অ্যাসেসমেন্ট এর উদ্দেশ্যে শান্ত মরিয়ম ইউনিভার্সিটিতে
হ্যালো বন্ধুগণ,
আমার বাংলা ব্লগ এর সকল সদস্যদের জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমি ভালো আছি ঈশ্বরের কৃপায়।
আজ আমি আপনাদের সংগে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম।
গত ১২ এপ্রিল ২০২৩ ইং, তারিখে শান্ত মরিয়ম ইউনিভার্সিটিতে এইচ আর এবং কমপ্লায়েন্স বিষয়ের উপর একটি অ্যাসেসমেন্ট এর দায়িত্ব পাই। সেসব নিয়েই আজকের আয়োজন।
প্রশিক্ষনার্থীদের সঙ্গে
অ্যাসেসমেন্ট এর সময় ছিল ১২ তারিখ ঠিক বিকেল ৪ টায়। মূলত রোজার কারণে আমার অফিস চলে সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত। এদিকে আবার বিকাল চারটা থেকে আমার অ্যাসেসমেন্ট নেয়ার কথা। অফিস থেকে ঠিক বিকেল চারটায় কোনরকম ছুটি নিয়ে বের হলাম। ছোট ভাই জাহিদকে আগেই বলেছিলাম বাইক নিয়ে অফিস এর নিচে থাকতে। ওর ব্যস্ততার জন্য ঠিক সময় মত পৌঁছাতে পারেনি অফিসের নিচে। পরে আমি একটা রিক্সা নিয়ে বনানী চলে যাই, বনানীতে জাহিদ আসে তারপর ওর সাথে বাইকে করে শান্ত মরিয়ম ইউনিভার্সিটি উত্তরা ক্যাম্পাসে পৌঁছায় ঠিক ৪ টা ১ মিনিটে। এর মধ্যে ওইখানকার দায়িত্বরত কর্মকর্তা আমাকে অনেকবার ফোন দিয়েছেন আমার অবস্থান জানার জন্য। সঙ্গে সঙ্গে বাইক নিচে পার্কিং করে পাঁচ তলায় উঠে যাই। গিয়ে দেখি এখানকার দায়িত্ব রত কর্মকর্তা তিনি নিজেই নেই। পরবর্তীতে তার পারমিশন নিয়ে আমি আমার অ্যাসেসমেন্ট এর কাজ স্টার্ট করে দেই।
সর্বমোট ৩০ জন প্রশিক্ষণার্থী ছিলেন। তার মধ্যে ৪জন অনুপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে তাদের দুই ভাগে ভাগ করে দেয় এবং তাদের অ্যাটেনডেন্স শিট সাইন করায় নেই।
এসেসমেন্টটা ছিল লিখিত এবং মৌখিক। এক ঘন্টার লিখিত পরীক্ষার জন্য তাদের প্রশ্নপত্র এবং খাতা দিয়ে দেই।
লিখিত পরীক্ষা চলছে
খুব শান্ত শিষ্ট ভাবে তারা লিখিত পরীক্ষা দিচ্ছে। মূলত এটি একটি প্রফেশনাল কোর্স। যারা এইচআর এবং কমপ্লায়েন্সে চাকুরী করেন শুধু তাদের জন্যই এই কোর্স। আসলে বাংলাদেশ সরকার এই কোর্স ফ্রিতে করায় যেন আমরা আরও স্কিল হইতে পারি এবং আমাদের পরবর্তী কাজগুলোকে আরও সহজ করতে পারি। অনেক ভালো লেগেছে তাদের অ্যাসেসমেন্ট করে কারণ তারা অনেক শান্তশিষ্ট্য হবে তাদের লিখিত পরীক্ষা দিচ্ছিল। তাদের দেখে বোঝা যাচ্ছে তারা আগে পড়াশোনা করেছেন। অনেক জায়গায় অ্যাসেসমেন্ট করিয়েছি তবে সবার থেকে তারা একটু ভিন্ন রকম। তাদের আচার ব্যবহার লেখার স্টাইল সবকিছুই অন্যদের থেকে আলাদা। তবে তাদের মধ্যে একটি মেয়ে ছিল যে বারবার আমাকে অনেক প্রশ্ন করেছেন। যে স্যার এটা এভাবে লিখেছি অংকটা এভাবে করেছি সঠিক আছে কিনা। শেষে আমি বাধ্য হয়ে তাকে বললাম যে হ্যাঁ আপনার অংক ঠিক আছে।
