আমার স্মরণীয় একটি দিন// দ্বিতীয় পূর্ণমিলনী ২০০০ ব্যাচ (পর্ব-১) ১০% পে-আউট লাজুক খ্যাকের জন্য
স্টিমিটের সহযোদ্ধারা,
"আসসালামুয়ালাইকুম" আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।
গত ১২ ই নভেম্বর ২০২১ ইং রোজ শুক্রবার আমাদের বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বিতীয়বারের মতো একটি "পূর্ণমিলনী এসএসসি ২০০০ ব্যাচ" অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল সেখানে আমি অংশগ্রহণ করেছি। আমি আমার গত কালকের একটি পোষ্টের মাধ্যমে আমার অংশগ্রহণের পূর্ব প্রস্তুতি ও আমার অনুভূতি গুলো শেয়ার করেছিলাম। তো আজকে আমি আমাদের গেট টুগেদার এর উপলক্ষে আমার একটি স্মরণীয় দিনকে কেন্দ্র করে আমার আনন্দঘন মুহূর্তগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি।
এই অনুষ্ঠানে আমরা সর্বমোট ৩৫ জন অংশগ্রহণ করেছি। তো আমাদের মাঝে অনেকেই দেশের বাইরে বা বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে অংশগ্রহণ করতে পারে নাই কিন্তু তারা আমাদের সাথে সহযোগিতায় ছিল।
নিচের ছবিটি আমাদের স্কুলের মেইন গেট, আসলে সরকারি স্কুল তো আমরা যেরকম রেখে এসেছি এখনো পর্যন্ত সেরকমই রয়েছে, কোন উন্নতি নেই সেটা দেখে খুব খারাপ লাগলো।
আমাদের স্কুলের প্রোগ্রামের টাইম ছিল সকাল ৯:০০। তো যথারীতি সবাই মোটামুটি ৯:০০ টার মধ্যে এসে পৌঁছে গেলাম। আমাদের এই প্রোগ্রামের যারা আয়োজনের দায়িত্ব ছিল তারা মোটামুটি ৭:০০টার সময়ে সেই স্কুলের একটি ক্লাসরুম ভালো ভাবে সুন্দর ভাবে গুছিয়ে সাজিয়ে নিয়েছে।
আমাদের বন্ধুরা এক এক করে এই স্কুলে যখন আসছে তখন সবার সাথে প্রায় ১৭ বছর পর দেখা হওয়ার ইচ্ছাটা সেটা অনেক আনন্দে পরিণত হয়েছে এবং আমরা একেকজন একেক জনকে কোলাকুলির মাধ্যমে সাদরে গ্রহণ করে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিলাম।
এরপর এই স্কুলের বর্তমান প্রধান শিক্ষক বিজয় স্যার তিনিও সাড়ে নটার মধ্যে আমাদের মাঝে মাঝে এসে হাজির হলেন। যদিও এই স্কুলে আমাদের সময়কার বিজয় স্যার ছিলেন শিক্ষক হিসাবে। যেহেতু দীর্ঘ ২১ বছর পার হয়ে গেছে তাই আমরা আমাদের সময়কার সকল শিক্ষককে আর পেলাম না। আমরা বিজয় স্যারকে ফুল দিয়ে আমাদের অনুষ্ঠানে স্বাগতম জানাই।
এরপর আমরা আমাদের অনুষ্ঠান যথারীতি শুরু করে দিলাম। প্রথমে আমরা আমাদের শ্রদ্ধেয় বিজয় স্যারকে আমাদের নতুন প্রজন্ম এবং আমাদের সময়কার কিছু স্মৃতি নিয়ে আমাদের উদ্দেশ্যে সারকে কিছু বলার জন্য রিকোয়েস্ট করলাম। স্যার আমাদের উদ্দেশ্যে অনেক কথাই বললেন আমরা খুব মনোযোগ দিয়ে স্যারের কথাগুলো শুনছিলাম ঠিক ওই মুহূর্তে মনে হয়েছিল আমরা সেই ২১ বছর আগে আমাদের স্কুলে বসে আমাদের ক্লাসগুলো করছি। ফিরে গেলাম সেই ২১ বছর আগে সেই স্মৃতিচারণ গুলা মনে করতেছি। আমরাও স্যারের সাথে একেক জন একেক ভাবে বলছি এভাবেই বেশ কিছুক্ষণ চলল।
এরপর আমাদের মধ্যে অনেকেই সামনের টেবিলে এসে সেই ২১ বছর আগের কিছু পুরনো স্মৃতি নিয়ে আলোচনা করে যেগুলো আমাদেরকে খুব ঐ সময়ে নাড়া দিয়েছিল সব মিলিয়ে খুব ভাল ছিল।
এরপর আমরা কেক কেটে আমাদের অনুষ্ঠানটা কে আরো উৎসবমুখর করে নিলাম এবং সবাই সবাইকে কেক খাওয়ানোর মাধ্যমে অনুষ্ঠানটা কে সফল করার একটা পর্যায়ে নিয়ে গেলাম। আমরা সবাই স্যারকে কেক খাইয়ে দিলাম এবং নিজেরাও কেক কেটে মোটামুটি আমাদের ইস্কুলের যে 2 ঘন্টা নিয়ে আমাদের অনুষ্ঠানটা হওয়ার কথা সেটা প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। এরপর আমরা সবাই মিলে স্যারের সাথে একটা সেলফি নিলাম তারপর স্যার কে বিদায় দিয়ে দিলাম স্যার আমাদের বিদায়ের মুহূর্তে সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলল সবাই ভালো থাকবা আমি তোমাদের জন্য দোয়া করি, আমার জন্য সবাই দোয়া করবা। যদি আল্লাহ সবার হায়াত রাখে আমরা ইনশাআল্লাহ আবার সামনে আমাদের সবার সাথে দেখা হবে। এই বলে বিজয় স্যার আমাদের এখান থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেল।
