বন্ধুদের সাথে নদীর পারে ঘুরতে যাওয়া
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তালার অশেষ রহমতে আমিও মোটামুটি ভালো আছি। আজ বেশ কিছুদিন পরে নীলফামারীর কিছু ঐতিহ্যবাহী স্থানে ঘুরতে গিয়েছিলাম বন্ধু-বান্ধবের সাথে। তবে আজকে যে বিষয় শেয়ার করব সেটা হচ্ছে নীলফামারীতে কিন্তু বেশ কয়েকটি নদীর রয়েছে এবং নদীর জায়গাগুলো দেখতে অপরূপ সুন্দর। সেখানে যাওয়ার বিষয়গুলো আজকে বর্ণনা করবো।
এই গরমে বাসায়ও ঠিকভাবে থাকতে পারছি না। কারণ বিদ্যুৎ প্রচন্ড জ্বালাতন করছে এক ঘন্টা থাকবে আরেক ঘন্টা লোডশেডিং এমন একটি অবস্থা। তাই আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম আজ বিকেলে একটু শান্তশিষ্ট পরিবেশে গিয়ে বসে থাকবো। ঠিক তেমনি চার পাঁচ জন বন্ধু মিলে মোটরসাইকেল বের করে চলে যেতে শুরু করলাম বিভিন্ন স্থানে। অনেকটাই চমৎকার এবং গ্রাম্য এলাকার মতই এলাকা গুলো।
যেখানে আমরা গিয়েছিলাম তার নাম ছিল সাইফোন অর্থাৎ সেখানে দুটি নদী একত্রিত হয়েছে কিন্তু একটি নদীর পানি অন্য নদীর সাথে মিশে যায় না। এর অনেক বড় কারণ রয়েছে কারণ কৃত্রিমভাবে যে নদীটি তৈরি করা হয়েছিল সেটা প্রাকৃতিক নদীর উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। যেটা আপনারা ছবিগুলো দেখলেই ঠিকভাবে বুঝতে পারবেন। প্রাকৃতিক নদীতে একটি ছোট্ট ঝর্ণা সৃষ্টি হয়েছে এবং পানি শব্দে সেই এলাকাটা সম্পূর্ণ মধুরময় হয়ে উঠেছে। আমরা যখন গিয়েছিলাম তখনও প্রচন্ড রোদ ছিল। সেখানে আবার বসার জন্য একটি চমৎকার ছাউনি রয়েছে। সেখানে গিয়েই আমরা সব বন্ধু গুলো মিলে গল্প করতে থাকলাম। আধাঘন্টা পরেই চারিদিকে মেঘ কালো হয়ে আসলো এবং মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হল।
যদিও বৃষ্টিতে বেশিক্ষণ ছিল না তবেই বৃষ্টির সাথে শীতল বাতাস চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল। বৃষ্টি থামার পরেও প্রচন্ড ঠান্ডা বাতাস বই ছিল যা মনের শীতলতাকে আরও দৃঢ় করেছে এবং এই কাজের জন্য আমরা গিয়েছিলাম। মূলত একটু ঠান্ডা আবহাওয়ায় ঘোরাফেরা করার জন্য সেটা অবশেষে সফল হয়েছে। সেখানেই ঘন্টা দুয়েক বসে ছিলাম যেহেতু বিকেলবেলা গিয়েছিলাম সন্ধ্যার আগ মুহূর্ত সেখান থেকে চলে এসেছি। তবে সেই জায়গা থেকে আসতে ইচ্ছা করছিল না।
চমৎকার একটি গ্রাম্য পরিবেশ এখানে বিরাজ করছিল। দুইটি নদী পরস্পরের সাথে মিলিত না হয়েই একে একে বয়ে গেছে। এছাড়াও ঠান্ডা শীতল পরিবেশ সেই সাথে শীতল বাতাস এবং তার সাথে যদি একটু সফ মিউজিক বাজানো যায় তাহলে তো সোনাই সোহাগা। আমরা ঠিক এমনই একটি মুহূর্ত আজ বিকেলে অনুভব করে এসেছি। সব মিলিয়ে আজ বিকেলটা অনেক চমৎকার কেটেছে। আমি সাধারণত কোথাও ঘুরতে যাই না। তবে নীলফামারীতে আসলে আশেপাশের এলাকা গুলোতে একটু ঘোরার চেষ্টা করি। যদিও আমার বন্ধুবান্ধব খুব একটা বেশি নেই তবে যে কয়জন আছে তাদের সাথে মোটামুটি আশেপাশে ঘুরতে যাই। এই ছিল, আজকের মত এখানেই শেষ করছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: বন্ধুদের সাথে নদীর পারে ঘুরতে যাওয়া
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
চমৎকার সিয়াম। জায়গাটি ছবিতে দেখেই ভীষণ ভালো লাগছে।। না জানি সামনে গেলে আরো কত ভালো লাগবে। দুইটি নদী যুক্ত হওয়ার যে ঘটনাটি তুমি বললে তাই এখানেও নদীয়া জেলার নবদ্বীপে দেখা যায়। জায়গাটিকে ত্রিবেণী সঙ্গম বলে। তুমি বাড়ি থেকে বেরিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে এমন সুন্দর ঘুরে এসে শুনে খুব ভালো লাগলো।
আপনার ফটোগ্রাফি তে জায়গা টা দেখে বেশ ভালো লাগল। জায়গাটার নাম যেমন সুন্দর তেমনই সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ। এককথায় চমৎকার। বন্ধুদের সাথে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ভাই। জায়গা যদি এমন সুন্দর হয় সময় টা ভালো যাওয়ারই কথা।
নীলফামারীর ঐতিহ্যবাহী জায়গা গুলোতে আপনি ঘুরতে গিয়েছিলেন জেনে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গেলে অনেক ভালো লাগে। আর আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে জায়গাটি কতটা সুন্দর। অনেক ভালো লেগেছে।
৪/৫ দিন ধরে বিদ্যুৎ আসলেই বেশ জ্বালাতন করছে। আমাদের এখানে বিদ্যুৎ এমনিতে খুব কম যায়। কিন্তু কয়েকদিন যাবৎ প্রতিদিন ২/৩ বার বিদ্যুৎ চলে যায়। যাইহোক বন্ধুদের সাথে খুব সুন্দর জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন ভাই। জায়গাগুলো আসলেই চমৎকার। বিকেল বেলা এমন জায়গায় সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।