ভ্রমণ: সিলেট ভোলাগঞ্জের সাদা পাথরে পৌঁছালাম।
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১৭ ইজুন, সোমবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সাদাপাথর, সিলেট
তারিখ: ২ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
আমরা ভোলাগঞ্জের সাদা পাথরের উদ্দেশ্যে নৌকাতে করে যাওয়ার সময় দূর থেকে মেঘালয় পাহাড়ের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছিলাম। আমি পুরো সিলেটে যতগুলো জায়গায় ভ্রমণ করেছিলাম সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিলো আমার ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর ভ্রমণ। অনেক দূর থেকে মনে হচ্ছিলো মেঘালয় পাহাড়গুলো মেঘের ভেতরে মিশে গেছে। আমি জানিনা মেঘালয় পাহাড়ের নামকরণ করা হয়েছে কিভাবে কিন্তু আমার কাছে মনে হয় এই পাহাড়গুলো মেঘের ভেতরে মিশে গেছে বলেই মেঘালয় পাহাড় নামকরণ করা হয়েছে।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সাদাপাথর, সিলেট
তারিখ: ২ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
সাদা পাথরে যাওয়ার সময় আমরা প্রচন্ড রকমের সূর্যের তাপের সম্মুখীন হয়েছিলাম। সেদিন সূর্যের এতটাই তাপ ছিল যে, শরীরের চামড়া পর্যন্ত পুড়ে যাচ্ছিলো। তবে নৌকাতে করে যাওয়ার সময় একটু স্বস্তি পেয়েছিলাম কারণ নৌকার উপরে ছাউনি ছিলো। আর নদীর শীতল ঠান্ডা বাতাস মনকে প্রশান্তি করছিলো। প্রচন্ড রোদের ভেতর ট্রাভেল করতে বের হলে কালো চশমা বেশ সহায়ক হয়।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সাদাপাথর, সিলেট
তারিখ: ২ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
আমরা মোটামুটি ২০ মিনিটের ভেতরেই ধলাই নদী পার দিয়ে সাদা পাথরে পৌঁছে যাই। সাদা পাথরে যেখানে নৌকাগুলো থামে সেখান থেকে মেইন পর্যটক স্পটে হেঁটে যেতে কয়েক মিনিট সময় লাগে। আমরা নৌকা থেকে নামার পরে নৌকার মাঝির নাম্বার রেখে দিলাম কারণ ফেরার পথে ফোন দিলে যাতে সাথে সাথেই মাঝিকে পেয়ে যাই। এখানকার প্রতিটি নৌকা যেসব পর্যটক নিয়ে আসে আবার ফেরার সময়ও সেই একই পর্যটকদের নিয়ে ফেরত যায়। এখানকার বেশিরভাগ পর্যটকেরা পায়ে হেঁটেই সাদা পাথরের মেইন স্পটে যায় তবে কেউ কেউ শখের বসে ঘোড়াতে করেও যায়।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সাদাপাথর, সিলেট
তারিখ: ২ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
যাইহোক আমাদের ঘোরাতে চোরা শখ ছিল না তাই আমরা পায়ে হেঁটে সাদা পাথরের উদ্দেশ্যে রওনা দিই। নৌকা ঘাটে দেখলাম বেশ কিছু দোকান রয়েছে এসব দোকানগুলোতে ইন্ডিয়ান পণ্য সব থেকে বেশি পাওয়া যায়। তবে যারা বিক্রি করছে তারা সবাই বাংলাদেশি। এখানে বাংলাদেশ থেকে যেসব পর্যটক করে আসে তারা অনেকেই এসব ইন্ডিয়ান পণ্যগুলো এখান থেকে ক্রয় করে নিয়ে যায়।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সাদাপাথর, সিলেট
তারিখ: ২ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
আমরা যতই হেঁটে সামনের দিকে যাচ্ছিলাম ততই মনের ভিতরে ভীষণ ভালো লাগছিলো। কারণ মেঘালয় পাহাড় গুলো তখন মনে হচ্ছিলো নিজের কাছে টানছে আমাদেরকে। ভোলাগঞ্জের এই জায়গাটির নাম সাদা পাথর হলেও এখানে সত্যি বলতে অনেক রঙের পাথর দেখতে পাওয়া যায়। তবে সবথেকে বেশি রয়েছে সাজা পাথরের এটা সত্যি।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সাদাপাথর, সিলেট
তারিখ: ২ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
