"এস.এ পরিবহনে সিলেটে পিসিমনিদের বাসায় আম ও কলা পাঠানো"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ৮ ই জুলাই, শনিবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। কিছুদিন আগে আমি ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে বাড়িতে এসেছিলাম। আসলে আমার চোখের সমস্যার কারণে এখনো ঢাকাতে যাওয়া হয়নি। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে, আমার পিসিমণির বাসা সিলেটে কারণ আমি সেখানে কয়েকবার গিয়েছিলাম এর আগে। আমি যখন বাড়িতে অথবা কুষ্টিয়া থাকতাম তখন প্রতিবছরই আমাদের বাগানের আম এবং কলা আমার পিসিমনির বাসায় এস.এ পরিবহনে করে পাঠিয়ে দিতাম। এ বছরে ভাবছিলাম যে হয়তো পিসিমনির বাসায় আম এবং কলা পাঠাতে পারবো না, কারণ আমি তো ঢাকাতে ছিলাম।
কিন্তু ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসে দেখি আমাদের বাগানের আম এবং কলা দুটোই এখনো অনেক রয়ে গেছে। তাই আমি বাড়িতে আসার পরের দিনে ই আমাদের বাগান থেকে আম পেড়ে আনলাম এবং কলা বাগান থেকে কলা কেটে আনলাম। যদিও আমাকে এই কাজের জন্য আমার এক ছোট কাকাতো ভাই অনেক সাহায্য করেছিলো। কারণ ও না থাকলে হয়তো আমার এই কাজগুলো করতে আরো অনেক কষ্ট হতো।
আমাদের বাগানে অনেক রকম কলমের সুস্বাদু আমের গাছ রয়েছে। আর এ বছরে প্রচুর পরিমাণে আম ধরেছিলো। তাই আমি পিসিমণির বাসায় পাঠানোর জন্য, আম্রপালি, হিমসাগর, আষাঢ়ে ফজলি, লাটু, আম পেরে এনেছিলাম। আর আমাদের বাগানের ছবরি কলা কেটে এনেছিলাম। আসলে আমার ছোট ভাই দীপ্ত ছবরি কলা অনেক পছন্দ করে ওর জন্যই মূলত কলা পাঠানো হয়। আম এবং কলাগুলো কাঁচা এনেছিলাম কারণ অনেক দূরের পথ তাই কয়েক দিন লাগবে যেতে। আর যেতে যেতেই আম এবং কলা পেকে যায়।
আগেই আমার বাবা বাজার থেকে আম এবং কলা পাঠানোর জন্য ক্যারেট কিনে এনেছিল। তারপর আমি বাড়িতে এসে ক্যারেট বাধাই করার জন্য দরি এবং পেপার কিনে এনেছিলাম। তারপর আম এবং কলা দিয়ে সুন্দর মত ক্যারেট প্রস্তুত করেছিলাম। কারণ এখান থেকে এই ক্যারেট যাবে কুষ্টিয়ায় তারপর সেখান থেকে এস এ পরিবহন হয়ে সিলেট সুনামগঞ্জে যাবে। আসুনামগঞ্জ শহর থেকেও আমার পিসি মনিদের বাসা আরো ৩০ কিলোমিটার মতো ভেতরে। তাই ক্যারেট অনেক সুন্দর করে সাজিয়েছিলাম।
ক্যারেট সাজানো হয়ে গেলে যখন কুষ্টিয়া যাবো তখন হঠাৎ করেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। ক্যারেটের উপরে যেহেতু শুধুমাত্র পেপার দেওয়া আছে আর বৃষ্টিতে তো অবশ্যই ভিজে যাবে। তাই আবার ক্যারেটের উপরে পলিথিন দিয়ে নিলাম যাতে বৃষ্টিতে না ভিজে যায়। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির ভিতরেই বাড়ি থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে গেলাম।
তারপর ট্রেনে করে অনেক ভিড়ের ভেতর কুষ্টিয়াতে গেলাম। ভীড় হওয়ার কারণ আমি ঈদের দুই দিন আগে গিয়েছিলাম তাই। কুষ্টিয়া বড় স্টেশনে নেমে রিক্সা নিয়ে সোজা চলে গেলাম এসে পরিবহনে।
এস এ পরিবহন এগিয়ে সোজা কাউন্টারে কথা বললাম। কাউন্টার থেকে বলল যে, দুইদিন পরে ঈদ গাড়ি গেলে আপনার ক্যারেট যাবে আর না হলে যাবে না। কিন্তু আমি আগে ই বাড়ি থেকে কাউন্টারে ফোন দিয়ে শুনে নিয়েছিলাম যে গাড়িটি যাবে কিনা তারা বলেছিলো যে, সমস্যা নেই গাড়ি যাবে। এখন যতক্ষণ কুষ্টিয়াতে নিয়ে গিয়েছে আবার ফেরত আনবো এ নিয়ে বিপদে পড়ে গেলাম। তারপর কাউন্টার থেকে বললো যে, সমস্যা নেই আপনি ক্যারেট বুকিং দিয়ে দেন গাড়ি যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তখন আমি তাদের কথা মতো ৪৫০ টাকা দিয়ে বুকিং দিয়ে দিলাম। তবে গতবারের তুলনায় পরিবহনের ভাড়া টা দেড় গুণের থেকেও বেশি। এক কথায় এতদূর থেকে কিছু পাঠাতে গেলে খাজনার থেকে বাজনায় বেশি পড়ে যায়।
আসলে সব কিছু দাম বৃদ্ধির কারণে ভাড়াটা ও বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তারপর ওই রকমই রিস্ক নিয়ে ক্যারেট বুকিং সম্পন্ন করে বাসায় চলে আসলাম। তারপর পিসিমণিকে জানিয়ে দিলাম যে, তোমাদের জন্য আম এবং কলা পাঠিয়ে দিয়েছি। তারপর কয়েকদিন পরে আমার বড় দাদা ফোন করে বললো যে, চলে এসেছে সুনামগঞ্জে। তখন একটু মনের ভেতর শান্তি লাগতেছিল যে, যাক শেষমেষ আমার পাঠানো আম ও কলা খেতে তো পারবে।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরাম্যান | @aongkon |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং জে-৭ প্রো |
ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ২৬ ই জুন |
লোকেশন | কুষ্টিয়া |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon


এ রকম ভাইস্তা থাকলে পিসিমনি কি আম না পেয়ে থাকবে! তবে আপনার পোস্টের মাধ্যমে নতুন একটি আমার নাম জানলাম লাটু আম। এ আমের নাম কখনও শুনিনি। তবে আপনার কস্ট যে শেষ পর্যন্ত স্বার্থক হলো তাতেই স্বস্তি। অনেক ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আমিও আমার পিসিমণিকে খুব ভালোবাসি আপু। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়া কুষ্টিয়া থেকে নিজের বাগানের ফরমালিন মুক্ত আম আর কলা গেলে সিলেট। পদ্ধতিটা কত সহজ হয়েছে। একদিনেই দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে আম চলে যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ ভাই আমাদের বাগানের ফরমালিন মুক্ত আম ও কলা। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।