শীতে জনজীবন অতিষ্ঠ
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনার সকলেই অনেক ভালো আছেন। তবে গতকাল থেকে আমাদের উত্তরাঞ্চলে যে পরিমাণে ঠান্ডা পড়েছে এ পরিমাণ ঠান্ডা মনে হয় গত তিন চার বছরে পরে নি, এত পরিমান ঠান্ডা অনুভব হচ্ছে। বাসা থেকে বের হওয়া আমাদের সকলের জন্য দুষ্কর বিষয় হয়ে যাচ্ছে। এই ঠান্ডার সময় এই বিয়ের প্রোগ্রাম কিংবা অন্যান্য প্রোগ্রামগুলো করাটা বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। কারণ দিনের বেলা অনেকটাই ছোট হয়ে থাকে। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণ ঠান্ডা এই এলাকায় পড়ে যার কারণে সবকিছু কাজ গুছিয়ে নিতে বেশ খানিকটা কষ্টকর বিষয় হয়ে পড়ে।
এইতো জানুয়ারি মাস চলে আসলো, 2025 সালে চলে আসলো। এই বছরই আমার বিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। যার কারণে হাতে খুব বেশি একটা সময় নেই। তাই পরিবারের সকলে মিলে বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা এখন থেকেই শুরু করা হয়েছে। যেহেতু হাতে খুব বেশি একটা সময় নেই এবং অনেকগুলো কাজ বাকি রয়েছে তাই লিস্ট করে প্রত্যেকটি কাজগুলো আলাদা আলাদা ভাবে ভাগ করে নেওয়া হচ্ছে। আজ সারাদিন কোন রোদের দেখা পায়নি। সাধারণত আমরা অন্যান্য শহরে থাকলে বুঝতে পারি এখন দিনের বেলা এখন দুপুরবেলা এখন বিকেল বেলা কিন্তু বিশ্বাস করেন গত দুদিন ধরে ঠিকভাবে বুঝে উঠতে পারছিনা বর্তমানে কয়টা বাজে। শুধুমাত্র ঘড়ি দেখেই সময় গুলো নির্ধারণ করতে হচ্ছে। এতটা খারাপ অবস্থা। আজ তো আবার দেখলাম অনেকটা কুয়াশা পড়েছে, সব মিলিয়ে বাহিরে আবার প্রচন্ড ঠান্ডা বাতাস বইছে।
আপনারা যারা উত্তরাঞ্চলে বসবাস করেন আপনারা সকলেই এই বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত রয়েছেন। আমাদের এই উত্তরাঞ্চলেই সব থেকে বেশি গরম পড়ে আবার সবথেকে বেশি বৃষ্টিপাত হয় আবার তুলনামূলক অনেক বেশি ঠান্ডাও পড়ে। কারণ আমাদের এখান থেকেই হিমালয় পর্বতমালা খুব একটা বেশি দূরে নয়। এখান থেকে মেঘালয় এবং শিলিগুড়িও খুব কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে। সেখান থেকে বরফ গলা পানি সরাসরি তিস্তা নদীর মধ্য দিয়ে আমাদের এই উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করে অর্থাৎ নীলফামারের উপর দিয়েই বইতে থাকে। সেই পানিগুলো এতটাই ঠান্ডা হয়ে থাকে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
মোবাইলে দেখছি টেম্পারেচার ১০ এবং ১২ কিন্তু বিশ্বাস করেন রাতের বেলা টেম্পারেচার মনে হয় ৭-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নিচে নেমে যায়। যদিও সেটা ফোনে দেখাচ্ছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নিচে নামে। তবে যে পরিমাণে অবস্থা রয়েছে এতে করে মনে হয় না যে সেটা সম্পূর্ণভাবে সত্য ওটা দেখাচ্ছে। কারণ যে পরিমাণ ঠান্ডা অনুভব হচ্ছে এতে করে আমাদের মতো যারা মধ্যবয়স্ক মানুষ রয়েছে তাদেরই অনেক কষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং যারা শিশু এবং বৃদ্ধ রয়েছে তাদের কথা বাদই দিলাম তাদের অবস্থা আরো করুন।
বিশেষ করে সব থেকে বেশি খারাপ লাগছে কোন বিষয়গুলো জানেন, যারা বর্তমানে হতদরিদ্র অবস্থায় রয়েছে। যারা দুবেলা ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করতে পারে না তাদের এই শীতকালে কি ধরনের অবস্থা হচ্ছে সেটা আসলে খুবই কষ্ট বিষয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগ নিয়েছি এ শীতকালে একজন মানুষ হলেও একটু ভালোভাবে তাকে সাহায্য করবো তার জীবন যাত্রার মান একটু পরিবর্তন করে দেওয়ার চেষ্টা করব। দেখি সেটা পরিকল্পনা মাফিক করতে পারি কিনা। যাই হোক আজকের মত এখানেই শেষ করছি আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: শীতে জনজীবন অতিষ্ঠ
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......
উত্তরাঞ্চলে বর্তমানে কি রকম পরিমাণের শৈত্য প্রবাহ চলছে তা কেবলমাত্র উত্তরাঞ্চলের লোকজনই বলতে পারবে। গতকাল বিকেল চারটা দিক ভাবলাম হয়তো জোহর হয়েছে কিন্তু ফোন বের করে ঘড়ি দেখলাম চারটা বিশ মিনিট, মনে হচ্ছিল আমি কোন স্বপ্ন দেখছি। আর রাতের বেলার কথা কি বলবো ভাই, আমারও মনে হয় ফোনে টেম্পারেচার ভুল দেখাচ্ছে যে পরিমাণের শীত চলতেছে তাতে মনে হয় ৭ থেকে ৮ ডিগ্রিতে নেমে যাচ্ছে টেম্পারেচার। প্রার্থনা করছি স্রষ্টা আমাদের দিকে একটু উষ্ণতার চাহনি দিক। সব মিলিয়ে আমাদের উত্তরবঙ্গে শীতের কঠিন অবস্থা বিরাজমান। আগামী দিনগুলোতে টেম্পারেচার ৬ বা 7 এ নেমে আসবে।
উত্তরবঙ্গে শীত আসলেই বেশি পড়ে। ঢাকাতেই তো দুইদিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। এতে করে বুঝাই যাচ্ছে সারাদেশে কি পরিমাণে শীত পড়েছে। তীব্র শীতে দিনমজুরেরা প্রচুর কষ্ট করছে। যাইহোক সাবধানে থাকবেন ভাই। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
উওরঞ্চল টা সবসময় একটু ঝামেলার। শীত গরম সবকিছুই বেশি ওখানে। তবে ইদানিং ঢাকার মধ্যেও প্রচণ্ড শীত। গত কয়েকদিনে শীতের তিব্রতা যেন সবকিছু ছাড়িয়ে গিয়েছে। সত্যি এই শীতে জনজীবন একেবারে নাজেহাল হয়ে পড়েছে। বেশ লিখেছেন আপনি। ধন্যবাদ আপনাকে।।