নীলা মার্কেট ভ্রমণ
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনার সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি। তবে শরীরটা গতকাল থেকে বেশ খারাপ যাচ্ছে। তারপরও আল্লাহতালার কাছে অশেষ শুকরিয়া এখনও সব কাজ সঠিকভাবেই করতে পারছি। গতকাল আমার জীবনের একটি অনন্য দিন গিয়েছে। যেটা স্মৃতির পাতায় সারা জীবনের জন্য গেঁথে থাকবে এবং জীবনের অনেক বড় একটি সিদ্ধান্ত গতকাল নিয়েছি। আসলে এই জীবনের সব দিন ভোলা যাবে তবে এই দিনটা কখনোই কোনদিনও ভুলতে পারবো না।
যাই হোক মূল বিষয়ে আসি, আম্মু যখন ঢাকায় এসেছিল তখন আম্মু এবং আমার ছোট ভাইকে নিয়ে গিয়েছিলাম ৩০০ ফিটের নীলা মার্কেটে। সেখানে বাহারি রকমের খাবার, এছাড়াও সেখানে বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট বসেছিল। সেসব জায়গায় গিয়ে নিজের পরিবারের সাথে ঘুরতে বেড়ানোটাও নিজের কাছে অনেক ভাগ্যের বিষয় বলে মনে হয় আমার কাছে। যারা ঢাকার আশেপাশে থাকেন তাদের জন্য নীলা মার্কেটের আলাদা একটি পরিচয় রয়েছে। সেখানে বিভিন্ন ধরনের একদম নিজের মায়ের হাতের মতই রান্না করা বিভিন্ন ধরনের মাংস পাওয়া যায়, বিশেষ করে নীলা মার্কেটের হাঁসের মাংস অনেকটাই ফেমাস।
যদিও আমি হাঁসের মাংস খুব বেশি একটা পছন্দ করি না। তবে আমার বন্ধুবান্ধবরা প্রায় সেখানে যায় হাঁসের মাংস খাওয়ার জন্য। তবে আমি কখনোই সেখানে যায়নি। এবার প্রথমেই আম্মু এবং আমার ছোট ভাইকে নিয়ে সেখানে গিয়েছিলাম। এছাড়াও আম্মুকেও বেশ কয়েকটি গিফট করার চেষ্টা করেছি। এছাড়াও আমার নিজের রুমের জন্য কিছু ওয়ালমেট কিনেছি। যেগুলো রুমের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। প্রায় ছয় মাস পরে পরিবারের সকলে একত্রিত হয়ে কোথাও ঘুরতে গিয়েছিলাম। দিনটা এতটাই ভালো গিয়েছে যেটা আসলে বলে বোঝাতে পারবো না। আসলে নিজের মা এবং পরিবার যদি কাছে থাকে তাহলে পৃথিবীর সব সুখেই তার কাছে হেরে যাবে, এতটা পরম সুখ সেদিন আমি পেয়েছিলাম।
আমরা বিকালের দিকেই আমার বাসা থেকে রওনা দিয়েছিলাম। সেখানে আধা ঘন্টার মধ্যেই পৌঁছে গিয়েছিলাম। জায়গাটা অনেকটা গ্রামের মধ্যেই কিন্তু সেখানকার পরিবেশগুলো অনেকটাই চমৎকার ছিল। গ্রামীণ পরিবেশে সেই বাণিজ্য মেলা দেখতে আভাস পাওয়া যায় এবং ছোটখাট থেকে মাঝারি সাইজের অনেকগুলো দোকান রয়েছে। আর যেটা ইতিমধ্যে বললাম হাঁসের মাংসের দোকান, সেখানে অনেক অনেক হাঁসের মাংসের দোকান রয়েছে। এছাড়াও যেহেতু শীত পড়েছে অনেকগুলো ছোট ছোট পিঠার দোকান দেখতে পেয়েছি। তবে আমার মায়ের মিষ্টি অনেক পছন্দ তাই আমরা সকলে মিলে অনেক মজাদার মজাদার মিষ্টি খেয়েছিলাম।
ভ্রমণ বিষয়টা সবসময় আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। তবে ব্যক্তিগত কিছু কাজের কারণে এবং ভার্সিটিরও অনেক চাপ রয়েছে যার কারণে গত এক দুই বছরে কোথাও সেরকম ঘুরতে যাওয়া হয়নি। যেমন প্রতিবছরই আমি কক্সবাজার কিংবা অন্যান্য জায়গায় বেশ কয়েকদিনের জন্য ট্যুর দিয়ে থাকি। তবে দুই বছর ধরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয় নি। তবে ইচ্ছে আছে ব্যাচেলার জীবনের শেষ সময়টুকু একটু কোথাও থেকে ঘুরে আসব। জানিনা সেটা পূরণ হবে কিনা। যাই হোক আজকের মত এখানেই শেষ করছি আপনার ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: নীলা মার্কেট ভ্রমণ
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......
সন্ধ্যা বেলা আপনার পুরো পরিবার কে সাথে নিয়ে নীলা মার্কেটের মধ্যে ঘুরতে গিয়েছিলেন, দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে। আসলে আমার কাছে নীলা মার্কেটের হাসের মাংস ভীষণ ভালো লাগে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার গিয়েছিলাম সেখানে। আপনারা বেশ দারুন একটি সময় উপভোগ করেছেন।
ভাইয়া আমার কেন জানি মনে হচ্ছে আপনার জীবনের বিশাল কোন পরিবর্তন ঘটেছে। হয়তো গতকাল একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে যাই হোক আশা করছি ভেবেচিন্তেই সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং সারা জীবন ভালো থাকুন এই দোয়াই করি।
পরিবার নিয়ে এভাবে ঘুরাঘুরি করতে আসলেই খুব ভালো লাগে। গতকাল সন্ধ্যার একটু আগে আমিও নীলা মার্কেট ঘুরতে গিয়েছিলাম। তারপর একটু সামনে গিয়ে ভাইরাল শাকিলা পিঠা ঘর থেকে হাঁসের মাংস, রুমালি রুটি এবং দোসা খেয়েছিলাম। সবমিলিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছিলাম। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো ভাই। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।