গোলাপি মৎস্যকন্যা
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আল্লাহতালার অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি। তবে আজকাল একটু ব্যস্ততার মধ্যে রয়েছি। কারণ আগামীকাল ভোর বেলায় আমার ট্রেন রয়েছে এবং সেই ট্রেনে চড়েই মূলত ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেব। তাই এই কয়েকদিন একটু ব্যস্ততা ছিল এবং ঢাকা যাওয়ার পরেও একটু ব্যস্ত হয়ে পড়বো। কারণ আমার সেমিস্টার ফাইনাল এক্সাম চলছে, যার কয়েকটি পরীক্ষা ঈদের আগে দিয়ে এসেছিলাম এবং আরো কয়েকটি পরীক্ষা ঈদের পরবর্তীতে অনুষ্ঠিত হবে, সব মিলিয়ে একটু দৌড়ের উপর রয়েছি।
এবার ঈদে তেমন কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়নি তবে মামার বাসায় যাওয়া হয়েছিল। কথায় রয়েছে মামার বাসায় নাকি সখের হাড়ি। কথাটা কতটুকু সত্য কিংবা মিথ্যা সেটা আসলে অনুধাবন করতে পারেনি কখনো। তারপরও আমার মামারা সব সময় আমাদেরকে ভালোবেসে গেছেন এটাই সব সময় মেনে চলার চেষ্টা করি। তবে জীবনের কিছু ভুল সিদ্ধান্ত পুরো জীবনের পথযাত্রাটি পরিবর্তন করে দিতে পারে। সে বিষয়টি আমি এখন ভালোভাবে অনুধাবন করতে পারছি। তারপরও সবকিছু ভুলে এবার মামার বাসায় যাওয়া হয়েছিল। সবাই মিলে অনেক আড্ডা দেওয়া হয়েছিল। এখানে যে আলাদা একটা অনুভূতি ছিল সেটা আসলেই কোনভাবে ব্যক্ত করার মত নয়। ঈদের পরের দিনেই মেজো মামাদের বাসায় গিয়েছিলাম। সেখানে অনেক গল্প হয়েছে এবং সবাই মিলে আমাদের নীলফামারীর বড় মাঠেও ঘুরতে গিয়েছিলাম এবং সেখানেও অনেক চমৎকার একটি সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আবার তার পরের দিনে বড় মামাদের বাসায় দাওয়াত ছিল। মূলত এই কয়েকদিন দাওয়াত খাওয়ার উপরেই ছিলাম।।
আগে মূলত সব মামারাই একই বাসায় ছিল। বাসাটা বেশ বড়সড়ো এবং প্রচুর জায়গা ছিল। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে বড় মামা অন্য জায়গায় জমি কিনে সেখানেই বাসা তৈরি করে। যদিও সেটা নীলফামারী শহরের মধ্যেই এবং আমাদের বাসা থেকে মাত্র পাঁচ মিনিটেই যাওয়া যায়। যেদিন বড় মামার বাসায় গিয়েছিলাম সেখানে আবারও সকলে মিলে একত্রিত হয়েছিলাম এবং সকলে মিলে সেখানে লাঞ্চ করেছিলাম। বড় মামার বাসায় প্রায় চার-পাঁচটির মতো একুরিয়াম রয়েছে এবং সেখানে অনেক চমৎকার চমৎকার মাছ রয়েছে।
এই একুরিয়াম গুলো তৈরি করছে বড় মামার বড় ছেলে নাম হচ্ছে মাশরাফি। যদিও আমার থেকেই অনেক ছোট, আমার ছোট ভাইয়ের সমবয়সী বলা চলে। তবে ছেলেটা অনেক মেধাবী। সেই ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রাংশ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন কিছু তৈরি করেছে। যেগুলো আসলে দেখতে অনেক চমৎকার লাগে। এমন এমন প্রজেক্ট এ কাজ করেছে যার কারণে ও এখন ইলেকট্রনিক্স নিয়েই পড়াশোনা করছে। তার বিষয়ে পরবর্তী একদিন আলোচনা করে নেব। তাদের আমার কাছে সবথেকে ভালো লেগেছে এই জোড়া মাছ দুটোকে। যেই সবথেকে বেশি পছন্দ হয়েছে এই গোলাপি মাছ টিকে। তাদের একুরিয়াম দেখে আমারও ইচ্ছে করছে আমিও বাসায় একটি একুরিয়াম তৈরি করব। কিন্তু বর্তমানে অনেকেই ব্যস্ততার মধ্যে রয়েছি তাই আর এটা তৈরি করা হলো না। কিন্তু পরবর্তী সময় যখন আবার নীলফামারীতে আসলে ভেবে রেখেছি একটি একুরিয়াম তৈরি করব এবং সেখানে চমৎকার চমৎকার মাছ রাখবো।
