বর্তমান যুবক এবং বাস্তবতা
আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। বর্তমান যুবকদের মধ্যে জীবনের লহ্ম তেমন একটা দেখা যায় না। তাদের জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রেই তার অগোছালো তাদের কোন কিছুই যেন ঠিকমতো চলছে না বর্তমানে। বর্তমানে শুধু মাত্রই তাদের জীবন চলছে স্মার্টফোনের মাধ্যমে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তাদের জীবনে শুধুমাত্র স্মার্ট ফোন ছাড়া তেমন কিছু বলার মত নেই।
তাদের জীবন অগোছালো এই কথাটি কেন বললাম কারণ হচ্ছে তাদের জীবন এমন ভাবে পরিচালনা করছে জীবনের অর্থই নেই বললেই চলে। তাদেরকে যদি একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ দেওয়া হয় সে কাজটি তারা কখনোই সঠিক টাইমে করতে পারে না। তাদের কাছে এখন শুধুমাত্র স্মার্টফোন অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং সোশ্যাল মিডিয়াগুলো তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। যত প্রকার অহেতুক কাজ আছে তারা সেগুলো কে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে। কিন্তু জীবনের অতি গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোকে তারা ঠিকমতো করছে না।
অন্যান্য দেশের যুবকরা ১৮ থেকে ২০ বছর বয়সেই স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টায় মত্ত থাকে। কিন্তু আমাদের দেশের যুবকরা ৩০ বছর হয়ে যাওয়ার পরও তাদের জীবনের কোন পরিকল্পনা নেই। তারা অন্যের উপর নির্ভর হয়ে শুধু এই কথাটি বলে আমি কোন কিছু করতে পারছি না ভালো কোন চাকরি পাচ্ছি না ভালো কোন ব্যবসা করতে পারছি না। এগুলো বলেই তাদের সারাদিন পার করছে।
যুবকদের উদ্দেশ্যে একটা কথাই বলব আপনি যখন ইন্টার পাশ করবেন তখনই চেষ্টা করা কোন কিছু করার। এই সকল মোবাইল ফোন নিয়ে সারাদিন পড়ে না থেকে জীবনের আসল অর্থ কি সেটা খুঁজে বের করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা। কোন কাজকেই কখনোই ছোট মনে না করে ছোট কাজ দিয়ে শুরু করে সফলতার পিছনে ছোটা। জীবনের আসল অর্থ তখনই খুঁজে পাবেন যখন আপনি অহেতুক কাজগুলো বাদ দিয়ে ভালো কাজে নিজেকে নিমজ্জিত রাখবেন। সবাই ভাল থাকবেন।
ধন্যবাদ।
লক্ষ্য করেছি আমাদের দেশের ছেলেরা মোবাইল ফোনের পিছনে সবচেয়ে বেশি সময় নষ্ট করে। আর দ্বিতীয় সমস্যা তারা সবাই চাকরির পেছনে দৌড়ায় যদি সরকারি চাকরি হয় তাহলে এটা নিয়ে নতুন কর্মজীবন শুরু করে আর যদি সরকারি চাকরি না হয় সে ক্ষেত্রে বেকার ঘুরে বেড়ায়। তবে যদি তারা নিজে থেকে কোন উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করে সেক্ষেত্রে সফলতা বয়ে আনা সম্ভব এটা মানতেই চায় না।
আসলে আপনার লেখাগুলো বরাবরই আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। কেননা আপনি সবসময় বাস্তবসম্মত গুরুত্বপূর্ণ টপিকস নিয়ে চমৎকার লিখে থাকেন। আসলে আমাদের সমাজে যুবক শ্রেণীদেরকে সুপথে রাখার জন্য তাদের অভিভাবকদেরকে সব সময়ের জন্য সচেতন হতে হবে। একই সাথে যুবক শ্রেণীকেও পরিবারকে সাপোর্ট করার জন্য সময়ের যথার্থ মূল্য দিতে হবে এবং বাজে অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। বিশেষ করে মোবাইল ফোন কিংবা ল্যাপটপ প্রয়োজন মতো ব্যবহার করতে হবে।
আপনার কথায় যথার্থতা পরিপূর্ণভাবে রয়েছে বর্তমান সময়ের যুবকদের ব্রেইন এবং মন ওয়াশ করে ফেলেছে স্মার্টফোন। স্মার্টফোনের বাইরে তারা আর কোন কিছুই যেন চিন্তা করতে পারেনা। যার কারণে বয়সে একটা সময় গিয়েও তারা সফলতা অর্জন করতে পারে না। এর মূল কারণটাই হচ্ছে অহেতুক সময় ব্যয় করা এই স্মার্টফোনের মাধ্যমে। আপনি সঠিক বলেছেন ইন্টার পাশ করার পর থেকেই আমাদের উচিত নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবা। বর্তমান দৃষ্টিভঙ্গি এবং শিক্ষামূলক দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি বর্তমান যুবকদের একটা বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন ভাই। আপনার কথাগুলোর সাথে আমি একেবারেই একমত। বিদেশে সবাই যেখানে অল্প বয়সে নিজেদের স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করছে, সেখানে আমাদের দেশের যুবকেরা ৩০ বছর পার হয়ে যাওয়ার পরও জীবন বা ক্যারিয়ার নিয়ে সিরিয়াস হচ্ছে না। তাদের এখন একটাই কাজ, সেটা হলো ইন্টারনেট, মোবাইল আর সোশ্যাল মিডিয়া। আসলে আমরা যে দিন দিন কোথায় যাচ্ছি, এটাই ভেবে কষ্ট লাগে।