"ফুটবল খেলতে গিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় পড়লাম"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১৩ ই জুন, বৃহস্পতিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। কয়েকদিন হলো ঢাকা থেকে এই গ্রামের বাড়িতে এসেছি এখানে এসে বেশ ভালই সুন্দর সময় অতিবাহিত করছিলাম। কিন্তু গতকালকে বিকাল বেলায় বন্ধুদের সাথে ফুটবল খেলতে গিয়েছিলাম। আর ফুটবল খেলার সময়ে নিজের বডি চেক করতে গিয়ে হাতের কবজিতে অনাকাঙ্খিতভাবে প্রচণ্ড পরিমাণে আঘাত পাই। সে সময়টাতে অবশ্য একটু খারাপ লাগলেও খেলাটা চালিয়ে গিয়েছিলাম। তারপর যতই সময় যাচ্ছিল হাতের ব্যথাটা টের পাচ্ছিলাম। খেলাধুলা শেষ করে টিউবয়েল চাপতে গিয়ে বুঝলাম যে, হাতে প্রচন্ড পরিমাণে আঘাত লেগেছে আর সেই কারণেই টিউবওয়েল চেপে জল তুলতে পারছিলাম না। এরকমও অনাকাঙ্খিতভাবে ইনজুরিতে পড়ে যাবো ভাবতে পারিনি। আজকে কুষ্টিয়াতে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলাম সেই অভিজ্ঞতা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো
আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠেই ফ্রেশ হয়ে বাড়ি থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। প্রথমে অবশ্য খোকসা রেলওয়ে স্টেশনে এসেছিলাম। কারণ সকালবেলায় প্রতিদিন খোকসা স্টেশন থেকে শাটল ট্রেন কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে যায়। শাটল ট্রেনের রাইট আনছিলো নয়টা পাঁচ মিনিটে। আমি অবশ্য আধা ঘন্টা আগেই পৌঁছে গিয়েছিলাম স্টেশনে। তারপর স্টেশনে এসে কিছু সময় অপেক্ষা করার পরে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য শাটল ট্রেনটি খোকসা স্টেশনে আসে। সামনে ঈদ তাই ট্রেনে বেশ ভালোই ভিড় ছিলো মোটামুটি বেশ ভালো কষ্ট করেই ট্রেনে উঠতে হয়েছিলো।
আর আজকে প্রচণ্ড গরম পড়াতে ট্রেনের ভেতরে অবস্থাটা বেশ খারাপ ছিলো। যদিও আকাশে মেঘের আনাগোনা ছিল কিন্তু গরম ছিলো প্রচণ্ড। মোটামুটি পুরনো মিনিটের ভিতরে কুমারখালী চলে আসে তারপর সেখানে ক্রসিং হয় তারপর ৫০ মিনিটের ভেতরেই ট্রেন কুষ্টিয়া বড় স্টেশনে পৌঁছে যায়। আমি ট্রেন থেকে বড় স্টেশনে নেমে পড়ি তারপর অটো নিয়ে সোজা চলে যাইকুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের সামনে।
যখন কুষ্টিয়া তে থাকতাম তখন মাঝেমধ্যেই সদর হাসপাতালে আসা পড়তো। যাইহোক আমার এক দাদা যেহেতু কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চাকরি করে আমি সরাসরি তার কাছে চলে যাই যাতে ডাক্তার দেখাতে ভোগান্তি অনেক কম হয়। দাদা চেম্বারে গিয়ে দেখি জলাতঙ্ক রোগের ভ্যাকসিন দিচ্ছে। তারপর দাদার কাছে বিস্তারিত ঘটনা খুলে বললাম। যদিও ডাক্তার দেখানোর জন্য আমি গতকালকেই দাদার কাছে ফোন করেছিলাম।
দাদা যেখানে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন দেয় তার পাশের রুমেইএক্সরে ও আলট্রাসনোগ্রাফির করা হয়। যাইহোক দাদা একজন এক্সরে টেকনিশিয়ান কে ডেকে আমাকে তার সাথে পাঠিয়ে দিল বলল যে, এক্সরে কমপ্লিট করে তারপর আমার কাছে আসো। তারপর এক্সরে রুমে গিয়ে সরকারিভাবে দেড়শ টাকা জমা দিয়ে হাতের এক্সরে করালাম। এক্সরে করার পরে বলল যে, একটু দাড়াও কয়েক মিনিট পরেই দিয়ে দিচ্ছি রিপোর্ট। যাইহোক আমি কয়েক মিনিট অপেক্ষা করতেই রিপোর্টটি কমপ্লিট হয়ে গেলে আমার কাছে দিয়ে দেয়। তারপর আমি আবার দাদার রুমে গিয়ে দাদাকে রিপোর্টটি দেখায়।
