"ছোট ভাই দীপ্তর জন্মদিনের সুন্দর মুহূর্ত"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১৪ ই ডিসেম্বর, শনিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কভার ফটো
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। এইতো কিছুদিন আগেই সিলেটের সুনামগঞ্জে আমার পিসিমণির বাসায় গিয়েছিলাম। এবারে পিসিমণির বাসায় যাওয়ার মূল কারণ ছিল আমার ছোট ভাই দীপ্তর জন্মদিন। এবারের জন্মদিনের বেশ কয়েকদিন আগেই পিসিমণি নিয়ে আমাকে ফোন করেছিল তাদের বাসায় যাওয়ার জন্য। আর ছোট ভাই দীপ্ত খুব করে বলেছিল যে, দাদা এবারে আমার জন্মদিনে তুমি আসবা। ভাই ছোট ভাই দীপ্তর কথা রাখতেই পিসিমণির ভাষাতে গিয়েছিলাম। আপনারা হয়তো এটা জানেন যে, ছোট ভাই দীপ্তর জন্মদিন উপলক্ষে ওর পছন্দ মতো রিমোট কন্ট্রোল ফায়ার ট্র্যাক গিফট দিয়েছিলাম। দীপ্তর জন্মদিনে আমার গিফট পেয়ে খুব খুশি হয়েছিল আমিও ওর খুশি দেখে অনেক আনন্দিত ছিলাম। যাইহোক আজকে আমি আমার ছোট ভাই দীপ্তর জন্মদিনের সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
প্রতিটি মানুষ জন্মদিন সুখের সাথে পালন করে। সবাই এই দিনটিকে সুখের দিন হিসাবে গণ্য করে আমি নিজেও এর ব্যতিক্রম নই। এবারে আমার ছোট ভাই দীপ্তর জন্মদিন উপলক্ষে সিলেটে পিসি মনির বাসায় গিয়েছিলাম। এখানে যাওয়ার আগে ছোট ভাই দীপ্তর জন্য জন্মদিনের রিমোট কন্ট্রোল ফায়ার ট্রাক গিফট নিয়ে গিয়েছিলাম। আমার গিফট পেয়ে ছোট ভাই দীপ্ত অনেক খুশি হয়েছিল। সত্যি বলতে ছোটরা খুশি হলে বড়রা অনেক আনন্দিত হয়। কারণ ওদের খুশিতেই আমাদের খুশি।
প্রতিবছর মোটামুটি আমার ছোট ভাই দীপ্ত ওর জন্মদিন বেশ ধুমধামের সাথেই করা হয়। কিন্তু এ বছরটাতে পিসিমণি একটু অসুস্থ থাকার কারণে তেমন একটা আয়োজন ছিল না। শুধুমাত্র আমার ছোট ভাইয়ের মন রক্ষার জন্য যা যা করা দরকার তাই তাই করেছিল। গত নভেম্বর মাসের ৩০ তারিখে আমার ছোট ভাই দীপ্তর ৬ বছর পূর্ণ হয়ে ৭ বছরে পদার্পণ করলো। প্রতিবছর ছোট ভাই দীপ্তর জন্মদিনের কেক অর্ডার করে তপন মামা এ বছরেও জন্মদিনের কেক অর্ডার করেছিল।
আর বাসায় পিসিমণি জন্মদিন উপলক্ষে পায়েস, হাঁসের মাংস, মুরগির মাংস, পোলাও তরকারি এসব রান্না করেছিল। আর এসব রান্না করার কাজে আমার পিসেমশাই, দাদা আর আমি সাহায্য করেছিলাম। সবাই মিলে সাহায্য করলে অবশ্য একজনের উপর প্রেসার অনেক কম পড়ে। যাইহোক দিন সকালেই সবকিছু রান্না শেষ করে সন্ধ্যার দিকে তপন কাকা কেক, মোমবাতি আর বার্থডে বেলুন এনে বাসায় দিয়ে যায়।
তারপর আমরা নিজেরা বার্থডে বেলুনগুলো দেওয়ালের সাথে এবং মোমবাতিগুলো কেকের চারপাশে সাজিয়ে নিই। তারপর মোমবাতিগুলো প্রজ্জলন করি। তারপর ছোট ভাই বোনের বেশ কয়েকটি ছবি তুলে রাখি। ওরা অনেক ছোট ছিল তাই সন্ধ্যার সময় আয়োজন করেছিলাম।
