।। স্বার্থের বলি হল মেধাবী ছাত্র আকাশ।। 10% shy-fox beneficiary।।
১৭ই অক্টোবর/২০২২ইং।
রোজঃ সোমবার।
বন্ধুরা, নমস্কার/আদাব
আমি @amitab বাংলাদেশ থেকে "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির এপার বাংলা এবং ওপার বাংলার বাংলা ভাষাভাষী সকল বন্ধুদের জানাই শরৎ ঋতুর অপরূপ সৌন্দর্য কাশফুলের শুভেচ্ছা। আশারাখি সকলেই ভাল আছেন, আমিও ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সামনে একটি হাই স্কুলের শিক্ষক ও স্কুল পরিচালনা কমিটির স্বার্থের কারণে নবম শ্রেণীর একজন মর্মান্তিক মৃত্যুর স্বার্থের বলি হল মেধাবী ছাত্র আকাশ এর কিছু হৃদয়বিদার ক কথা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। যে ঘটনা আমার হৃদয়ে বারবার দোলা দিচ্ছে। তাই আপনাদের কাছে প্রকাশ করে নিজেকে হালকা করতে চাচ্ছি।
।। স্বার্থের বলি হল মেধাবী ছাত্র আকাশ।।
সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্যই স্থানীয় সুধী ও অভিভাবকদের সমন্বয়ে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি গঠন করার বিধান করেছে। কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মতের পার্থক্য থাকলে সেখানে নির্বাচনের মাধ্যমে শিখে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার অভিভাবক সদস্য নির্বাচন করতে হয়। কিন্তু জরিপে দেখা যায় দেশের প্রায় ৯৫ ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই পরিচালনা কমিটিকে নির্বাচন করে আসতে হয়। অর্থাৎ এ থেকে বোঝা যায় মথের পার্থক্য।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা কমিটি গঠন করার পরই ইশকে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও নির্বাচিত সদস্যদের শুরু হয় নিয়োগ বাণিজ্য সহ নানান সরকারি অনুদান আত্মসাৎ এর মহোৎসব। আর এই অবৈধ অর্থ ভাগের কম বেশি হওয়ার কারণেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শুরু হয় শিক্ষক এবং অভিভাবক সদস্যদের মধ্যে সহিংসতা ও কোন্দল। আর এসব কোন দলের কারণে উভয় পক্ষের সহিংসতা অসংখ্য মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে বাংলাদেশে। যা অত্যন্ত কলঙ্ক ও লজ্জার। অর্থের লোভে শিক্ষিত মানুষ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক সহ শিক্ষা অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মচারী আজকে অমানুষ হয়ে যাচ্ছে।
গত ১০ অক্টোবর আমার বাড়ি থেকে তিন কিলোমিটার দূরে "খেতাবের পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন করাকে কেন্দ্র করে ঘটে গেল এক স্পর্শকাতর ঘটনা। ঝরে গেল নবম শ্রেণী পড়ুয়া মেধাবী ছাত্র আকাশের তরতাজ প্রাণ। উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় গোপনে চলে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি গঠন। এই কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে বাধে সংঘর্ষ। সেই সংঘর্ষের দর্শক সারিতে ছিল মেধাবী আকাশ। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষক পক্ষে পক্ষের লোকজনদের সংঘর্ষের বল্লম ছিটকে এসে বুক বরাবর জেঁকে বসে। আর তৎক্ষণাৎ শিক্ষার্থী আকাশ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে চিরতরের জন্য। পরবর্তীতে আকাশের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে থানা পুলিশসহ অসংখ্য লোকজন হতাহতের ঘটনা ঘটে।