তারপর দাদা রিপোর্টটি দেখে বলল যে, তেমন কিছু হয় নাই তার পরেও ইমারজেন্সিতে গিয়ে টিকিট কেটে চলো ডাক্তার দেখিয়ে নিই। যাইহোক বড় কোন কিছু হয় নাই এটাই তো অনেক। তারপর দাদাকে সাথে নিয়েই হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগে গেলাম। সেখানে গিয়ে ৫ টাকা খাইতে টিকিট কেটে ইমারজেন্সি বিভাগে যে, ডাক্তার থাকে তাকে দেখালাম। যাইহোক ডাক্তার রিপোর্ট দেখে বলল যে তেমন কিছু হয়নি তবে বেশ আঘাত লেগেছে বোঝা যাচ্ছে। হাতের জন্য একটা অ্যাংলেট দিয়ে দিচ্ছি আর সাত দিনের ঔষধ লিখে দিচ্ছি আশা করি ঠিক হয়ে যাবে।
আর হাত দিয়ে ভারী কোন কাজ করতে নিষেধ করা হলো আর যাতে হাতে আঘাত না লাগে সে, বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করার কথা বলে দিলো। তারপর প্রেসক্রিপশনটা নিয়ে সোজা চলে গেলাম ওষুধ ফার্মেসিতে। তারপর সেখানে গিয়ে প্রেসক্রিপশন দেখায় হাতের আংলেট আর ডাক্তার যেসব ওষুধ লিখেছে সেগুলো নিলাম।
তারপর সেখান থেকে আমি কুষ্টিয়াতে আগে যে, মেসে থাকতাম সেই মেসে চলে আসলাম। এক বন্ধুর সাথে দেখা করে তারপর বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
সবাই আমার জন্য আশীর্বাদ এবং দোয়া করবেন যাতে খুব দ্রুতই হাত দিয়ে স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারি।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ১৩ ই জুন ২০২৪ খ্রিঃ |
লোকেশন | কুষ্টিয়া |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
আপনার জন্য দোয়া রইল যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যান। ফুটবল খেলতে গিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় পড়েছেন জেনে খুবই খারাপ লাগলো। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কয়েকদিন ভারী কোন জিনিস হাতে না নিলে এবং সাবধানতার সাথে চলাফেরা করলে আশা করছি ঠিক হয়ে যাবে।
জেনে ভালো লাগলো খুব বড় কোন সমস্যা হয়নি আর পোস্টের টাইটেল দেখে এমনটাই আশা করেছিলাম। যেহেতু হাতের জন্য এংলেট দিয়েছে আর সাত দিনের ওষুধ দিয়েছে সেহেতু অতি দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে বন্ধু।
আপনার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি। খুব বেশি ব্যথা পাননি আশা করি। আপনি শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠবেন, এই কামনা করছি আপনার জন্য।
ফুটবল খেলতে গিয়ে বেশ সমস্যায় পড়েছেন ভাইয়া।অনাকাঙ্খিত বিপদের জন্য অনেকটা কষ্ট করতে হচ্ছে।দোয়া করি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন আপনি।ভালো লাগলো পোস্টটি।ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আমি গতকাল রাতে বাড়ি এসেছি। মাএই ভাবছি বিকেলে ফুটবল খেলতে যাব এরই মধ্যে আপনার এই পোস্ট। আমার শিক্ষা হয়ে গিয়েছে আর না। গরমের মধ্যে শাটল ট্রেনে ওটা যে কী কষ্টের কাজ সেটা আমি জানি। যাইহোক আপনার হাতের যে কিছু হয়নি এটা জেনে ভালো লাগছে। আপনার জন্য শুভকামনা ভাই।