"কদবেলের স্মৃতি" ও আলোকচিত্র
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ২৩ ই আশ্বিন ||১৪২৯ বঙ্গাব্দ||শনিবার।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর ফাউন্ডার , এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমার পোস্টটি হলো কদবেলের স্মৃতি ও আলোকচিত্র। কদবেল ফলটি আমরা কমবেশি সবাই খেতে পছন্দ করি। আমার কাছে তো এই ফলটি খাইতে বেশ অসাধারণ লাগে। গাছ পাকা কদবেল মরিচ, চিনি হালকা লবণ দিয়ে মাখিয়ে খেতে অসাধারণ স্বাদ লাগে।
আমি প্রায় দু মাস হল লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে ঢাকায় গিয়েছি তারপর আর এই দুই মাসের ভেতরে বাড়ি আসা হয়ে ওঠেনি। পূজার ছুটিতে বাড়িতে এসে কয়েকদিন অবস্থান করছি। গত কালকে রাতে মা আমার জন্য দেখি কদবেল মাখিয়ে রেখে দিয়েছে তখন ভাবলাম এটা নিশ্চয়ই আমাদের গাছের কদবেল। নিজের বাড়ির গাছের পাকা কদবেল মায়ের হাতের মাখানো খুবই সুন্দর স্বাদ লাগছিল। মনে করিয়ে দিচ্ছিল আমাদের বাড়িতে পুরনো একটি কদবেল গাছের সুস্বাদু কদবেলের স্মৃতি। বাড়িতে কয়েকদিন এসেছি পুজোর ছুটিতে কিন্তু কদবেল গাছের দিকে একদমই চোখ পড়েছিল না। কিন্তু রাতের কদবেল মাখানো দেখে গাছে কেমন কদবেল ধরেছে দেখতে খুব মন চাচ্ছিল।
তাই আজকে দিনের বেলাতে দেখলাম ছোট্ট গাছে প্রচুর কদবেল এসেছে। কদবেল আমার খুবই প্রিয় একটি ফল। কদবেল গাছে অনেক কদবেল ধরেছে দেখে খুব ভালো লাগছিল। এই কদবেল গাছটি আমার বাবা লাগিয়েছিল। আর বাবার হাতে লাগানো গাছের কদবেল খাওয়ার মজাই আলাদা। যদিও আমাদের বাড়িতে অনেক আগে একটা কদবেল গাছ ছিল সেটা ছিল অনেক বড় একটি কদবেল গাছ। আজ থেকে পনেরো বছর আগে একটি বড় কদবেল গাছ ছিল।
সেই বড় কদবেল গাছটাতে প্রচুর পরিমাণে কদবেল আসতো এবং কদবেল গুলো অনেক বড় বড় হত স্বাদেও সেরা ছিল। এখন বর্তমানে যে কদবেল গাছটি আছে আগের সেই কদবেল গাছের কদবেলের সাথে সাথে অনেকটা মিল আছে এবং কদবেলও বেশ বড়। আমার মনে পড়ে আমি শৈশবে সেই বড় কদবেল গাছে উঠে কদবেল ছোট ছোট জাল এবং ছোট ছোট কাপড় দিয়ে বেঁধে রেখে আসতাম।
কদবেল যাতে মাটিতে পড়ে নষ্ট হয়ে না যায় সেজন্য এবং সেটা পরে পেকে গেলে গাছে উঠে নিজে হাতে করে পেরে নিয়ে আসতাম এবং মরিচ, চিনি, হালকা লবণ দিয়ে মাখিয়ে খাইতাম। নিজের হাতে এর পাড়া কত বেল মাখিয়ে খাওয়ার স্বাদ সত্যিই অনন্য। দুঃখের বিষয় হলো আমি যখন চতুর্থ কি পঞ্চম শ্রেণীতে পড়তাম তখন এসে কদবেল গাছটি কোন এক অজানা রোগে মারা গিয়েছিল তারপর থেকে এই দশ-বছর মত হল আমাদের বাড়িতে কোন কদবেল গাছ ছিল না।
৪-৫ বছর আগে বাবা একটি কদবেল গাছের যারা কৃষি মেলা থেকে এনে নিজে হাতে রোপন করেছিল। যদিও গাছটি এখনো বেশ বড় হয়নি তবে এবার দেখছি বেশ ভালই কদবেল ধরেছে। এই কদবেল গাছ মনে করিয়ে দিচ্ছে পুরনো সেই বড় কদবেল গাছের স্মৃতি। মনে করিয়ে দিচ্ছে ছোটবেলায় কদবেল গাছে উঠে কদবেল পেড়ে খাওয়ার আলাদা একটা অনুভূতি।
আমি ছোটবেলা থেকেই গাছে উঠতে অনেক ভালো পারতাম তাই আমাদের বাড়িতে সকল ফলের গাছেই উঠে ভালো ভালো ফল খাওয়ার মজা উপভোগ করতাম। আমাদের বাড়িতে অনেক ধরনের ফলের গাছই আছে তার ভিতর কদবেল গাছটা অন্যতম। কদবেলের প্রতি ছোটবেলা থেকেই অন্যরকম একটি লোভ কাজ করতো তবে বাজার থেকে কদবেল কিনে খাওয়ার সাহস দেখায়নি কারণ বাজারের কদবেল দেখলেই আমার মনে ঘৃণা করে। নিজের বাড়ির গাছের টাটকা গাছপাকা কদবেল মাখিয়ে খাওয়ার মত মজা হয়তো বাজারের ওইসব কদবেলের ভেতরে নেই।
উপরোক্ত সকল আলোকচিত্রের বর্ণনা:
ফটোগ্রাফার: @aongkon
ডিভাইস: samsung j7 pro
ক্যামেরা: ১৩ মেগাপিক্সেল
লোকেশন: মামদানিপুর, খোকসা,কুষ্টিয়া।
তারিখ: ২৩ ই আশ্বিন, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, শনিবার।
