"গ্রামীন পিকনিকের সুন্দর মুহূর্ত"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২২ শে সেপ্টেম্বর, রবিবার,২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে, আমার বাড়ি গ্রামে। আর আমি ছোটবেলা থেকেই গ্রামে বড় হয়েছি। গ্রামীণ মানুষদের সাথে মিশতে আমি সবথেকে বেশি পছন্দ করি। কিছুদিন আগে ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে বন্ধু বড় ভাই আর ছোট ভাইদের নিয়ে পিকনিক করেছিলাম। গ্রামে গিয়ে এরকম পিকনিক করতে সত্যি আমার অনেক ভালো লাগে। আমাদের পিকনিকের সুন্দর মুহূর্ত এখন আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আমি ঢাকাতে থাকলেও মাঝেমধ্যে নিজের গ্রামে গিয়ে পাড়ার ছেলেপেলেদেরকে নিয়ে মাঝেমধ্যেই পিকনিক করি। এটা সত্যি আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আর আমাদের নিজেদের ভেতর ভালো বন্ডিং রাখার জন্য পিকনিক বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমি গ্রামে গেলে যাদের সাথে সবসময় চলাফেরা করি তাদেরকে নিয়ে সবসময় সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করতে ভীষণ ভালো লাগে।
আমি গ্রামে গেলে প্রতিদিন বিকালে শ্যামল দাদার সাথে বাজারে গিয়ে সময় কাটায়। প্রতিদিনের মতো সেদিনও বাজারে গিয়েছিলাম হঠাৎ করেই একটা ছোট ভাই ফোন করে বলল যে, আজকে পিকনিক করলে কেমন হয়! তারপর আমি দাদার সাথে কথা বলে বললাম যে, পিকনিক করলে তো ভালই হয়। তখন ছোট ভাইকে ফোন করে বললাম যে, আমরা যেখানে পিকনিক করিস এই জায়গাটি পিকনিকের জন্য প্রস্তুত করতে।
আর বাজার থেকে আমি আর শ্যামলদা পিকনিকের জন্য যা যা লাগবে সবকিছুই কিনে ফেললাম। সেদিন বাজার থেকে আমাদের আসতে আসতে একটু রাত হয়ে গিয়েছিলো। কাল হঠাৎ করে পিকনিকের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমরা সব কিছু কিনে এনে আমাদের মাচার উপর সবাই মিলে একসাথে বসে পেঁয়াজ রসুন আদা মরিচ অর্থাৎ রান্নার জন্য যা যা প্রয়োজন সবকিছু কেটে নিলাম।
তারপর আমাদের বাড়ি থেকে রান্না করার জন্য যা যা লাগবে সবকিছু নিয়ে আমাদের পুকুরের পাড়ে চলে গেলাম। আমরা ইদানিং সব পিকনিক গুলোই পুকুরের পাড়ের মাচার পাশে করি। এই জায়গাটা অনেক সুন্দর সারাদিন এখানে অনেক বাতাস থাকে আর রাতেও। এক কথায় গরমের দিনে পিকনিকের ভালো একটি স্পট।
আমরা হঠাৎ করে পিকনিকে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এ কারণে পিকনিকে খাবারের আইটেম অনেক কম ছিল। আমাদের সেদিনের খাবারের মেনু ছিলো সাদা ভাত, মাংস, সালাদ আর সবকিছু খাবার শেষে কোল্ড ড্রিংস। সেদিনের সব কিছু রান্না করতে করতে রাত প্রায় বারোটা বেজে গিয়েছিলো।
তারপর রান্না শেষ করে সবাই মিলে একসাথে গোল হয়ে বসে গেলাম খাওয়ার জন্য। আমাদের পিকনিকের মেইন সুন্দর মুহূর্তটা থাকে যে, এটাই আমরা সবাই মিলে একসাথে গোল হয়ে বসে খাবার খাই। আমরা সবাই মিলে অনেক মজা করে খাবার খাওয়া শেষ করে মাচায় বসে অনেক রাত পর্যন্ত গল্প করে তারপর সবাই সবার বাসায় চলে গেলাম।
আমি সবসময় চেষ্টা করি গ্রামীন পিকনিক গুলোতে যুক্ত থাকার জন্য। সবার সাথে এভাবে মিলেমিশে পিকনিক করতে ভীষণ ভালো লাগে। তাইতো আমি যখনই ঢাকা থেকে বাড়িতে যাই তখনই সবার সাথে পিকনিক করে থাকি। আমি বাড়িতে গেলে প্রতি সপ্তাহেই পিকনিক করে থাকি। জীবনকে সুন্দরভাবে উপভোগ করার জন্য সবকিছুরই প্রয়োজন রয়েছে।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ২৭ শে জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |
লোকেশন | কুষ্টিয়া |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
গ্রামের বন্ধু বড় ভাইদের সাথে এইভাবে একত্রিতভাবে রাতে পিকনিক করার মজাটাই আলাদা। যেহেতু আমি গ্রামে বসবাস করি তাই এই পিকনিকের মজা আমি খুব ভালোভাবেই জানি। সব থেকে বেশি ভালো লাগে কলার পাতায় খেতে।
গ্রামের বন্ধু-বান্ধবের বড় ভাই, ছোট ভাইদেরকে নিয়ে একসাথে এভাবে পিকনিক ক্ষতি ভীষণ ভালো লাগে। আপনিও গ্রামীন পিকনিকের মজা জানেন এটা জেনে ভালো লাগলো। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
