হ য ব র ল জীবনের গল্প | আমার চাকরির জীবনের অভিজ্ঞতা (৩য় পর্ব)
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমিও মোটামুটি সুস্থ আছি। গত পর্বে আমি আমার চাকরি জীবনের সংক্ষিপ্ত কিছু বর্ণনা তুলে ধরেছি এবং সবকিছুই মোটামুটি একটু বেশি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করছি। চাকরি জীবনটা ছিল শুধুমাত্র আমার অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য। আশা করছি যতটুকু অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে এতে করে এই চাকরি রিলেটেড ব্যবসা করতে পারব।
এইতো গত দুই বছর আগে আমি ফকির স্পিনিং এ জয়েন করেছিলাম এটা বাংলাদেশের একটি সুনামধন্য কোম্পানি এবং এইখানে চাকরি হয়েছিল আমারি এক কলিগের জন্য। সাধারণত সেই কোম্পানির ম্যানেজার আমার ভার্সিটির বন্ধ ছিল। সেই সাপেক্ষে তাদের সার্কুলার সম্পর্কে আমি জানতে পারি এবং ভাইবা দিয়ে সেখানে আমার চাকরিটা হয়ে যায়। যদিও সেখানে একজনই চাকরির জন্য মনোনীত হওয়ার কথা ছিল, সেখানে আমি হয়েছিলাম শুধুমাত্র। সেখানে ভাইবা দিয়েছিল প্রায় ৩০ জনের মত।
সেটাই ছিল আমার ইন্ডাস্ট্রিয়াল লেভেলের প্রথম চাকরির ইন্টারভিউ। মোটামুটি সব কিছুই অনেক ভালো ভাবে হয়েছে। তবে সেখান থেকে অনেক কিছু বিষয় শিখতে পেয়েছি। আসলে আমাদের পাঠ্যপুস্তকে যেসব বিষয় শেখানো হয় তার বাহিরেও কিন্তু অনেক ধরনের প্রশ্ন তারা করে থাকে। নিজের পার্সোনালিটি সম্পর্কে, নিজের স্কিল সম্পর্কে এরা আরো বেশি জানতে চায়। আমার চাকরি হয়ে যাওয়ার পরে অনেকেই আমার সাথে ভাব লাগানোর চেষ্টা করেছিল। যদিও তারা জানত যে ম্যানেজার সাথে আমার ভালো একটি সম্পর্ক বিরাজমান। এই উদ্দেশ্যেই তারা হয়তো ভাব লাগানোর চেষ্টা করেছিল। তবে চাকরির জগতে যাওয়ার পরে বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক বিষয় দেখতে পেয়েছি এবং এটা ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছেন যার সাথে যত বেশি ভালো সম্পর্ক তারা খুব বেশি সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে।
তবে ম্যানেজারের নিচেও আরো একজন ভালো পদে ছিল সে অবশ্য আমাকে খুব একটা ভালো চোখে দেখতে না। কারণ একটি দল রয়েছে। দল বলতে সেও অনেকেই চাকরি দিয়েছিল এবং তারও একটি গ্রুপ রয়েছে। সে এবং ম্যানেজারের মধ্যে সব সময় একটি দন্ড লেগে থাকত। এর মাঝেই আমরা সকলেই একটু বেশি অস্থিরতা বোধ করতাম। এসব নিয়ে অনেক ধরনের কথা হয়েছিল। সেসব না হয় আজকে এই পর্বে না বলি সেটা অন্য কোন পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেব। তবে এতটুকু বলতে চাই চাকরি জীবনে সবসময় নিরপেক্ষ থাকাটা সবথেকে বেশি জরুরী। হয়তো আপনাকে একটু বেশি কাজ করতে হবে কিন্তু এর বিপরীতে আপনি বেশি বেশি কাজ শিখতে পারবেন, এটাই হচ্ছে প্লাস পয়েন্ট।
তবে চাকরি জীবনে সবথেকে অসুবিধা হচ্ছে ছুটি। যদিও আমাদের সব নিয়ম রয়েছে সেসব নিয়মে প্রতি মাসে দুই থেকে তিনটি করে ছুটি আমরা ডিজার্ভ করি। কিন্তু সেসব ছুটিগুলো আমাদেরকে দেওয়া হয় না বিভিন্ন কারণবশত। সে সব বিষয়গুলো ম্যানেজ করাটা অনেক কষ্টসাধ্য বিষয় হয়ে যায়। যাই হোক আজকের মত এখানে শেষ করছি আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: হ য ব র ল জীবনের গল্প | আমার চাকরির জীবনের অভিজ্ঞতা (৩য় পর্ব)
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......
চাকরি জীবনে ছুটি পাওয়াটা আসলেই খুব কষ্ট। এককথায় স্বাধীনতা নেই বললেই চলে। যাইহোক বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি কোম্পানিতে এখন রাজনীতি চলে। যে যত বেশি চামচামি করতে পারবে,সে তত বেশি সুযোগ সুবিধা পাবে। কিন্তু চামচামি সবাই করতে পারে না। যাদের মধ্যে ব্যক্তিত্ববোধ রয়েছে, তারা কখনোই চামচামি করতে পারে না। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।