"কুমারখালীর মটকা চা খাওয়ার অভিজ্ঞতা"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২০ শে জুন, বৃহস্পতিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। প্রতিটি দিন যতক্ষণ না পর্যন্ত পোস্ট করি ততক্ষণ পর্যন্ত মনের ভেতরে একদমই ভালো লাগেনা। এমনটা মনে হয় যেন প্রতিদিনের কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাদ রয়ে গেছে। যে কোন জায়গায় আমি ভীষণ ঘুরে বেড়াতে যেমন পছন্দ করি, তেমনি বিভিন্ন জায়গার মজার মজার নতুন নতুন খাবার খেতে পছন্দ করি। গত বছরে আমার মামা, দাদা আর আমি পূজা দেখতে গিয়েছিলাম তারপর কুমারখালী থেকে মটকা চা খেয়েছিলাম সেই অভিজ্ঞতা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।
আমি ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ঘুরে শ্রী শ্রী দুর্গা পূজা দেখতে অনেক বেশি পছন্দ করি। যখন ছোট ছিলাম তখন বাইসাইকেলে করে বন্ধুদের সাথে নিয়ে পূজা দেখতাম। তবে সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে এখনো বন্ধুদের সাথে প্রতিবছর মোটরসাইকেল নিয়ে পূজা দেখি। সত্যি বলতে বিভিন্ন মন্দিরের এগিয়ে ঘুরে পূজা দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। এবছর পূজোতে বাড়িতে আসার আগেই আমার সমীর মামা ফোন করে বলেছিল যে, পূজার ভিতর তাদের বাড়িতে যাওয়ার কথা। তাই এবারে অষ্টমীর দিন এসেই আমার দাদাকে সাথে নিয়ে সমীর মামাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম।
তারপর মামাদের গ্রামের পূজা দেখে মামাকে সাথে নিয়ে কুমারখালী শহরে পূজা দেখতে বের হয়েছিলাম। আসলে প্রতিবছর মামার সাথে এভাবে পূজা দেখা হয় না বেশ কয়েক বছর পরে মামাকে সাথে নিয়ে পূজা দেখতে সত্যি ভীষণ ভালো লেগেছিলো। আমার কাছে মনে হয় পুজোর সময় নিজের বন্ধু-বান্ধব বাদেও নিজের পরিবার বা আত্মীয়-স্বজনদের সাথে কিছুটা সুন্দর সময় অতিবাহিত করা উচিত। তাহলে নিজেদের ভেতর সুন্দর সম্পর্কটা আরও দৃঢ়ও মজবুত হয়। আমরা কুমারখালী শহরের ভেতর বেশ কয়েকটি পূজা মন্ডপ দেখে তারপর কুমারখালীর গোলাম কিবরিয়া ব্রিজের উপর বেড়াতে গিয়েছিলাম।
তারপর ব্রিজের উপর থেকে মামা বলল যে, কুমারখালী পদ্মপুকুরের পাশেই একটি চায়ের দোকানে আছে সেখানে মটকা চা বিক্রি করে চলো গিয়ে মটকা চা খেয়ে আসি। সমীর মামার এই প্রস্তাবে আমরা দুজনেই মত দিলাম তারপর ব্রিজের উপরে আরো একটু সময় কাটিয়ে তারপর পদ্মপুকুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। কুমারখালীর গোলাম কিবরিয়া ব্রিজ হতে মোটরসাইকেল নিয়ে পদ্মপুকুরে যেতে পাঁচ থেকে ছয় মিনিট মতো সময় লেগেছিলো। যাইহোক আমরা আর সেখানে যাওয়ার পর আমাদেরকে বসতে দিলো তারপর মামা আমাদের জন্য তিনটা মটকা চায়ের অর্ডার করলো।
কুমারখালী এই বিখ্যাত মটকা চা তৈরীর প্রসেসিং টা একটু লং হওয়ার কারণে একটু ধৈর্য ধরতে হয়। আর তারপরেও এই মটকা চা খাওয়ার জন্য বেশ ভালোই লোকজন আসে এই দোকানে। আর পূজা কালীন সময়টাতে এমনিতেই মটকা চায়ের কদর বৃদ্ধি পায়। আমি অবশ্য এবারে মামার সাথে মটকা চা খাওয়ার পূর্বেও বেশ কয়েকবার এখানে এসে মটকা চা খেয়েছিলাম সত্যি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে মটকা চা তৈরীর ভিন্নরকম প্রসেসিংটা।
যাইহোক আমরা বেশ কিছু সময় অপেক্ষা করার পরে আমাদের কাঙ্খিত মটকা চা পেলাম। এমনি সাধারণ চায়ের থেকে মটকা চা সম্পূর্ণ আলাদা। সাধারণ চা গুলো খাওয়া হয় কাঁচের কাপে অথবা চিনামাটির কাপে কিন্তু মটকা চা মাটির ছোট গ্লাসে দেওয়া হয়। মটকা চা তৈরি করে এই গ্লাসে দেয়ার পরে মাটির গ্লাস ভীষণ গরম হয়ে থাকে তাই আলাদা করে দোকান থেকেই টিস্যু পেপার দিয়ে দেওয়া হয়। আমাদের জন্য যে মটকা চা বানিয়েছিল চায়ের কালার টা দেখেই সত্যিই মনটা ভরে গিয়েছিলো।
তারপর টিস্যু পেপার দিয়ে আস্তে করে গ্লাসটা ধরে মটকা চা খাওয়া আরম্ভ করলাম। আহ্ মটকা চা মুখে দিতেই আলাদা একটি ঘ্রাণ আলাদা একটি টেস্ট অনুভব করলাম। পৃথিবীতে যত ধরনের চা আছে প্রতিটি চায়ের আলাদা আলাদা টেস্ট। আমি ব্যক্তিগতভাবে সব ধরনের চা পছন্দ করি। অনেকদিন পরে মামা আর দাদার সাথে কুমারখালীর পদ্মপুকুরের মটকা চা খেতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছিলো। যারা এখনো মটকা চা খাননি তারা এই মটকা চা খেয়ে দেখবেন আশা করি ভালো লাগবে। আমাদের মটকা চা খাওয়ার অভিজ্ঞতাটা দারুন ছিলো।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ২২ শে অক্টোবর ২০২৩খ্রিঃ |