এরপর আমরা সবাই মিলে স্কুলের মাঠে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম এবং সবাই একসাথে কয়েকটা গ্রুপ ছবি নিলাম যা নিচে আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি।
এরপর আমরা এখান থেকে রওনা হবো আমাদের অনুষ্ঠানের মূল পর্বে সেটি আমাদের অনুষ্ঠিত হবে মিরসরাই মহামায়া ইকো পার্কে আমরা সেখানের উদ্দেশ্যে সবাই স্কুল থেকে বের হয়ে যাচ্ছি।
ভাইয়া আপনার কেকের লিখাটি আমার খুবই পছন্দ হয়েছে "জীবন তো অনেক হয় স্কুল জীবনের মতো নয়"। খুবই সত্য একটি কথা স্কুল জীবনের মত আনন্দের জীবন আর একটিও হয় না। কিন্তু আমরা ওই সময় এই আনন্দটা বুঝতে পারিনা। স্কুল জীবন ফেলে আসার পর আমরা বুঝতে পারি যে স্কুলের আনন্দটা কত মজার ছিল। আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো যে আপনি অনেকদিন পর আপনার বন্ধুদের সঙ্গে ভালো একটি সময় কাটিয়েছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল। অসাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যের জন্য এছাড়াও আপনি আমাদের এই অনুষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তুলে ধরেছেন আর এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি আপনি বুঝতে পারার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কিভাবে যে আপনার পূর্ণ মিলন এর ব্যাখ্যা করবো সেটা বুঝে উঠতে পারছি না। তবে জীবন তো অনেক হয় স্কুল জীবনের মতো নয় কেকের উপর লেখা টি হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। আপনারা গেট টুগেদার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন সবাই মিলে এবং কি এত বছর পরেও একে অপরের সাথে খোঁজখবর নিয়েছেন। বর্তমানে আমার মনে হয় না একবছর বা দুই বছর গেলে যে কেউ কাউকে মনে করে। সবাই সবার মত ছুটে ছিটে পড়ে থাকে তেমন একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিং হয়না। যেমনটা আমাদের মাঝে নেই, আপনাদের স্কুলের স্যারের কে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া। এবং কি আপনারা একের পর এক কথোপকথন সত্যি বিষয়গুলো আনন্দের ছিল। মিরেশ্বরাই ইকোপার্কের যাওয়ার জন্য আপনারা সবাই বেরিয়ে যাচ্ছেন, নিশ্চয়ই ওখানে আরো ভালো কিছু ফটোগ্রাফি আমাদেরকে শেয়ার করবেন। সে অপেক্ষায় রইলাম এত সুন্দর একটা সময় আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ রইল ভাই।
সবাই দেখি খুবই মেধাবী। কেকের উপর লেখাটির উপরে সবার চোখ ভরে গেল আমারো মতে অসাধারণ একটি লেখা ছিল অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ ও অসাধারণ মন্তব্যের জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আসলে স্কুল 🏫 জীবনের স্মৃতিচারণ করলে কেমন যেনো ভেতরটা শূন্য লাগে। কি যে একটা আনন্দের সময় ছিল ♥️ আর এখন বাস্তবতার কড়াল গ্রাসে শুধু কাজ নামক ব্যাস্ততায় নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছি। ভাই আপনার পোস্টটি আমার ভীষণ ভালো লেগেছে 🥀 আপনাদের সবার জন্য অনেক দোয়া রইল ♥️
আমার পোস্টটি ভালোলাগার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইল।