অনলাইন জুয়ার আসক্তি
আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। গতকালকে একটি নিউজ পোর্টালে নিউজ দেখলাম সেটা হল বাংলাদেশের অনলাইন জুয়ায় প্রায় ৪৯ লক্ষ অ্যাকাউন্ট আছে। বলা যায় ৪৯ লক্ষ মানুষ কোন না কোন সাইটের মধ্যে হয়তো জোয়ার একাউন্ট করে জুয়া খেলছেন। এই নিউজটি খুবই ভয়ঙ্কর একটি নিউজ কারণ বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে সবকিছু করা যায় আর সেই সুযোগ নিয়ে এখন অনলাইন জুয়ায় মানুষ আসক্ত হচ্ছে।
যেকোনো জুয়ায় খুবই খারাপ সেটা অনলাইন হোক আর অফলাইন হোক। কিন্তু আগে মানুষ একাধিক ব্যক্তি মিলে জুয়া খেলতেন যা মানুষের দৃষ্টিগোচর হতো কিন্তু বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তি চাইলেই খুব সহজে টাকা ডিপোজিট করে জুয়া খেলতে পারছে যা কেউই জানছে না একান্তই গোপনে যে কেউ জুয়া খেলছে বাধা ছাড়াই।
এই অনলাইন পোর্টালটিতে আরো বলা আছে যে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক হাজার হাজার জুয়ার সাইড ব্লক করা হয়েছে। কিন্তু জুয়ারিরা আরো অনেক মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট করে জুয়া খেলছেন যা কখনোই রোধ করা সম্ভব নয়। এখন গ্রাম থেকে শহর প্রতিটা অঞ্চলেই জুয়ার আসক্তি এত পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে যে যা খুবই ভয়ংকর আকারে ছড়িয়ে যাচ্ছে।
সে ক্ষেত্রে আমাদের করণীয় হচ্ছে আমাদের পরিবারের বা যারা ছোট ভাই অথবা সন্তান আছে তারা এই অনলাইন আসক্তি কিনা সেই ব্যাপারটি অবশ্যই নিশ্চিত হতে হবে। আমাদের অবশ্যই তাদের ফোন চেক করতে হবে হিস্টরি চেক করতে হবে তারা যদি এই অনলাইন কেউ আসক্ত হয় তাহলে অবশ্যই সেটা বাধা দিতে হবে এবং তাকে এই কাছ থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে। এটাই একমাত্র সমাধান আমার কাছে মনে হয়। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ
আসলে জুয়া খেলাটা যেমন হারাম, ঠিক তেমনি একটা দেশের জন্য ভয়াবহতা বয়ে আনতে পারে। আর তাই এই সমস্ত জুয়া খেলা গুলো যদি অনলাইন অফলাইন থেকে নির্মূল করা যায় তাহলে একটা রাষ্ট্রের জন্য অনেক ভালো। আজ অনেকেই এই কাজে আসক্ত হয়ে নিজেদের জীবন ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। তাই এই বিষয়ে আমাদের সবাইকে সজাগ হতে হবে।
বর্তমান প্রজন্ম অনলাইন জুয়া আসক্ত হচ্ছে অনেক বেশি। তাদেরকে কোনভাবেই কন্ট্রোলিং এ আনা যাচ্ছে না। এর জন্য অনেক বেশি দায় দিব পরিবারকেই। পরিবারেরা যদি সচেতন থাকে তাহলে তাদের ছেলেমেয়ের অবস্থান সম্পর্কে তারা ভালো জানার কথা। সর্বদাই পরিবারের মানুষেরা সচেতন থাকতে হবে, তাদের ছোট ছেলে মেয়েগুলো অনলাইনে আসক্ত কিনা। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বর্তমানে অনলাইনে জোয়ার আসক্তির পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। সবার অগোচরে ঘরে বসে অনলাইনে জুয়া খেলতে পারছে ছেলেমেয়েরা। তাই সত্যিই আমাদের উচিত সন্তানদেরকে ফোন দিলে তা কি কাজে ব্যবহার করছে তা নিশ্চিত হওয়া। ধন্যবাদ পোস্টটি ভাগ করে নেয়ার জন্য।