যাই হোক শুভ জন্মদিনের কেক কাটার পূর্বে ছোট ভাই দীপ্ত ফু দিয়ে সব মোমবাতিগুলো নিভিয়ে তারপর কেক কাটলো। সত্যি বলতে এই সময়ে ওর আনন্দটা দেখে খুব ভালো লাগছিল আমাদের সবার। আর আমরা সবাই একসাথে হাততালির সাথে হ্যাপি বার্থডে এর উইশ করছিলাম। হ্যাপি বার্থডে টু ইউ দীপ্ত, হ্যাপি বার্থডে টু ইউ দীপ্ত, হ্যাপি বার্থডে টু ইউ দীপ্ত।
শুভ জন্মদিনের কেক কেটে প্রথমে ছোট ভাই দীপ্ত আমার মুখে তুলে দিল তারপর আমিও ওর মুখে তুলে দিলাম। সত্যি বলতে এই মুহূর্তটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। তারপর আমি কেক সুন্দরভাবে কেটে সবাইকে দিলাম। এবারে ছোট ভাই দীপ্তর জন্মদিনে সবাই মিলে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। এমন সুন্দর সময় ওর জীবনে অগণিত বার ফিরে আসুক ঈশ্বরের কাছে সেই প্রার্থনাই করি। আমার ছোট ভাই দীপ্তর জন্য সবাই আশীর্বাদ করবেন যেন ও বড় হয়ে একজন আদর্শ মানুষ হতে পারে।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ৩০ শে ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: সুনামগঞ্জ, সিলেট
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি কে !
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
ছোট ভাই দীপ্তর জন্মদিন উপলক্ষে সবাই মিলে বেশ ভালোই আয়োজন করেছেন। তবে এটা ঠিক বলেছেন ছোটরা যদি আনন্দিত হয় নিজেদের পছন্দমত কিছু পেলে তার চেয়ে বেশি আনন্দিত হয় বড়রা। আপনার পিসিমণি অসুস্থ থাকলেও আপনারা সবাই মিলে সাহায্য করার কারণেই সবকিছু সুন্দরভাবে সম্ভব করতে পেরেছেন।
আপনার ছোট ভাই দীপ্তর জন্মদিনে ঘরোয়া ভাবে আপনারা সবাই বেশ আনন্দ উপভোগ করেছেন। এবং আয়োজনও খুবই ভালো হয়েছে। ভাইকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি জীবনে অনেক বড় হোক ভালো থাকুক।
অসুস্থতার জন্য অল্প করে হলেও তো বেশ ভালোই আয়োজন করেছেন তারা। আসলেই জন্মদিনটা সকলেই আনন্দের সাথেই কাটাতে চায়, অন্য দিনের থেকে কিছুটা স্পেশাল করেই কাটাতে চায়। আপনার ছোট ভাই দীপ্তর জন্য শুভকামনা রইলো।
আপনার ছোট ভাইয়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো ও যেন বড় হয়ে খুব ভালো মনের মানুষ হয়।জন্মদিনে ছোট বাচ্চারা খুবই আনন্দ করে। সবাই নিশ্চয়ই অনেক খুশি হয়েছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া ছোট ভাইয়ের জন্মদিনের সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
সবাই মিলে ধুমধাম করে ছোট ভাইয়ের জন্মদিনের উৎসব পালন করেছেন। আপনার ছোট ভাইয়ের জন্য রইল শুভকামনা। দোয়া করি তার জীবনে এমন জন্মদিন বার বার ফিরে আসুক। আপনার ছোট ভাই বড় হয়ে মানুষের মত মানুষ হোক সেই কামনাই করছি।
প্রথমে আপনার ছোট ভাই দীপ্তকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ছোট ভাইয়ের জন্মদিন উপলক্ষে আপনারা সবাই মিলে খুব সুন্দর ভাবে ঘরোয়া আয়োজন করেছেন। জন্মদিনের দিন ছোট বাচ্চারা এমনিতে অনেক আনন্দ করে। দীপ্তকে দেখে বোঝাই যাচ্ছে সে অনেক খুশি ছিল। সব মিলিয়ে আপনারা খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।