সরিষা ফুলের সৌন্দর্য দেখতে পদ্মা নদীর চরে যাওয়া।
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ৯ ই জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কভার ফটো
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি বেশ কয়েকদিন হলো গ্রামের বাড়িতে এসেছি এখানে এসে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করছি। সত্যি বলতে গ্রামীণ প্রাকৃতিক পরিবেশ আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আর এই কারণেই ঢাকা থাকা অবস্থায় যখনই সময় পাই তখনই গ্রামের বাড়িতে ছুটে আসি। ঢাকা শহুরে জীবন আমার কাছে একদমই ভালো লাগেনা। আমার কাছে এমনটা মনে হয় যদি গ্রামীন প্রকৃতির মাঝে সারাটা জীবন কাটিয়ে দিতে পারতাম তাহলে বেশ হতো। তবে লেখাপড়া এবং কর্মের জন্যই শহুরে জীবন বেছে নিতে হয়। যাইহোক কয়েকদিন আগে গ্রামে এসে বন্ধু বড় ভাই ছোট ভাইদের কে নিয়ে নদীর চরের সরিষা মাঠে ঘুরতে গিয়েছিলাম সেই সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আমি গ্রামে আসলে সব সময় চেষ্টা করি গ্রামীণ প্রকৃতিতে সময় কাটাতে। আমি যেহেতু ঘুরতে অনেক বেশি পছন্দ করি তাই গ্রামে আসলে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। আমি যে, শুধু এখানে একা ঘুরে বেড়ায় এমনটা নয় আমাদের গ্রুপের সবাই ভবঘুরে। এইতো কয়েকদিন আগে হঠাৎ করেই পদ্মা নদীর চরে সরিষা ক্ষেতের সুন্দর দৃশ্য দেখতে গিয়েছিলাম। এরকম সুন্দর দৃশ্য অবশ্য শীতকালেই দেখা সম্ভব হয়।
কারণ এ সময়ে গ্রামীণ চাষীরা চরের জমিতে সবথেকে বেশি পরিমাণে সরিষা চাষ করে থাকে। পদ্মা নদীর এই চড়ে আসলে সত্যিই একদম মন ভরে যায়। আমাদের ভবানীগঞ্জ বাজার থেকে অবশ্য পদ্মা নদীর চরের দূরত্ব খুব একটা বেশি না। তবে আমরা এসব জায়গাতে বাইক নিয়ে সব থেকে বেশি যায়। প্রকৃতি যে, কতটা সুন্দর সেটা পদ্মা নদীর চরের এই সরিষা ফুলের দৃশ্য দেখলেই বোঝা যায়।
আমরা পদ্মা নদীর চরের সরিষা ফুলের এই দৃশ্য দেখতে যাওয়ার আগের দিন প্ল্যানিং করে রেখেছিলাম। তারপর পরের দিনে বিকালে সবাই মিলে বাইক নিয়ে ভবানীগঞ্জ বাজারে একসাথে সেখান থেকে রওনা দিই। আমরা তিনটা বাইক নিয়ে মোট পাঁচজন গিয়েছিলাম। মাটির রাস্তা দিয়ে বাইক নিয়ে যাওয়ার সত্যিই দারুণ মজা আছে আমরা সেটা উপভোগ করি।
তবে চরের ভেতরের মাটি আর বালির রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বাইকসহ নিজেদের জামা কাপড়ের অবস্থা ধুলো লেগে খুব খারাপ হয়ে যায়। তবে এখানকার ধুলোও আমাদের কাছে প্রাকৃতিক লাগে। কারণ এসব ধুলোতে কোন নোংরা নেই। যাই হোক আমরা বিকালের দিকে সেখানে গিয়ে অনেক গল্প গুজব আর আড্ডা দিই। সবাই মিলে এভাবে একসাথে এরকম সুন্দর দৃশ্য দেখতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছিল।
এরকম দৃশ্য সচরাচর সব জায়গাতে দেখা যায় না। আমরা প্রতিবছর শীতের সময়ে সরিষা ফুলের সৌন্দর্য দেখার জন্য এই সব জায়গাতে বাইক ড্রাইভ করে আসি। এসব জায়গাতে বাইক ড্রাইভ করে আসা মানেই অ্যাডভেঞ্চার। আর আমাদের গ্রুপের সবাই অ্যাডভেঞ্চার প্রিয়। শীতের সময় যখন সরিষা ফুল হয় তখন এই চরে আসলে চারিদিকে সরিষা ফুলের গন্ধে ভরে যায়।
এমন সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করলে আসলে হৃদয় মুহূর্তের ভেতরে শীতল হয়ে যায়। আমরা সেদিন বিকালে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। তারপর সন্ধ্যার আগেই বাইক নিয়ে আবার যার যার বাসায় ফিরে এসেছিলাম।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ৩১ শে ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিঃ
লোকেশন: খোকসা, কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি কে !
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
0.00 SBD,
0.00 STEEM,
0.00 SP
যতদূর চোখ যায় ততদূর হলুদের সৌন্দর্য। সরিষা ক্ষেতের সৌন্দর্য দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গেলাম। গতকাল দেখেছিলাম কারোর একজনের পোস্ট এ তিনি যমুনা নদীর তীরে সরষে খেত দেখতে গেছেন, আর আজ আপনি পদ্মা নদীর তীরে গেছেন। নদী তীরবর্তী অঞ্চলগুলিতেই বোধহয় সরিষার চাষ ভালো হয় এবং বেশিও হয়। তাই না?
আসলেই সেখানে গেলে আলাদা একটা প্রশান্তি পাওয়া যায় যতদূর চোখ যায় হলুদ ফুলের এই সৌন্দর্য যেন সবকিছু কে হার মানায়। বন্ধু যদি প্রিয় মানুষকে নিয়ে এমন জায়গায় যেতে তাহলে দুজনেরই মনে আবার ভালোবাসা নতুন করে জাগ্রত হত হা হা হা।
আপনার সরিষা ফুলের ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। বাংলাদেশ ও ভারতে এই সরিষা ফুল শীতকালে দেখা যায়। আসলে আপনারা এই ফুলকে শীতকালীন ফুল ও বলতে পারেন।এই ফুলটি হলুদ রঙের হয় এজন্য দেখতে অনেক সুন্দর লাগে।