গ্রামে গেলে তো আপনি বেশ মজাই করেন দেখা যাচ্ছে। গ্রামের বড় ভাই বন্ধু সবাই মিলে পিকনিক খাওয়ার মজাই আলাদা। যদিও কম আইটেম কিন্তু দেখে খুবই ভালো লেগেছে। খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের শেয়ার করলেন অনেক ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু গ্রামে গেলে আমি অনেক মজা করি। সবাই মিলে একসাথে থাকলে খুব মজা করা হয়। অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম আমরা। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য।
বাহ বেশ বড়সড়ো পিকনিকের আয়োজন করেছিলেন তো। মাঝে মাঝে এসব গ্রামীণ পরিবেশের সাথে মিশতে হয় তাহলে মাটি এবং মানুষদের জানতে পারা যায়। আপনি অনেক চমৎকার একটি সময় কাটিয়েছেন সেই সাথে গ্রামীণ পরিবেশের কাছে যাওয়ার জন্য আপনি সময় বের করেছেন, এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল।
আমি গ্রামে গেলে সব সময় সবার সাথে প্রচন্ড পরিমাণে মেলামেশা করি। সত্যি বলতে গ্রামের মানুষদের সাথে সুন্দর সময় কাটাতে ভালো লাগে। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাদের পিকনিকের খাবারের আইটেম কম হলেও সবাই মিলে যে মজা করেছেন, এটাই সবথেকে বড় কথা। আসলে আমি নিজেও মাঝেমধ্যে শহর থেকে যখন গ্রামে যাই তখন পুরনো বন্ধুদের সাথে এভাবে পিকনিক করার চেষ্টা করি। তবে আপনার মত এতটাও সুযোগ পাইনা। আসলে জীবনটাকে সুন্দরভাবে উপভোগ করার জন্য মাঝেমধ্যে এরকম সময় অতিবাহিত করা অত্যন্ত জরুরী।
হ্যাঁ দাদা খাবারের আইটেম কম হলেও আমরা অনেক মজা করে। সবাই মিলে একসাথে থাকলে প্রচন্ড মজা হয়। এটা সত্যি বলেছেন জীবনকে সুন্দরভাবে উপভোগ করার জন্য মাঝেমধ্যে এরকম সময় অতিবাহিত করার প্রয়োজন রয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য।
হ্যাঁ ভাই, এটা একদম সত্যি কথা।
এইরকম পিকনিকের মধ্যে আলাদা একটা অনূভুতি থাকে। এই বছরের শুরুর দিকে যখন আমি বাড়িতে ছিলাম তখন প্রতিমাস এইরকম পিকনিক করতাম। আমাদের পিকনিকের খাবার কিন্তু ফিক্সড ছিল খিচুড়ি এবং মুরগির মাংস ভুনা। তবে সবচাইতে মজার ব্যাপার ছিল আমরা খেতাম কলাপাতায়। এটা সবচাইতে ভালো লাগত।
যারা গ্রামে থাকে তারা আসলে এরকম পিকনিকের মজা বোঝে। আমরাও মাঝেমধ্যে কলাপাতায় খাই অনেক ভালো লাগে। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
গ্রামীন পর্যায়ে এভাবে পিকনিক করলে বেশ ভালো লাগে। অনেক আনন্দ ও মজা হয় বন্ধুদের সাথে। আর এ পিকনিক গুলো রাত্রে বেলায় সবচেয়ে গ্রহণযোগ্যতা পায়। অনেকে গান-বাজনা করে আবার অনেকেই গান-বাজনার আয়োজন করে বিভিন্ন মিউজিক এর মাধ্যমে। এটা কিন্তু আমাদের গ্রাম বাংলার একটা ঐতিহ্য। বেশ কয়েক বছর আগে বন্ধুরা মিলে পিকনিক করেছিলাম এখন আর সেই পিকনিক করা হয়ে ওঠে না। আপনার এই সুন্দর মুহূর্তটা দেখে অতীতের বেশ কিছু কথা মনে আসলো।
আসলে ভাই বয়সের একটা সময় পেরিয়ে গেলে এরকম সুন্দর মুহূর্ত আর অতিবাহিত করতে হয়তো পারবো না তাই আগে আগে মজা করে নিচ্ছি। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
ভাই আপনি গ্রামীন পিকনিকের সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যা দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো এবং সেই ছোটবেলা দুরন্ত পনায় ফিরে যেতে মন চাচ্ছিল। ছোটবেলায় বর্ষার সিজনে কত হাঁস দিয়ে রাত্রিবেলায় এই পিকনিক গুলো করেছি আর কত আনন্দ করেছি। যাইহোক ভাই গ্রামীন পিকনিকের সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
এটা সত্যি বলেছে এ ধরনের পিকনিক এই বয়সেই করা হয় পরবর্তীতে আর হয়ে ওঠে না। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
পুকুর পাড়ে সবাই মিলে খুব সুন্দর পিকনিক করেছেন। এই ধরনের পিকনিক গুলোতে অনেক মজা হয়। আপনারা নিশ্চয়ই অনেক ইনজয় করেছেন সময়গুলো। আপনাদের কাটানো মুহূর্তগুলো দেখে ভালো লাগলো। সবাই মিলে কলাপাতায় বসে খেয়েছেন এটা দেখে আরো বেশি ভালো লাগলো। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু এ ধরনের পিকনিক গুলোতে অনেক বেশি মজা হয়। আমরা সবাই মিলে পিকনিকে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।