"আমাদের ধানের ক্ষেত"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১৪ ই নভেম্বর, বৃহস্পতিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। কয়েকদিন হলো হল ঢাকা শহর থেকে গ্রামের বাড়িতে এসেছি। এখানে এসে প্রতিনিয়ত অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করছি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে সুন্দর সময় অতিবাহিত করতে ভীষণ ভালো লাগে আমার কাছে। গ্রামের সবুজ প্রকৃতির নির্মল বাতাস সব কিছুই আমাকে মুগ্ধ করে। যারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছে তারা গ্রামকে অনেক বেশি ভালোবাসে এমনি আমিও ব্যতিক্রম নই। আমার নিজের গ্রামে থাকা মানে অনেক আনন্দের অনেক খুশির। গ্রামের প্রত্যেকটি মুহূর্ত আমি উপভোগ করি। গ্রামে যখনই আসি তখনই যতটা সময় পাই ঘুরে বেড়ানোর চেষ্টা করি। কারণ গ্রামীন প্রকৃতিতে ঘুরে বেড়াতে ভীষণ ভালো লাগে আমার কাছে।
আমি গ্রামে আসলে ঘরে বসে থাকতে একদম ভালো লাগেনা। সবসময় চেষ্টা করি এই গ্রামীন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা তাই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে ঘুরে বেড়ায়। প্রতিদিন বাজার ঘাট বন্ধু-বান্ধবের সাথে দেখা এসবের পাশাপাশি ও একা একা মাঠে ঘুরে বেড়াতে ভীষণ ভালো লাগে। আমাদের গ্রামের সবাই প্রায় চাষাবাদের উপর নির্ভরশীল। এমনকি আমাদের পরিবারও বর্তমানে অনেকটা চাষাবাদের উপরেই নির্ভরশীল। বিকালের সময়টাতে মাঠে ঘুরে বেড়াতে ভীষণ ভালো লাগে।
সবুজ শ্যামলের ভরা মাঠের ভেতরে ফুরফুরে বাতাস হৃদয়কে প্রশান্তি দেয়। প্রায় তিন মাস আগে বাড়িতে এসে আমাদের জমিতে ধান লাগিয়েছিলাম। তারপর আর কখনো সেই ধানের মাঠে আমার যাওয়া হয়নি। তাই ভাবলাম যে নিজের লাগানো ধান কেমন হয়েছে মাঠে গিয়ে একটু দেখে আসি। আমাদের বেশ কয়েকটি ধানের ক্ষেত আছে তার ভেতরে একটি খেতে ধান লাগানোর সময় আমি ছিলাম।
আমাদের বাড়ির খুব পাশেই এই ধানের ক্ষেত হওয়ার কারণে বিকালের দিকে হাঁটতে মাঠের দিকে রওনা দিলাম। আমাদের বাড়ি থেকে ধানের ক্ষেতে পৌঁছাতে মাত্র তিন চার মিনিট সময় লাগে। আমাদের ধানের মাঠে পৌঁছানোর পরে ধানগুলো দেখে মনের কাছে ভালো লেগেছিলো আবার একটু খারাপ লেগেছিলো। আমার ভালো লাগার কারণ হলো গানগুলো তিন মাস আগে লাগিয়েছিলাম এখন অনেক বড় হয়ে গেছে কিছু দিনের ভেতরেই কেটে ঘরে তোলা যাবে।
আর খারাপ লাগার কারণ ছিল যে, আমাদের খেতে অর্ধেক ধানের গাছ মাটির সাথে নিয়ে রয়েছে। এমনটা হওয়ার কারণ হলো কিছুদিন আগে অতিবৃষ্টি আর বাতাসের কারণে ধানগুলো পড়ে গেছে। আমাদের আশেপাশের ক্ষেতগুলোতেও একই অবস্থা ছিল এক কথায় সবার ক্ষেত্রেই সমান ঘটনা। তবে এরকমটা হলে ধানের ফলন অনেক কমে যায়। আর কৃষকের বেশ ক্ষতি হয়।
প্রতিবছর অবশ্য এমনটা হয় না। এবছরে অতি বৃষ্টির কারণেই এমনটা হয়েছে। আর যে বছর অতিবৃষ্টি হয় সে বছরে ধান পাকতেও একটু বেশি সময় নেয়। আমাদের এলাকায় এবার বেশিরভাগ মানুষই হাইব্রিড প্রজাতির গোল্ডেন ধান লাগিয়েছে। এই ধানের ফলন মোটামুটি ভালো তবে আগে যে ধান লাগাতো সেই ধানে তুলনায় কম ফলন হয়।
তবে এবার আমাদের যে, ধান হয়েছে মোটামুটি ভালই ফলন হবে। যাইহোক বিকালে নিজেদের ধানের ক্ষেত দেখতে পেলে বেশ ভালই লাগছিল। এভাবে গ্রামীণ মাঠগুলোতে একা একা ঘুরে বেড়ানোর আলাদা একটি মজা রয়েছে। অনেকটা সময় ধানের ক্ষেতে চারপাশ দিয়ে ঘুরে ফিরে তারপর সন্ধ্যা লাগার আগেই বাড়িতে চলে আসলাম।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ১১ ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ |
লোকেশন | কুষ্টিয়া |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
বিকেলের দিকে এরকম পরিবেশে ঘুরতে একটু বেশিই ভালো লাগে। এই বছর আসলেই মোটামুটি সবার জমিতেই ধানের ফলন ভালো হয়েছে। প্রায় সব জায়গাতেই কিন্তু বাতাসের কারণে ধানের গাছ নুয়ে গেছে মাটির সাথে। আপনার নিজেদের জমিতে লাগানো তিন মাস আগের ধানক্ষেত পরিদর্শন করলেন এটা দেখে বেশ ভালো লাগলো। সেই সাথে আমাদের সাথেও সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করেছেন ,ধন্যবাদ।
এবছর আমাদের এদিকে দানার প্রভাবে ফসল অনেক নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এবং বন্যার কারণে বেশ কিছু জায়গা জুড়ে জল কিন্তু থেকেই গেছে। কারণ মেদিনীপুরের অনেক জায়গাতে জল নিকাশি ভালো না। সেই দিক থেকে আপনাদের মাঠভর্তি ধান দেখে মনটা খুশিতে ভরে উঠলো। আমরা তো কৃষি প্রধান দেশের মানুষ আমাদের কৃষিকাজ যত ভালো হয় সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ততই উজ্জ্বল হয়। ছবিগুলো নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই প্রতিটা ছবি আলোকিত আনন্দের ছবি।
গ্রামে গিয়ে ঘরে বসে থাকলে আসলেই ভালো লাগেনা। গ্রামে গিয়ে গ্রামীণ সৌন্দর্য উপভোগ করতে হয়। খুবই ভালো লাগলো আপনার আজকের পোস্ট দেখে। ধানক্ষেতের সৌন্দর্যগুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনি বেশ দক্ষতার সাথে ক্যাপচার করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো। দারুন এই মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মাঠভরা এই সোনালী ধান দেখতে আমাদের খুব ভালো লাগে। আপনি তো দেখছি দারুন দারুন কিছু ফটোগ্রাফি তুলেছেন আপনাদের এই ধানক্ষেতের। এছাড়াও আপনার অনুভূতিগুলো আমাদের মধ্যে খুব সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।