মেধাবী ছাত্র আকাশের মৃত্যুতে আকাশের পিতা-মাতার প্রায় বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে। দরিদ্র পিতা-মাতার পরিবারে একমাত্র সন্তান আকাশ। গোটা এলাকায় বর্তমানে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কি অপরাধ ছিল আকাশের ? আকাশের পিতা মাতার এই গগন বিদারী কান্না থামবে কি কখনো ? আকাশের এই অকাল মৃত্যুর দায় কে নিবে ? কি দিয়ে দিবে আকাশের পিতা মাতাকে শান্তনা ? ধিক নোংরা এই শিক্ষিত সমাজকে, ধিক্কার জানাই মানুষ নামের এই নরপশুদের, ধিক্কার জানাই এই কলঙ্ক শিক্ষকদের, ধিক্কার জানাই সভ্য সমাজের অসভ্য মানুষদের।
মেধাবী ছাত্র আকাশের পিতা মাতাকে শান্তনা দেবার মত ভাষা আমার নেই। তাই প্রায়াত আকাশের আত্মার শান্তি কামনা করে ও তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে এই অসভ্য শিক্ষিত সমাজ কে ধিক্কার জানাই অনন্তকালের জন্য।
বন্ধুরা, এই ছিল আজকে আমার একজন মেধাবী ছাত্র আকাশের মর্মান্তিক মৃত্যু নিয়ে "স্বার্থের বলি হল মেধাবী ছাত্র আকাশ।" স্পর্শ কাতর একটি ঘটনা। আজকে এ পর্যন্তই, আবার কথা হবে আগামীকাল অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সে পর্যন্ত সকলেই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন, সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি শুভ রাত্রি।*
নাম | শ্রী ফণিভূষণ রায় অমিতাব। |
---|---|
User Id | @amitab |
Camera | Symphony Mobile phone. |
Mobile Phone Model | Z-35. |
My Address | Vendabari Prigonj Rangpur Bangladesh. |
আপনার পোস্টটি পড়ে আমার ও লেখারও কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। স্কুল কমিটি নিয়ে দুই পক্ষের মারামারিতে ছাত্র আকাশের তাজা প্রাণটি চলে গেল। প্রধান শিক্ষকের সমন্বয়ে কমিটি গঠন হয় কি দুর্ভাগা আমরা। কমিটি নিয়ে সংঘর্ষ করে অকাল একটি প্রাণ চলে গেল। এই দায় কে নেবে কিন্তু আকাশের মায়ের তো বুকটা খালি হয়ে গেল। যে হারায় সেই বুঝে। তারপর বলব আল্লাহ তা'আলা যেন আকাশের মা-বাবাকে ধৈর্য ধরার তৌফিক দান করেন। আপনার পোস্টে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
এটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি কলঙ্ক আপু। আসলেই কারোরই মন্তব্য করার ভাষা নেই। অত্যন্ত মর্মস্পর্শী ঘটনা একটি। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনার পোস্টটি পড়ে আকাশে পাওয়া মার মত মনে হচ্ছে আমি নিজেও বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছি। খুব খারাপ লাগছিল আকাশের জন্য। কি অপরাধ ছিল আকাশের, এবং কিভাবে সান্ত্বনা দিবেন আকাশের বাবা-মাকে প্রশ্নগুলোর উত্তর আমার জানা নেই 😣😣। এসব সমস্যার কারণে হাজার মানুষের প্রাণ অঝরে ঝরে যাচ্ছে।
জি আপু খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। আমরা এমন সমাজে বাস করছি শুধু দেখে যেতে হবে কিছু বলা যাবে না। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
যতদিন এই বাংলার মানুষের চরিত্রের পরিবর্তন ঘটবে না ততদিন এগুলো চলতেই থাকবে ভাই। গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হায়রে জীবন শেষ পর্যন্ত আকাশ ভাইয়ের অকাল মৃত্যু হলো। 😢 আসলে আপনার পোস্টটা যতই পড়ছিলাম ততই পোস্ট পড়ার আগ্রহ অনেক বেড়ে গিয়েছিল তবে শেষ পর্যন্ত যখন আকাশ ভাইয়ের এমন মৃত্যু হলো তখন আসলে অনেক খারাপ লাগলো মনের ভিতরে। তার জন্য দোয়া করি, সেই সাথে দোয়া করি আকাশ ভাইয়ের দরিদ্র বাবা মায়ের জন্য।
