"লাল পাহাড়ের চূড়ায় বিভিন্ন দেবদেবীর মন্দির দর্শন"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১০ ই নভেম্বর, রবিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমরা প্রায় আধা ঘন্টা মতো বাইকে জার্নি করার পরে লাল পাহাড়ের সর্বোচ্চ চূড়ার মন্দিরের সামনে পৌঁছালাম। এখানে যে এতগুলো মন্দির আছে সেটা আমাদের একদমই অজানা ছিলো। সত্যি বলতে আমি এখানে একসাথে এতগুলো মন্দির দেখতে পেরে সারপ্রাইজ হয়ে গিয়েছিলাম। আমাদের এই পৃথিবীতে ধর্ম অনুসারে বিভিন্ন শান্তির জায়গা রয়েছে সেগুলো মন্দির, মসজিদ, গির্জা প্যাগোডা ইত্যাদি।
আমরা সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যেমন মন্দিরে গিয়ে শান্তি অনুভব করি তেমনি অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা তাদের ধর্মীয় স্থানে গিয়ে শান্তি লাভ করে। আমরা পাহাড়ের সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠে কিছু সময় দাঁড়িয়ে রেস্ট নিলাম। কারণ পাহাড়ে ওঠার সময় বেশ ভালোই এনার্জি লস হয়। যদিও আমরা পাহাড়ে বেশিরভাগ পথ বাইক নিয়ে উঠেছিলাম তারপরেও মাঝেমধ্যে পদ খারাপের জন্য হেঁটে হেঁটে আসতে হয়েছিলো।
লাল পাহাড়ের উপর থেকে এত সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। এখানে যতগুলি পাহাড় আছে সব থেকে সর্বোচ্চ উচ্চতা এই লাল পাহাড়ের। আমরা লাল পাহাড়ের চূড়ায় বাইক রেখে আমি আর আমার বন্ধু রাহুল কিছু সময় আশেপাশে ঘোরাফেরা করে সৌন্দর্য উপভোগ করতে থাকলাম।
আমরা যখন আশেপাশের সৌন্দর্য উপভোগ করছিলাম তখন দেখলাম যে, একজন ভক্ত মন্দিরে পূজা দিতে এসেছে। সত্যি বলতে উনি যে এতদূর কষ্ট করে পাহাড়ে মন্দিরে পূজা দিতে এসেছে দেখে অনেক ভালো লেগেছিলো। কারণ এই পাহাড়ের উচ্চতায় আমরা দুজন আর সেই পূজারী ভক্ত বাদে কেউই ছিলো না। সাদা রঙের এই সুন্দর মন্দিরটি ভগবান শিবের মন্দির।
তারপর পাশেই রয়েছে শ্রী শ্রী মাতা দক্ষিণা কালীর মন্দির। এই পূজারী মূলত শ্রী শ্রী মাতা দক্ষিণা কালীর মন্দিরে প্রদীপ জ্বালাতে এসেছিলো। কিন্তু ভুলবশত পূজারী দিয়াশলাই আনতে ভুলে গেছিল এই কারণেই প্রদীপ জ্বালাতে পারছিল না। আমাদের কাছে অবশ্যই তিনি শুনেছিল যে আগুন জ্বালানোর জন্য কিছু আছে কিনা! কিন্তু আমাদের কাছে আগুন জ্বালানোর জন্য কিছু না থাকাতে আমরা সাহায্য করতে পারিনি।
তখন আমরা বললাম যে, আপনি কিছু সময় ওয়েট করেন হয়তো আরো ভক্ত আসবে তাদের কাছ থেকে আগুন জ্বালানোর কিছু নিয়ে মোমবাতি প্রচলন করতে পারবেন। তিনি আমাদের কথা মতো মন্দিরের অপেক্ষা করতে থাকলো তারপর কিছু সময় যেতেই আরেকজন পূজারী আসলো। তারপর মায়ের মন্দিরে এ পূজারী মোমবাতি জ্বালালো।
এই মন্দির দুটির পাশেই ছিল ভৈরবতলী ও শিবতলী। মন্দিরের সাথে এই দুটি জায়গা ওদর্শন করতে পেরে ভীষণ ভালো লেগেছিল আমার কাছে। এক কথায় লাল পাহাড়ের চূড়ায় বিভিন্ন দেবদেবীর মন্দির দর্শন করতে পেরে মনের শান্তি অনুভব করছিলাম।
আজকে এ পর্যন্তই আমি আবার অন্য পোস্টে
শ্রীমঙ্গলের লাল পাহাড় ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সিলেট
তারিখ: ৫ ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেইম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
বাহ। পাহাড়ের চূড়ায় তো বেশ সুন্দর সুন্দর মন্দির তৈরি হয়েছে ভাই। পাহাড়ে উঠে মন্দির দর্শন করতে আমার খুব ভালো লাগে। এই কিছুদিন আগে উড়িষ্যায় পঞ্চলিঙ্গেশ্বরে অনেকটা পাহাড়ে উঠে শিবের মন্দির দেখে এলাম। আপনার ছবিগুলি দারুন হয়েছে। লাল পাহাড়ের সৌন্দর্য মন ভালো করে দিচ্ছে। এতগুলি মন্দির পাহাড়ের শোভা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
পাহাড়ের চূড়ায় বিভিন্ন রকম মন্দির রয়েছে জেনে ভালো লাগলো। চারপাশের এরিয়া ভীষণ সুন্দর। ভালোই লাগছে প্রাকৃতিক এই সৌন্দর্যগুলো দেখে। আপনাদের কাটানো মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পাহাড়ের চূড়ায় মন্দির ব্যাপার টা বেশ ইন্টারেস্টিং তো। তার উপরে আপনারা জানতেন না ঐ মন্দির সম্পর্কে। বেশ একটা সারপ্রাইজ পেয়ে গিয়েছিলেন নিজে থেকে। চমৎকার লাগল আপনার ফটোগ্রাফি গুলো এবং পোস্ট টা। দারুণ ছিল সবমিলিয়ে।