আমরা মোটামুটি ৭-৮ মিনিট হাঁটার পরে পৌঁছে গেলাম সাদা পাথরের মেইন স্পটে। এই জায়গাটিতে পর্যটকরা এসে চেয়ার ভাড়া নিয়ে এখানকার সৌন্দর্য উপভোগ করে। আমরা যেদিন গিয়েছিলাম সেদিন সেখানে প্রচন্ড রোদ ছিল তাই চেয়ারের কদরও অনেক বেশি ছিলো। আমরা অবশ্য প্রথমে গিয়ে চেয়ার ভাড়া না করে স্নান করার জন্য সামনের দিকে এগোতে থাকি।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সাদাপাথর, সিলেট
তারিখ: ২ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
আমরা প্রথমে গিয়েই সাদা পাথরের একটা স্পটের বদ্ধ জল দেখে একটু হতাশ হয়ে ছিলাম। কিন্তু স্নান করার জন্য সামনের দিকে আরো কয়েক মিনিট হাঁটার পরেই সেখানকার সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। সাদা স্বচ্ছ জলের ভেতরে বিভিন্ন রঙের পাথরগুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগছিলো।
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
সিলেট ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর বাংলাদেশের খুবই বিখ্যাত একটি পর্যটন এলাকা। বাংলাদেশের হাজার হাজার মানুষ সেখানে ঘুরতে যাই। আপনি সেখানে গিয়ে দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল। পাথরের ফটোগ্রাফি টা সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। আপনার অনুভূতি পরেও দারুন লেগেছে।। ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ ভাই সিলেট ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর বাংলাদেশের খুবই পরিচিত পর্যটন কেন্দ্র। আমরা সেখানে গিয়ে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আমার ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন ভাই। আসলে এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জায়গায় যেতে খুব ভালো লাগে। চারদিকের পরিবেশ খুব চমৎকার। আসলে এমন জায়গা ঘুরতে গেলে অনেক ভালো লাগে। পাথরের ফটোগ্রাফি দেখতে বেশ দারুন লাগছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে ঘুরে বেড়াতে ভীষণ ভালো লাগে। আসলেই ভাই চারিপাশের পরিবেশটা সত্যিই অনেক চমৎকার ছিলো। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
ঘোড়াতে গেলে ব্যাপার টা আরও ভালো এবং অ্যাডভেঞ্চার হতো না ভাই হা হা। ভোলাগঞ্জ সাদাপাথরের নাম অনেক শুনেছি। অনেক ভিডিও দেখেছি। জায়গাটা চমৎকার সুন্দর । আপনার পোস্টে আপনাদের ভ্রমণ কাহিনি এবং পাশাপাশি আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগল। চমৎকার সময় কাটিয়েছেন ওখানে।
অল্প একটু পথ ভাই ঘোড়াতে গেলে তো ওরা ফ্রিতে নিতো না টাকা নিতো আর আমরা এডভেঞ্চারের মজাও পেতাম না। নিজের পায়ে হেঁটে যাওয়ার ভিতরে আলাদা একটি মজা আছে ট্রাভেল করার ক্ষেত্রে। ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর জায়গাটি আসলেই অনেক সুন্দর। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি। আপনার কাছ থেকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ আসলেই সাদা পাথর সম্পর্কে আমি অনেক শুনেছি এবং অনেক জায়গায় ফটোগ্রাফি গুলো দেখেছিলাম৷ আজকে আপনার কাছ থেকে এরকম সুন্দর একটি মুহূর্ত এবং ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷
ভাই যদি কখনো সময় হয় তাহলে অবশ্যই ভ্রমণ করার জন্য সাদা পাথর যাবেন আশা করি অনেক ভালো লাগবে। প্রকৃতির মাঝে সময় উপভোগ করলে নিজের মনও শান্ত থাকে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।