শারদীয়া দুর্গাপূজা ২০২৫- ১ম পর্ব।
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ৩ রা মার্চ, সোমবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কভার ফটো
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমাদের সনাতন ধর্মের অনেক পূজা পার্বণ আছে তার ভিতরে দুর্গাপূজা হচ্ছে অন্যতম পূজা। আজকে আমি আপনাদের সাথে সপ্তমীতে করা ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করবো। শ্রী শ্রী মা দুর্গাপূজা দেখতে ছোটবেলা থেকেই আমি অনেক পছন্দ করি। আমি যখন ছোট ছিলাম মা-বাবা, দাদু-ঠাকুমা এদের হাত ধরে শ্রী শ্রী মা দুর্গাপূজার সময় বিভিন্ন মন্দিরে গিয়ে পূজা দেখতাম। তারপর একটু বড় হলে বাইসাইকেলে করে বন্ধুদের সাথে শ্রী শ্রী মা দুর্গা পূজার এই চারটি দিনে পুজো দেখার পাল্লা দিতাম। আমার শৈশবের শ্রী শ্রী মা দুর্গা পূজার সময়টা সত্যি অনেক মধুর ছিলো। এ বছরে দুর্গাপূজাতে সবার সাথে অনেক জায়গায় ঘুরে ঘুরে পূজা দেখেছিলাম। সবার সাথে এভাবে পূজা দেখার মজাই আলাদা।
শ্রী শ্রী মা দুর্গার প্রণাম মন্ত্র🙏
শরণ্যে ত্র্যম্বকে গৌরি নারায়ণি নমোহস্তু তে ৷৷
প্রতিবছর দুর্গাপূজাতে সাধারণত আমি বাড়িতেই থাকি। আমাদের গ্রামসহ আশেপাশের এলাকাতে যেসব পূজা গুলো হয় সেগুলোই দেখার চেষ্টা করি। কারণ গ্রামীন পুজো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। এ বছরে পুজোর দিনে আমার সঞ্জয় মামা এসেছিল আমাদের বাড়িতে। তারপর মামাকে নিয়ে আমার দাদা আর আমি মোট তিনজন পূজা দেখতে বের হয়েছিলাম বাইক নিয়ে।
আমরা প্রথমে আমাদের গ্রামের পূজা দেখে তারপর জানিপুর এর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আমাদের খোকসা উপজেলার কেন্দ্রীয় মন্দির হচ্ছে জাণিপুর কালীবাড়ি মন্দির। আর এখানেই সবথেকে বড় দূর্গা পূজা হয়ে থাকে। যদিও এবার দুর্গা পুজাটা অতটা জাঁকজমক ছিলনা। কারণ আমাদের দেশের পরিস্থিতি সে সময়ে বেশ খারাপ ছিল।
আমরা জানিপুর কেন্দ্রীয় মন্দিরে মা দুর্গা দর্শন করে চলে গেলাম কুমারখালীর মহেন্দ্রপুর মামাদের বাড়িতে। যদিও আমার যাওয়ার খুব একটা ইচ্ছা ছিল না, তারপরও মামা বারবার যাওয়ার কথা বলেছিল তাই গিয়েছিলাম। সত্যি বলতে নিজের বাড়িতে থেকে পূজা দেখতে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে। যাইহোক মামাদের সাথে অনেকদিন পূজা দেখা হয় না, তাই রাতে সবাই মিলে একসাথে পূজা দেখার প্লানিং করা হয়।
আমার বড় মামা পূজা দেখার জন্য রাতে একটা অটো ভাড়া করে। তারপর সবাই মিলে পূজা দেখার উদ্দেশ্যে বের হয়ে যায়। প্রথমে আমরা আমাদের পাশের গ্রাম দয়রামপুর ঘোষপাড়া মন্দিরে পূজা দেখতে যাই। সবাই মিলে একসাথে অটোতে করে গল্প করতে করতে পূজা দেখতে বেশ ভালই লাগছিল। গ্রামীণ সাংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের পূজা গুলো আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে।
কুমারখালী দয়রামপুর ঘোষপাড়ায় পাশাপাশি দুইটা মন্দিরে পূজা হচ্ছিল সেখানে আমরা অনেকটা সময় উপভোগ করলাম। আমার মামাদের পাশের গ্রাম যেহেতু তাই মামাদের অনেক পরিচিত ছিল সবার সাথে অনেক গল্প গুজব হলো। তারপর সেখান থেকে পূজা দেখা শেষ করে কুমারখালী শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
কুমারখালী শহর মামাদের এসব গ্রাম হতে চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। আমরা অটোতে করে মোটামুটি ১৫ মিনিটের ভিতরেই কুমারখালী শহরে পৌঁছে গিয়েছিলাম। তারপর কুমারখালীর গিয়ে গোলাম কিবরিয়া সেতুর উপরে কিছু সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম।
আজকে এ পর্যন্তই আবার অন্য কোন পোস্টে শারদীয়া দুর্গাপূজা ২০২৫- ২য় পর্ব শেয়ার করবো।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১০ অক্টোবর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি কে !
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


0.00 SBD,
0.00 STEEM,
0.00 SP
দারুন একটি দুর্গা প্রতিমার ছবি সমেত পুজোর ব্যাখ্যা করলেন বলে বেশ ভালো লাগলো ভাই। দূর্গা পূজা এলে বাঙালি যেন আনন্দে মেতে ওঠে। আমাদের এখানে দুর্গাপুজো হলো সব থেকে বড় উৎসব। আমরা অপেক্ষা করে থাকি ওই চারটি দিনের জন্য। দুর্গা মন্ত্রটি আপনার পোস্টের একটা পেয়ে আরো ভালো লাগলো। মা দুর্গা আপনার এগিয়ে চলার পথকে আরো সুগম করে তুলুন।
১০ই অক্টোবর ২০২৫ সালের এখনও আসেনি ভাই। ওটা ২০২৪ হবে৷
আপনাদের দুর্গাপূজার বর্ণনা আগে তো সেভাবে শুনিনি তবে আগ্রহ বরাবরই ছিল। আসলে আমি একটু পশ্চিমবঙ্গের বাইরের পুজো সম্পর্কে বেশি কৌতুহলী হয়তো প্রবাসের বাঙালিদের পূজো দেখে বাঙালির মন পড়ি তাই৷ আপনাদের দেশের পুজো সম্পর্কে বিশেষ ধারণা ছিল না। আপনার পোস্ট পড়ে অনেকটাই জানলাম। কী মিষ্টি মায়ের মুখ। আচ্ছা ঠাকুর কি ওখানেই তৈরি হয়?.