লোকেশন | কুমারখালী, কুষ্টিয়া |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
মটকা চা আজকে প্রথম শুনলাম। তবে চায়ের কালার টা দেখে কিন্তু মনে হচ্ছে ভীষণ সুস্বাদু ছিল খেতে। চা তৈরীর পদ্ধতিটা ও একদম নতুন খুবই ভালো লাগলো দেখে। কুমারখালীর মটকা চা খাওয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ আপু চা তৈরীর পদ্ধতিটা বেশ দারুন আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিলো। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আজ আপনি আমাদের মাঝে মটকা চা খাওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। মটকা চা খেতে আমার খুব ভালো লাগে। কিছুদিন আগে আমার ছোট খালামণি ঢাকা থেকে আমাদের বাসায় বেড়াতে এসেছিল আর সেই সময় আমরা সকলে মিলে মটকা চা খেয়েছিলাম। খাবার পর মাটির কাপগুলো আমি সঙ্গে করে বাসায় নিয়ে এসেছি। আমার কাছে মাটির কাপগুলো দেখতে খুব ভালো লেগেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া মটকা চা খাওয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করে নেয়ার জন্য।
বাহ্ আপু আপনিও মটকা চা খেয়েছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো আশা করি ভালো লেগেছে। আসলে আপু মাটির কাপগুলো ভীষণ সুন্দর। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
মটকা চা এর নাম শুনেছি অনেকবার কিন্তু কখনো খাওয়া হয়ে ওঠেনি। আজ আপনি কুমারখালীর মটকা চা খাওয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক সুন্দর লাগে মচকা চা আমার কাছে। কুমারখালী থেকে খেয়ে দেখতে পারো আশা করি ভালো লাগবে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কুমারখালীতে এই মটকা চা টা বেশ জনপ্রিয়। তবে এখন আরও কয়েক জায়গা পাওয়া যায়। কিন্তু সর্বপ্রথম শুরু করেছিল এরা। আপনাদের মটকা চা খাওয়ার অনূভুতি টা বেশ ভালো লাগল আমার কাছে। পাশাপাশি কুমারখালীর মধ্যে বেশ ঘোরাফেরাও করেছেন। সবমিলিয়ে দারুণ ছিল আপনার সময় টা।
মটকা চা আমি ভীষণ পছন্দ করি ভাই। আর এখান থেকে মটকা চা আমি বেশ কয়েকবার খেয়েছি। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
আপনি তো দেখতেছি অনেক সুন্দর করে মটকা চা খাওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। এই চা গুলোর নাম অনেক শুনেছি তবে খাওয়া হয় নাই। এবং এই চা গুলো ছোট ছোট মাটিতে পাত্রে দেওয়া হয়। আর আমাদের এই জাগাতে অন্য চা আছে। তবে এই চা গুলো খেয়ে আপনার ভালোই অভিজ্ঞতা হয়েছে। ধন্যবাদ অনেক সুন্দর করে পোস্টে আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।
তাহলে আপু এই সুন্দর টেস্টের মটকা চা খাওয়ার জন্য আপনি আমাদের এলাকাতে চলে আসুন। এই মটকা চা মাটির পাত্রে পরিবেশন করা হয় খাইতে অনেক সুন্দর লাগে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
কুমারখালীতে পুজো দেখতে গিয়ে মটকা চা খেয়ে দারুন অনুভূতি শেয়ার করেছেন। আসলে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করলে অনেক কিছু দেখা যায়, অনেক কিছু খাওয়ার অভিজ্ঞতা হয়। মটকা চা আমিও কয়েকবার খেয়েছি, খেতে ভালোই লাগে। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করলে বিভিন্ন দৃশ্য দেখা যায় আর অনেক অনেক খাবার খাওয়ার অভিজ্ঞতা হয়। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আসলেই ভাই পূজা কিংবা বড় কোনো উৎসবের সময় বন্ধু বান্ধবদের সাথে সময় কাটানোর পাশাপাশি, আত্মীয় স্বজনের সাথে সময় কাটাতে পারলে খুবই ভালো হয়। যাইহোক পূজার সময় আপনার সমীর মামার সাথে ঘুরাঘুরি করে মটকা চা খেয়েছেন,জেনে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। মটকা চা আমার খুবই পছন্দ। যাইহোক এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ্ ভাই আপনিও মটকা চা ভীষণ পছন্দ করেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। হ্যাঁ ভাই মামার সাথে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। খুবই সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।