"বন্ধুর সাথে সন্ধ্যায় কাটানো সুন্দর মুহূর্ত"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ৩১ শে অক্টোবর, বৃহস্পতিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। বন্ধু হচ্ছে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। পৃথিবীতে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না, যার বন্ধু নেই। আমার কাছে মনে হয় বন্ধুহীন পৃথিবীটা মরুভূমির মতো। মনের কথাগুলো শেয়ার করার জন্য হলেও একজন বন্ধুর প্রয়োজন। একজন ভালো বন্ধু একজন ভালো পথপ্রদর্শক হতে পারে। অনেকগুলো খারাপ বন্ধু থাকা চাইতে একটা ভালো বন্ধু থাকা অনেক বেশি ভালো। কয়েকদিন আগে বন্ধু রাহুলের সাথে সন্ধ্যায় সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম। আজকে আমি আপনাদের সাথে বন্ধু রাহুলের সাথে সন্ধ্যায় কাটানো সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।
যখন থেকে ঢাকা শহরে এসেছি তখন থেকেই আমি আর আমার বন্ধু রাহুল একসাথেই থাকতাম। তারপর হঠাৎ ওর জব হওয়াতে বাধ্য হয়ে বাসা চেঞ্জ করতে হয়। তারপরেও মাঝেমধ্যে আমাদের বাসায় এসে সময় কাটিয়ে যেতো অনেক ভালো লাগতো। কিছুদিন আগে পূজা ছুটিতে বাড়িতে গিয়েছিলাম তারপর সিলেট ট্যুর শেষ করে সপ্তাহ খানেক ঢাকাতে এসেছি। তবে এই ট্যুরে বন্ধু রাহুল জবের কারণে যেতে পারেনি। আর আমাদের এই ট্যুরে বন্ধু রাহুল না থাকাতে আমাদের মজা অনেকটাই ফিকে ছিলো।
ঢাকায় আসার পরে শুরু হলো ইউনিভার্সিটি মিডটার্ম পরীক্ষা। কয়েকদিন ধরে ভীষণ খারাপ লাগছিলো। বাসায় একা একা থাকতেও খুব একটা ভালো লাগে না। বন্ধু রাহুল থাকত দুজন মিলে গল্প করেই সারাদিন পার করে দিতাম। আর ভালো না লাগলে বাইক নিয়ে বাইরে ঘুরে বেড়াতাম। কিন্তু সেসব দিন এখনো অতীত হয়ে গেছে। যাইহোক সেদিনে পরীক্ষা শেষ করে বন্ধু রাহুলের সাথে ওর বাসায় গেলাম।
তারপর বাসা থেকে ফ্রেশ হয়ে বাইরে ঘুরতে বের হলাম। বন্ধু রাহুল কয়েকদিন আগে আমাকে বলেছিল যে, ওর বাসার পাশে নদীর পাড়ের খোলামেলা একটা জায়গায় হাঁসের মাংস আর চাউলের রুটি বিক্রি করে খাইতে নাকি অনেক সুস্বাদু। অনেকদিন দুই বন্ধু একসাথে খাওয়া হয়না আর দুজনেরই হাঁসের মাংস ভীষণ প্রিয়। যাই হোক আমরা হাঁসের মাংস আর চাউলের রুটি খাওয়ার জন্য নদীর পাড়ের সেই খোলামেলা জায়গায় গেলাম।
এখানে এসে দেখলাম যে, জায়গাটা অনেক পপুলার। দারুন হাঁসের মাংস আর রুটি খাওয়ার জন্য ভালোই লোকজনের সমাগম হয়েছিল। তবে বন্ধু রাহুল বললো যে, কয়েকদিন আগেও এত লোক হত না। যত দিন যাচ্ছে ততই এখানকার পপুলারিটি বৃদ্ধি বাড়ছে। এখানে অনেকগুলো দোকানের ভিতর থেকে একটি দোকান বেছে নিলাম।
