রেসিপি: ঝটপট নুডুলস তৈরি।
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১ লা জুলাই, সোমবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমার পোস্টটি হলো রেসিপি সংক্রান্ত। কয়েকদিন আগে ঢাকাতে আসার পরে এই নুডুলস রেসিপি তৈরি করেছিলাম সেটা এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আমি মনে করি ব্যাচেলরদের রান্না শেখাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিজে অনেক ছোটবেলা থেকেই রান্না করতে পারি এবং নিজে রান্না করে খেতে খুবই পছন্দ করি। নিজে নিজে রান্না করে খাওয়াটা আলাদা একটা মজা আছে আর সেটা আমি উপভোগ করি সবসময়। আমি সুন্দরভাবে আপনাদেরকে আমার রেসিপি পোস্টটি ধাপে ধাপে পর্যায়ক্রমে রন্ধন পদ্ধতি বর্ণনা করবো। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।
ক্রমিক | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | নুডুলস | দুই প্যাকেট |
২ | ডিম | দুইটি |
৩ | পেঁয়াজ | চারটি |
৪ | লবণ | দুই টেবিল চামচ |
৫ | তেল | পরিমাণ মতো |
৬ | মরিচ | পাঁচটি |
৭ | হলুদ | পরিমাণ মতো |
উপকরণ প্রস্তুত প্রণালী :
পেঁয়াজ, মরিচ পরিমাণ মতো কেটে নিতে হবে এবং পরিষ্কার জল নিয়ে দিয়ে নিতে হবে।
রন্ধন প্রণালী
প্রথম ধাপে পরিমাণ মতো জল গরম করে লুডলস সিদ্ধ করে নেবো। নুডুলস সিদ্ধ হওয়ার পরে কড়াই থেকে নামিয়ে ঝুরিতে করে ঠান্ডা জলে ধুয়ে নেবো।
দ্বিতীয় ধাপে আবার চুলায় কড়াই বসিয়ে দেবো তারপর পরিমাণ মতো তেল দিবো এখন তেল হালকা গরম হলে আগে থেকে কুটে রাখা পেঁয়াজ মরিচ দেবো।
তৃতীয় ধাপে পেঁয়াজ, মরিচ ভাজি হয়ে গেলে দুইটা ডিম ভেঙে দেবো।
চতুর্থ ধাপে পেঁয়াজ মরিচ আর ডিম সুন্দর মতো একসাথে মিক্সার করবো।
পঞ্চম ধাপে আগে থেকে সিদ্ধ করে রাখা লুডুলস করাইতে দিয়ে নেবো।
ষষ্ঠ ধাপে প্যাকেটের ভেতর থাকা নুডুলস এর মসলা দিয়ে নেবো। আর এভাবে কিছু সময় নাড়াচাড়া করতে থাকবো।
সপ্তম ধাপে নুডুলস খাবারের উপযুক্ত হয়ে গেলে কড়াই থেকে নামিয়ে ফেলবো।
আমার রেসিপি খাবারের উপযুক্ত করে পরিবেশনের জন্য পাত্রে রাখা হয়েছে।
পোস্টের বিবরন
পোস্ট ধরন | রেসিপি |
---|---|
ক্যামেরাম্যান | @aongkon |
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
লোকেশন | মোহাম্মদপুর,ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার রেছিপি ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
ভাইয়া শুধু ব্যাচেলর না,ছেলে মেয়ে সবারই রান্না শেখা উচিত। কারণ কখন তা কাজে লেগে যায় কেউ বলতে পারে না। আপনি যদি পরিবারের সাথে থাকেন আর তখন যদি যারা মেয়ে মানুষ রয়েছে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন তো নিজেকে রান্না করে খেতে হবে। হোটেলের খাবার থেকে নিজে কষ্ট করে রান্না করে খাওয়া যেমন স্বাদের হয় তেমনি স্বাস্থ্যসম্মতও হয়। যাই হোক আপনি দারুন নুডুলস রান্না করতে পারেন বুঝতে পারছি। নুডুলস খেতে সবাই পছন্দ করে। নুডুলস যেভাবেই রান্না করা হয় না কেন খেতে খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