প্রিয় বন্ধুরা,
আজকে এ পর্যন্ত আমার কদবেলে মিশে থাকা পুরনো স্মৃতি এবং বর্তমান অনুভুতি ও ফটোগ্রাফি শেয়ার করলাম। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon
কদবেল মাখা খেতে তো খুব মজা। কদ বেল তো লোভনীয়একটা খাবার ।আপনি এটা কি দেখালেন। দেখে তো খেতে ইচ্ছা করছে। কালকে বাজার থেকে দুইটা কদ বেল এনেছিলাম মজা করে খাওয়ার জন্য। কিনে আনার পর দেখি দুইটা কদবেল ই পচা । মজা করে আর খাওয়া হলো না। ধন্যবাদ আপনাকে ইউনিক একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
বাজার থেকে কদবেল কেনা মানে সত্যি বলতে টাকা নষ্ট করা। গাছ থেকে কাঁচা কদবেল পেড়ে সেটা বিভিন্ন উপায়ে ফরমালিন দিয়ে পাকিয়ে বাজারজাতকরণ করা হয়। তাই আর কি বাজারের এসব কদবেল কিনে না খাওয়াই ভালো। বাড়িতে জায়গা থাকলে বিভিন্ন রকম ফলের গাছ লাগিয়ে সেই গাছ থেকে ফল খাওয়াই উত্তম।
কদবেলের স্মৃতি গল্পটি পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ঠিকই বলেছেন আপনি। নিজের গাছের তাও আবার মায়ের হাতের মাখানো কদবেল খাওয়ার মজাটাই আলাদা। সাথে ফটোগ্রাফিগুলো বেশ ভালো লাগছে। সামনাসামনি আমি এখনো কদবেল গাছ দেখিনি। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো।
হ্যাঁ আপু মায়ের হাতে তৈরি যে কোন খাবার খেতে সুস্বাদু লাগে। তারপর কদবেলটা আমার প্রিয় ফলগুলোর ভেতর একটি সেজন্য আর কি একটু বেশি ভালো লেগেছিল। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
কদবেল অতি রঞ্জিত একটি গাছ খুব ধিরে ধিরে বৃদ্ধি পাই এটা।আমি দুই বছর আগে লাগিয়েছিলাম একটা এখনো সেই ছোট রয়েছে।অনেক দারুন ফটোগ্রাফি সাথে উপস্থপনা।
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাই আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পায়। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
কদ বেলটিকে সাধারণত আমরা বেল বলে চিনি। এটির উপরের অংশটি অনেকটা মোটা কিন্তু ভেতরের অংশ খেতে অনেক মজা লাগে। আর আপনার সেই কদবেল স্মৃতিটি পুরানো ভালো লাগলো। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে বন্যা করার পাশাপাশি অনেক সুন্দর ভাবে কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
নিজের গাছের কদবেলের ফটোগ্রাফির অসাধারণ ছিল। আর আপনিও দেখছি অনেকদিন পর বাসায় এসেছেন দুই মাস অনেকদিন। আর একটা কথা খুব ভালো লেগেছে নিজের গাছের পাকা কদবেল আর মায়ের হাতের মাখানো সত্যি খেতে অসাধারণ লাগে। সময় হলে একদিন দাওয়াত দিয়েন আপনার গাছের কদবেল খেয়ে আসবো।
হ্যাঁ ভাই অনেকদিন পরে বাড়ি এসেছি এসে কদবেল খেয়ে অনেক সুন্দর লেগেছে। অবশ্যই যখন ইচ্ছা হয় চলে আসেন। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ইশ গাছের এমন তরতাজা বেল খেতে কতই না মজার। আমার তো দেখে ইচ্ছে করছে একটা গাছ থেকে পেরে খেয়ে ফেলি। ঠিক বলেছেন ভাইয়া বাহিরের কদ বেল খুব একটা ভালো পাওয়া যায় না।কদবেলর স্মৃতি ও আলোকচিত্র খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন ভাইয়া। খুব ভালো লাগলো পড়ে আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া। তাই আপনি চাইলে আমাদের জন্য পাঠিয়ে দিতে পারেন।
বাজারে কদবেল পাওয়া যায় কিন্তু সেগুলোর ইচ্ছামতো খাওয়া যায় না। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু। আমার বাংলা ব্লগে আপনার ব্লগিং জার্নি শুভ হোক।
আমাদের বাসায় ও একটি কদবেল গাছ আছে। আমাদের গাছটা অনেক বড় হওয়ার কারণে গাছে উঠে কদবেল পারা যায় না। দেখে ভালো লাগলো যে আপনি কদবেল গাছে উঠে কদবেল পেয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।