এখানে দেশি হাঁসের মাংস ২৫০ টাকা বাটি আর চিনা হাঁসের মাংস ৩০০ টাকা বাটি। যেহেতু আমরা দুজন ছিলাম তাই একটা দেশি হাঁসের মাংস অর্ডার করলাম আর একটা চীনা হাঁসের মাংস অর্ডার করলাম। দুই আইটেমের দুইটা অর্ডার করার কারণ হলো যাতে দুজনেই দু'রকমের টেস্ট নিতে পারি। যাইহোক অর্ডার করার পরে আমরা টেবিল চেয়ারে বসে কিছু সময় গল্প করতে থাকলাম।
তারপর একটু পরেই আমাদের দুই বাটি হাঁসের মাংস আর ছয়টা রুটি আমাদের টেবিলে দিয়ে গেলো। তারপর শুরু করলাম খাওয়া-দাওয়া। আহ্ হাঁসের মাংসের টেস্ট এতই বেশি ছিল যে, দুই বন্ধু মিলে মাত্র ১৭ টা রুটি ও ২ টা পরোটা খেলাম। যদিও আরো খেতে পারতাম কিন্তু রুটির দাম একটু বেশি থাকার কারণে আর খায়নি। কারণ প্রতি পিস রুটির দাম ছিল ১০ টাকা করে।
যাইহোক আমরা খাওয়া-দাওয়া শেষ করে দোকানদারকে টাকা দিয়ে বন্ধুর রাহুলের বাসার সামনে নদীর পাড়ের একদম খোলামেলা জায়গায় চলে আসলাম। এই জায়গাটা যে, এতটা সুন্দর সত্যিই কল্পনা করা যায় না। আসলে রাতের বেলায় নদীর পাড়ে বসে থাকার মজাই আলাদা। আমরা দুই বন্ধু নদীর পাড়ে বসে অনেক সময় গল্প করে তারপর বাসায় গেলাম। সেদিন সন্ধ্যায় বন্ধু রাহুলের সাথে কাটানো মুহূর্ত অনেক সুন্দর ছিলো।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ২৬ শে অক্টোবর ২০২৪ খ্রিঃ |
লোকেশন | ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
আপনি তো দেখছি সন্ধ্যাবেলায় আপনার বন্ধুর সাথে ভালো একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আর সেই মুহূর্তটাকে অনেক সুন্দর করে আজকে শেয়ার করেছেন সবার মাঝে। ১৭ টা রুটি আর দুইটা পরোটা আপনার কাছে তো দেখছি অনেকটাই কম মনে হয়েছে। আমার তো মনে হয় আমি পুরো মাস ধরেও এতগুলো খেতে পারবো না। দুই বন্ধু মিলে তাহলে জমিয়ে খেয়েছিলেন হাঁসের মাংস দিয়ে রুটি।
বাহিরে গিয়ে এভাবে সময় কাটাতে আমি খুব পছন্দ করি। আর যদি খাওয়া দাওয়া করা হয় তাহলে তো আরো বেশি ভালো। আপনি আপনার বন্ধুর সাথে বাহিরে ভালো সময় কাটিয়েছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। এরকম হাঁসের মাংসের সাথে ১৭ টা কেন একসাথে তো ৩০ টা খাওয়া উচিত তাও আবার একজনের। যাইহোক দাম অনেক বেশি তাই জন্য দুজনে ১৭ টা খেলেন। সেই সাথে দুইটা পরোটাও খেয়েছেন।
যা বুঝতে পারছি আপনারা তো খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন বন্ধুরা রাহুলের সাথে। এরপর বন্ধুর সাথে খোলামেলা পরিবেশে মনোমুগ্ধকর জায়গায় উপস্থিত হলেন। আসলে বন্ধুর সাথে চলা খাওয়া দাওয়া করা আবার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে অবস্থান করা এগুলোর মধ্যে ভালোলাগা থাকে।
বন্ধু আর আপনি মাত্র ঐগুলো রুটি খেয়েছেন,যেটা আসলেই ভালো লাগলো।তবে এত রুটি আমার দ্বারা খাওয়া সম্ভব না।আমার ভাইকে দেখি এরকম ১০/১১ টা রুটি খেয়ে নিতে পারে।ভালো ছিল আপনার আজকের পোস্টটি,ধন্যবাদ।