সত্যি ভাই এটা খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনার পোস্টটি পড়ে খুব খারাপ লাগলো। আসলে এই ধরনের পরিস্থিতি বিবেকবান মানুষদের কাম্য নয়। স্বার্থের জন্য মানুষ এত নিচে নামতে পারে তা ভাবতে অবাক লাগে। এ ধরনের ঘটনা মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। এত মর্মান্তিক ঘটনা শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
জি ভাই বলার কোন ভাষা নেই। কিন্তু আকাশের পিতা মাতার জন্য মনটা বড়ই কাঁদে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
এ দুর্নীতিমূলক সমাজ থেকে কখনো কি সভ্য সমাজ গড়ে ওঠা যায়।এভাবে আকাশের মত হাজার হাজার যুবক-যুবতীরা আমাদের সমাজ থেকে রেহাই পাচ্ছে না।দুই পক্ষের সংঘর্ষের কারণে তাজা তাজা প্রাণ কেড়ে নিচ্ছেন প্রতিনিয়ত।প্রতিদিন কোন না কোন এরকম সহিংসতার শিকার হচ্ছেন আমাদের তরুণ সমাজ।সত্যিই খুব দুঃখজনক ব্যাপার আকাশের মা-বাবার জন্য।আমি নিজে বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি আপনার শেয়ার করা ঘটনাটা পড়ে।কিভাবে সান্তনা দেব নিজেই ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।সৃষ্টিকর্তা যেন আকাশের মা-বাবাকে ধৈর্য ধারণ করার তৌফিক দান করেন। আমিন।
আসলেই তাই আপু। আমরা এই নোংরা সমাজ ব্যবস্থার কাছে হেরে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আসলেই খুব হৃদয়বিদার মর্মান্তিক ঘটনা। ঘটনাটি পড়ে খুবই খারাপ লাগছে আকাশের বাবা মায়ের জন্য। আসলে আপনি ঠিকই বলেছেন এরকম নোংরা সমাজের শিক্ষিত মানুষদের উপর আমিও ধিক্কার জানাই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত মর্মান্তিক একটি ঘটনা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এই ঘটনায় আমি খুবই মর্মাহত আপু। নিজে আকাশদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেই গগন বিদারী আর্তনাদ আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
বর্তমান সময়ে সব জায়গাতেই এই ধরনের সমস্যা দেখা যাচ্ছে। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি গঠন করার জন্য নির্বাচন হচ্ছে ,আর যখনই নিয়োগের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে লাখ লাখ টাকা ।তখনই সেই টাকা ভাগাভাগি নিয়ে শুরু হয়ে যাচ্ছে দন্দ। আকাশের মৃত্যুর কথা শুনে সত্যিই অনেক খারাপ লাগলো। সন্তানের মৃত্যুর কথা শুনে পিতা-মাতা বাকরুদ্ধ হয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক।
সভ্য সমাজের অসভ্য নাগরিক আমরা। এটাই আমাদের সভ্যতা। মন্ত্র করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আসলে আমাদের এখানেই কিছুদিন আগে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা নিয়ে দন্দ হয়েছিল ভাজ্ঞিস বেচে ছিলাম। ঘটনা শুনে খারাপ লাগলো আসলে ভাই রাজনিতি সব জায়গা ঢুকে গেছে শিক্ষা প্রতিষ্টান মানব তৈরির কারখানা আর সেখানে যদি এমন হয়।
জি ভাই সভ্যতার নামে সবাই মুখোশ পড়ে আছি আমরা। অসভ্যতায় মন ভরে গেছে। মন্ত্র করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ঘটনাটি খুবই স্পর্শকাতর ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি পড়ে খুবই খারাপ লাগছে যে একজন মেধাবী ছাত্রের জীবন চলে গেছে। বর্তমানে প্রায় স্কুলেই এ ধরনের কার্যক্রম চলে, সব জায়গায়ই দলাদলি। বর্তমানে সবাই স্বার্থন্বেষী।
সবাই নিজের স্বার্থকে নিয়ে ব্যস্ত ভাই। তাইতো দ্রুত অবক্ষয় ঘটছে আমাদের দেশের সবখানে। মানবিক মানবিকতা সব হারিয়ে যাচ্ছে মানুষের মাঝ থেকে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।