটি বাইকে দুইজনের বেশি উঠা ঠিক না কিন্তু গ্রাম অঞ্চলে ঠিক বেঠিক দেখা হয় না। বেলগাছি তে যে শুধুমাত্র আমার পিসিমণির বাড়ি আছে তা নয় আমাদের পরিবারের সবথেকে বেশি আত্মীয় রয়েছে বেলগাছিতে। আমাদের বাড়ি থেকে বেলগাছি দ্রুত মোটামুটি ৩৫ কিলোমিটার মতো।
বেলগাছি পিসিমণিদের বাসায় পৌঁছাতে আমাদের সময় লেগেছিলো এক ঘণ্টার মতো। আমার পিসি মনিদের বাড়ির পাশেই আছে চন্দনী নদী। কয়েক বছর আগে যখন গিয়েছিলাম তখন এই নদীতে নৌকা নিয়ে আমরা সবাই মিলে ঘুরে ছিলাম সত্যি অনেক বেশি ভালো লেগেছিলো। কিন্তু এ বছরে এখনো নদীটি শুকনো রয়েছে জল আসতে আরো কিছুদিন সময়। আমাদের ইচ্ছা আছে এই নদীতে যখন জল আসবে তখন এসে নৌকা ভাড়া করে সবাই মিলে ঘুরবো।
আমরা সারাদিন পিসিমণির বাসা থেকে শুরু করে আমরা যে, কয়জন গিয়েছিলাম সবার আত্মীয়ের বাড়িতে রাত পর্যন্ত ঘুরলাম বেশ ভালই লেগেছিলো। তারপর সব শেষ বেলগাছির হরিহরপুর একটি সুন্দর ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আছে সেখানে গেলাম। এই প্রতিষ্ঠানটির তৈরি করেছে সেখানকার একজন স্বনামধন্য এমবিবিএস ডাক্তার। এত সুন্দর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মন্দির আমি আশেপাশে কোথাও দেখেনি। এর আগে অবশ্য অনেকবার বেলগাছি আসলেও এই মন্দিরে কখনো আসা হয়েছিলো না। এবার এই মন্দিরটি দেখে আমি সত্যি মুগ্ধ হয়ে গেছি।
এখানে যে শুধু ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মন্দির আছে তা নয় এখানে রয়েছে শ্রী শ্রী মা দুর্গার মন্দির। এখানকার এই দুটি মন্দিরই অনেক সুন্দর ভাবে তৈরি করা। যদিও এই গ্রামে হিন্দু সংখ্যালঘিষ্ঠ কিন্তু আশেপাশের গ্রামগুলোতে প্রচুর পরিমাণে সনাতন সম্প্রদায়ের লোক আছে যারা এখানে এসে বিভিন্ন পূজা অর্চনা করে থাকে। সারাদিন বিভিন্ন জায়গা আর আত্মীয় বাড়িতে ঘুরলেও দিনশেষে মন্দিরে এসে সত্যিই মনের ভিতর ভীষণ ভালো লাগছিলো।
একটা জিনিস আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে যে, এই প্রতিষ্ঠানে ছোট শিশু কিশোর বাচ্চাদের হিন্দু ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান করা হয়। বর্তমানে আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভিতরে ধর্মীয় শিক্ষাটা দিন দিন কমে যাচ্ছে। আমি আশা করছি হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের এই উদ্যোগটি সফল হবে। প্রতিটি মানুষেরই তাদের নিজ নিজ ধর্মের জ্ঞান থাকাটা অত্যাবশ্যক।
আমাদের আশেপাশের অঞ্চল গুলোতে কোথাও বৃদ্ধাশ্রম নেই বললেই চলে। কিন্তু এই ডক্টর মহাশয় এর উদ্যোগে এখানে একটি সুন্দর বৃদ্ধাশ্রম তৈরি হয়েছে। আমরা সবাই মিলে বেশ ভালোই ঘুরেফিরে দেখলাম পুরো জায়গাটি। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে সুন্দর একটি পুকুর নির্মাণ করা হচ্ছে। এই সুন্দর ডিজাইনের পুকুরটি নির্মাণ করা হলে এই প্রতিষ্ঠানের সৌন্দর্য আরো অনেক গুণ বৃদ্ধি পাবে। যাইহোক আমরা এ প্রতিষ্ঠানটি দেখে আবার আমাদের পিসিমনির বাসায় রওনা দিয়ে। তারপর সেখানে রাতের খাওয়া দাওয়া করে বাড়িতে চলে আসি।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ১৬ ই জুন ২০২৪ খ্রিঃ |
লোকেশন | কুষ্টিয়া |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
আপনার ঘোরাফেরা সুন্দর এই পোস্টে দেখে আমার অনেক অনেক ভালো লেগেছে। বেশ দারুণভাবে আপনি আজকের এই পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বেশ অনেক কিছু জায়গা সম্পর্কে ধারণা পেলাম। দেখে ভালো লাগলো জায়গাগুলোর ফটো।
বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে অনেক বেশি ভালো লাগে।অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
মোটরসাইকেলে করে গ্রামে ঘুরাঘুরি করেছেন জেনে ভালো লাগলো। গ্রামে প্রকৃতির মাঝে সময় কাটাতে ভালোই লাগে। গ্রামীণ প্রকৃতি আমাদের মুগ্ধ ও সতেজ করে। আপনার কাটানো মুহূর্তগুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো।
হ্যাঁ আপু গ্রামীণ প্রকৃতির মাঝে সময় কাটাতে অনেক সুন্দর লাগে। গ্রামীণ সতেজ প্রকৃতি হৃদয়কেও সতেজ করে দেয়। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
গ্রামীণ সৌন্দর্য আমাদেরকে বরাবরই মুগ্ধ করে। আপনি মোটরসাইকেল নিয়ে বেশ কিছু জায়গায় ঘোরাঘুরি করেছেন এবং সেই মুহূর্তগুলো ক্যামেরাবন্দি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভব ঘুরে তো তাই ঘুরে বেড়াতেই বেশি ভালো লাগে। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাসায় এসে অনেক ভালো সময় কাটাচ্ছেন জেনে ভালো লাগলো। গ্রামের বাসায় আসলে সময়টা সত্যিই অনেক ভালো কাটে। আপনার কাটানো মুহূর্তগুলো আর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।
হ্যাঁ ভাই ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে এসে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করছি। আমার ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।