আমরা যারা স্টিমিটে কাজ করি আমরা কোথাও গেলে বা ভালো কিছু দেখলে কতক্ষণ আর মোবাইল ফোন বের করে সেটার ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। আমি বিশ্বাস করি, আমার পোস্ট যারা যারা পড়ছেন তারা সবাই এই কাজ করে। ঠিক একই কাজ আমি করেছি। সেখানে বিভিন্ন ধরনের মাছগুলোর ছবি নেওয়া চেষ্টা করেছিলাম। যদিও মাছগুলো বেশ নাচানাচি করছিল তাই ছবি নিতে অনেকটা কষ্ট পোহাতে হয়েছে, তারপরও কয়েকটি ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। যাইহোক আজকের মত এখানেই শেষ করছি পরবর্তীতে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব, ধন্যবাদ সবাইকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: গোলাপি মৎস্যকন্যা
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
This is gold! :D I couldn't agree more! :D I'm your fan now. :D
ভাইয়া আপনার কথার সাথে আমিও সহমত পোষণ করছি। ভালো কিছু দেখলেই ক্যামেরাবন্দি করে নিতে ইচ্ছে করে। বিশেষ করে আমরা যারা এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত আছি তারা এই কাজটি বেশি করি। তবে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মামার বাড়িতে গিয়েছেন যেনে ভালো লাগলো। আপনার মামার বাড়িতে দেখছি অনেক সুন্দর একুরিয়াম রয়েছে। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া।
একদম ঠিক কথাই বলেছেন , সুন্দর কিছু দেখলে আসলেই সেটার ফটোগ্রাফি করতে ইচ্ছে করে। আর সত্যি বলতে এই মাছ গুলো আসলেই অনেক সুন্দর । যাই হোক , বেশ সুন্দর সময় কাটালেন মামা বাড়িতে গিয়ে শুনে বেশ ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
গোলাপি রঙের এই মাছের আরও একটা গোপন রহস্য রয়েছে ভাইয়া সেটা যদি আপনি জানতে পারেন তাহলে তো আরো বেশি পছন্দ করবেন। এই মাস্টার প্রকৃত নাম হচ্ছে গ্লোটেট্রা। এই মাস্টার রাতের বেলায় যদি একুরিয়ামের মধ্যে রেখে দেওয়া যায় তাহলে আলোর মতো জ্বলতে থাকে । বাড়তি আলো দেবার প্রয়োজন হয় না এই মাছ থাকার কারণে।
আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া! ঈদের সময় পরিবারের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলোর বর্ণনা খুবই হৃদয়গ্রাহী। ঢাকার উদ্দেশ্যে আপনার যাত্রা এবং পরীক্ষার প্রস্তুতির ব্যস্ততার মধ্যে থেকেও এত সুন্দরভাবে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন, সেটা প্রশংসনীয়।
মামার বাসায় সময় কাটানো, আড্ডা দেওয়া, এবং মাশরাফির তৈরি একুরিয়ামগুলো দেখে আপনার ভালো লাগার কথা শুনে ভালো লাগলো। ছবিগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম। আপনার পরীক্ষা এবং ঢাকার যাত্রার জন্য শুভকামনা রইল!
[@redwanhossain]
একুরিয়াম গুলো সত্যি অসাধারণ হয়েছে দেখতে। রঙিন মাছ গুলো দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। পরিবারের সকলেই ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিলে অনেক বেশি আনন্দ এবং তৃপ্তি পাওয়া যায় এটাই স্বাভাবিক।💕
মামার বাড়ি ভারি মজা কিল চিড় নাই৷
কত দিন যে মামাবাড়ির মজা নিতে যাইনা সিয়াম তোমার পোস্ট পড়ে মনে পড়ে যায় ছোটবেলার স্মৃতি৷
অ্যাকোয়ারিয়ামের মাছগুলো সত্যিই খুব সুন্দর৷ তোমার মামার ছেলে বেশ পরিচর্যাতে রাখেন বোঝা যাচ্ছে৷
তোমার একটা সুন্দর অ্যাকোয়ারিয়াম হোক এক কামনা করি৷ ভাল থেকো৷
ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে মাশরাফি ছোট ছেলে হলেও খুব গুণের ও কাজের। জানো তো কোথায় আছে মামার বাড়ি ভারী মজা কিল চড় নাই। তোমারও সেই সুন্দর মুহূর্ত গুলো উঠে এলো পোস্টে। মাছেদের ছবিগুলি অসাধারণ। মায়ের পোস্টেই মামার বাড়ি যাওয়ার সুখবরটা পেয়েছিলাম। এই ছোট্ট মানব জীবনে সকলের সাথে সব বিবাদ বুঝে যাক এবং সকলে আনন্দে থাকো। তোমার পোস্ট সেই সব মুহূর্তকে আরো আলোকোজ্জ্বল করে তুললো।
Spot on! :) You've covered all the angles. :) I'm your fan now. :D
Absolutely brilliant! :D This is really helpful. :D You've got a talent for this. :)