"বিকালের সুন্দর মুহূর্ত"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ-২ রা জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কভার ফটো
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। কয়েকদিন হল ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে এসেছি এখানে এসে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করছি। গ্রামীণ প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতে সবথেকে বেশি পছন্দ করি। আমার কাছে এমনটা মনে হয় যদি জীবনের শেষ পর্যন্ত গ্রামীণ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারতাম তাহলে অনেক বেশি ভালো হতো। কিন্তু লেখাপড়া কিংবা কর্মসংস্থানের কারণে শহরে যেতে হয়। তবে শহরে আমার একদম মন বসে না তাই সময় পেলেই ছুটে আসি গ্রামীন প্রকৃতিতে। গ্রামে এসে বন্ধু, বড় ভাই, ছোট ভাই এদের সাথে ঘুরে বেড়াতে ভীষণ ভালো লাগে। গতকালকে আমরা বাইক নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে কুমারখালী গিয়েছিলাম সেই মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
গ্রামের বাড়িতে আসলে সব সময় বন্ধু, বড়, ভাই, ছোট ভাই এদেরকে নিয়ে একসাথে অনেক আড্ডা দেওয়া হয়। আর আড্ডা দেওয়ার জন্য আমাদের কোন স্পেসিফিক স্থানের প্রয়োজন পড়ে না, আমরা যেখানে সবাই মিলে একত্রিত হয়ে সেখানে আড্ডা শুরু হয়ে যায়। আমরা গত পরশুদিন প্লানিং করে রেখেছিলাম যে, গতকালকে বিকালের দিকে বাইক নিয়ে কুমারখালীর গোলাম কিবরিয়া ব্রিজে ঘুরতে যাবো।
কুমারখালী গোলাম কিবরিয়া ব্রিজ মাত্র বছর দুয়েক হল হয়েছে। এই জায়গাটিতে বিকালের দিকে অনেক মানুষ অবসর সময় কাটাতে আসে। গড়াই নদীর উপরের এই ব্রিজ দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। আর সব থেকে বেশি ভালো লাগে এই ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নদী শীতল ঠান্ডা হাওয়া খেতে। যদিও এখন শীতের সময় শীতের হাওয়া আর ভালো লাগেনা তার পরেও ভালো লাগে নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
আমরা বিকাল চারটার দিকে ভবানীগঞ্জ বাজার থেকে সবাই মিলে একত্রিত হয়ে চারটি বাইক নিয়ে ৮ জন রওনা দিলাম। আমাদের ভবানীগঞ্জ বাজার হতে কুমারখালীর গোলাম কিবরিয়া ব্রিজের দূরত্ব মাত্র ৮ কিলোমিটার মত হবে। আমরা মোটামুটি ১৫ মিনিটের ভেতরেই গোলাম কিবরিয়া ব্রীজের উপর পৌঁছে গিয়েছিলাম। যেখানে গিয়ে আমরা অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। তারপর সন্ধ্যার পরে সেখান থেকে রাহাত রেস্টুরেন্টে আসলাম নুডুলস আর কেক খাওয়ার জন্য।
এই রেস্টুরেন্টে আমরা বেশ কয়েকবার এসেছি এখানে খেতে আমাদের কাছে অনেক ভালো লাগে। কিছুদিন আগে যে, জায়গাতে এই রেস্টুরেন্ট ছিল বর্তমানে এর স্থান পরিবর্তন হয়েছে। যাই হোক আমরা রেস্টুরেন্টে গিয়ে নুডুলস আর কেক অর্ডার করলাম। তারপর টেবিলে বসে কিছু সময় আড্ডা দিলাম।
আমাদের টেবিলে চারজন বসেছিলাম আর অন্য একটা টেবিলে আরো চারজন বসেছিল। একটু অপেক্ষা করতেই নুডুলস এবং কেক আমাদের টেবিলে দিয়ে যায়। তারপর ঝটপট একটা সেলফি উঠে নিলাম। প্রথমে আমরা ঝাল খাবার অর্থাৎ নুডুলস খেলাম তারপর কেক খেলাম। তারপর খাওয়া দাওয়া শেষ করে সবাই মিলে বাইক নিয়ে আমাদের গন্তব্যের থেকে রওনা দিলাম।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২ রা জানুয়ারি ২০২৫ খ্রিঃ
লোকেশন: কুমারখালী, কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি কে !
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
0.00 SBD,
0.00 STEEM,
0.00 SP
গতকাল এই মুহূর্তটা দারুন ছিল। নদীর পাড়ে গিয়ে অনেক সময় আড্ডা দেওয়া হয়েছে । আসলে শীতের মধ্যে কোথাও যাওয়ার মন মানসিকতা না থাকলেও হয়ে যায়। খাওয়া-দাওয়ার বিষয়টা মোটামুটি ভালই ছিল। গতকাল অনেক সময় আড্ডা দিলাম।