বেশ মজার একটি রেসিপি শেয়ার করলেন। বিশেষ করে বর্ষার দিনে গরম কিছু খেতে খুব ভালো লাগে। আর সবচেয়ে ঝটপট তৈরি করা যায় নুডুলসের রেসিপি। দেখেই তো খেয়ে নিতে ইচ্ছে করতেছে। আপনি এত সুস্বাদু লোভনীয়ভাবে তৈরি করলেন জিভে জল চলে আসলো। অনেক ভাল লাগলো আপনার শেয়ার করা রেসিপিটি দেখে।
নুডুলস রেসিপি টি একটি ঝটপট রেসিপি। বাড়িতে কখনো আত্নীয় স্বজন বেড়াতে আসলে এই রেসিপি টি ঝটপট করে তৈরি করে আত্নীয় স্বজনদের কে আপ্যায়ন করা যায়। আপনি দেখছি আজকে বাড়িতে বসে খুবই দ্রুত নুডুলস রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার নুডুলস রেসিপি টি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো।আর নুডুলস রেসিপি টি কম বেশি সকলেরই অনেক প্রিয়।
ছেলেরা কিছু পারুক আর না পারুক অনেক সব মজা করে নুডুলস রান্না করতে পারে। এটা আমি অনেক ভালোভাবেই জানি। কারণ আমার দেবর অনেক মজা করে নুডুলস রান্না করে যা আমি করতে পারিনা। যাইহোক আপনার নুডুলস রান্নার রেসিপি দেখে বেশ ভালো লাগলো। বেশ লোভনীয় দেখাচ্ছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া ঝটপট নুডুলস রান্নার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
এটা একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া ব্যাচেলরদের রান্না শেখা অনেক দরকারি। অনেক সময় যখন রান্না করার মত কেউ থাকেনা তখন ঝটপট এই ধরনের রান্না গুলো করলে অন্তত ক্ষুধা নিবারণ করা যায়। আপনার তৈরি করা নুডলস রেসিপি দারুন হয়েছে ভাইয়া।
বিকেলের নাস্তায় নুডুলস আমার খুবই। তবে সবজি নুডুলস হলে বেশি ভালো হয়। আপনার প্রস্তুত করা নুডুলসের রেসিপি দেখতে বেশ লবণ ও।
দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনি খুব ভালো একজন রাধুনি।
নিশ্চয়ই খেতে খুব মজা হয়েছিল।
রান্না শেখা একটা বেসিক নিড। নিজের তাগিদেই শিখতে হবে। আমি টুকটাক বেচে থাকার জন্য কিছু শিখেছি। আমি অবশ্য খুব সিম্পল ভাবে নুডলস রান্না করি।
এনিওয়ে, মোহাম্মদপুরের কই ছিলেন?
ব্যাচেলরদের রান্না শেখা জরুরি তবে তার ভিতরে নুডুলস রান্না শেখাটা সবচেয়ে বেশি জরুরী । কারণ নুডুলস ঝটপট একটি খাবার এটি যে কোন সময় ঝটপট রান্না করে খেয়ে ফেলা যায় আর পেটও ভরে । আপনার নুডুলস দেখে কিন্তু ভালই লাগছে মনে হচ্ছে খেতে অনেক টেস্টি হয়েছিল ।
বাহ আজ আপনি খুব সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি করার রেসিপিটি দেখুন অনেক ভালো লাগলো। অনেক মজার একটি রেসিপি বিশেষ করে বর্ষার দিনে গরম গরম ঝাল ঝাল খেতে অনেক বেশি টেস্ট লাগে। আবার বিকালের নাস্তা ও খেতে অনেক মজা লাগে নুডুলস। নুডুলস আমার অনেক পছন্দের। আপনি প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।