ঠিক এক ঘন্টা শেষ হয়ে যাওয়ার পর তারা তাদের খাতাগুলো আমাকে জমা দিলো। জমা দেয়ার পরও সেই মেয়েটি আবারও বলছে স্যার আমার অংকটা কেটে দিবেন না তো। আমি একটু হেসে বললাম আর একটা কথা বললে আপনার খাতা বাতিল করে দিবো। পরে মেয়েটি চুপ করলো।
লিখিত পরীক্ষা শেষে একে একে সবার মৌখিক পরীক্ষাটা নিয়ে নিলাম। সবাই বেশ ভালো করেছে। পুরো অ্যাসেসমেন্ট
আমি যখন বের হব ঠিক সেই মুহূর্তে তারা বলল যে স্যার আমাদের সঙ্গে একটা ছবি তুলতে হবে। প্রথমে মানা করলাম কিন্তু পরে তাদের অনুরোধের কাছে আর মানা করতে পারলাম না। তুলেই ফেললাম ছবি।
এরপর ওখান থেকে বের হয়ে আমরা দিয়া বাড়ির ভিতর দিয়ে মিরপুর যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলা, যেহেতু বিকাল হয়ে গিয়েছিল। অনেক গরমে যখন আমরা সবাই অতিষ্ঠ, ঠিক তখন বিকেল বেলায় দিয়াবারির ভিতরে বেশ শান্তির একটা ঠান্ডা আবহাওয়া পেলাম।
পড়ন্ত বিকালে দিয়াবারিতে
ঠিক সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে আমরা মিরপুর ১২ নম্বর পৌছায়ে গেলাম। সবমিলিয়ে বেশ ভালোই ছিল অ্যাসেসমেন্টটা।
প্রশিক্ষনার্থীরা যেমন ভাল ছিল, ঠিক শান্ত মরিয়ম ইউনিভার্সিটির দায়িত্বরত সকল কর্মকর্তারাও অনেক হেল্পফুল ছিলেন।
কেমন লাগলো আমার আজকের ব্লগ। সবার কাছে তাদের
মূল্যবান মন্তব্য আশা করছি।
সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। চৈত্রের তাপদাহে সকলে ভীষণ ক্লান্ত তাই সবাই নিজের এবং পরিবারের খেয়াল রাখবেন।
বিষয় | অ্যাসেসমেন্ট এর উদ্দেশ্যে শান্ত মরিয়ম ইউনিভার্সিটিতে। |
---|---|
ফটো ক্রেডিট | @amitroy |
ডিভাইস | রেডমি নোট ৮প্রো |
লোকেশন | উত্তরা, ঢাকা |
সব আয়োজন দেখছি বেশ ভালো মতই হয়েছে দাদা। আর তার সাথে সাথে ভালোভাবেই পুরো কার্যক্রমটা সমাপ্ত হয়েছে। জাহিদ ভাইকে বেশ ভাল রকমের প্যারা দেন আপনি 😂😅। মানুষটা মুখ বুজে সব সহ্য করে নেয়। হিহিহিহি। আর পরীক্ষার হলে মেয়েটাকে ভয় দেখানোর কি দরকার ছিল বলেন তো! ছোটদের হুমকি ধামকি দেওয়ার অভ্যাসটা আপনার আর গেল না 🤪
জাহিদ তো ইচ্ছে করে ভাই এর জন্য প্যারা নেয় যেমন তুই নিস। আর ওই মেয়েটাকে হুমকি ধামকি দেই নাই একটু বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তবে আর একটু যদি প্যারা দিত তাহলে দিতাম ঝারি।