ছোট গল্প-ডিজিটাল ভূত||১০% বেনিফিট লাজুক খ্যাকের এবং ৫% বেনিফিট এবিবি স্কুল এর জন্য।

আসসালামু আলাইকুম
০৪- এপ্রিল ২০২২

ঢাকা-বাংলাদেশ থেকে
আশা করা যায় যেহেতু প্রতিদিন আমি আপনাদের জন্য দোয়া করি ভালো থাকার সেহুতু আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন। আর আপনারা তো ঠিক একই দোয়া আমার জন্য করেন সেই কারনে আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আর এই দোয়া বা প্রার্থনা দিয়ে গড়ে উঠে সকল স্নেহ ভালোবাসার সম্পর্ক ।আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো একটা ছোট গল্প।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

Untitled-1.png

ছোট গল্প-১

steemit .png

ডিজিটাল ভূত

image.png

ghost-g76a862fd0_1920.jpg
Source

গ্রামের নাম অচিনপুর।এই গ্রামের মানুষ গুলো খুব সহজ সরল। এদের কাছে জীবন মানে তিন বেলা পেট ভরে খাওয়া এর ইক্টু সুখে থাকা।তাই এ গ্রামে কোনো মারামারি বা ঝগড়াঝাটি নেই। গ্রামটিতে ছিলো একটি শশান ঘাট। শশান ঘাটের পাশেই ছিলো বিশাল একটি বট গাছ।জায়গায় টা ছিলো খুব গা ঝিমঝিমে,চারিদিকে শুধু নীরবতা। দিনের বেলায় ওই স্থান দিয়ে মানুষ একা চলাচল করে না। কিন্তু গ্রামের বাজারে যাওয়ার রাস্তা ছিলো ওই একটাই, তাই গ্রামের মানুষ বাজারে যাওয়ার সময় একসাথেই যেতো আবার একসাথেই ফিরতো।

ওই গ্রামের একটি ছোট একটা মিস্টি ও চঞ্চল ছেলে ছিলো কুটু। কুটু পরিবারে ছিলো তার মা-বাবা,এবং ছোট একটা বোন।কুটুর বাবা ছিলো ব্যবসায়ী। কুটু গ্রামের একটা স্কুলে ক্লাস ২য় শ্রেনীতে পড়ে। কুটু বাবার খুব কাছের ছিলো। বাবা কুটুকে খুব ভালোবাসতেন।অনেক সময় বিভিন্ন কাজে তাকে সঙ্গে নিয়ে যেতো।কুটুও যেতো,,,,তবে কুটু যাওয়ার পিছনে মজার একটা কারন ছিলো বাবা সাথে গেলে বাবা কুটুকে কয়েক টাকা দিতো যা দিয়ে সে পরের দিন স্কুলে গিয়ে খরচ করতো।আমিও ছোট বেলায় আম্মু যদি বলতো,,, (""কে এই কাজ করবে তাকে ২টাকা দিবো আমিতো সবার আগেই দৌড়ে যেতাম"")। ঠিক তেমনি এক হাট বার কুটুর বাবা কুটুকে বাজারে যাওয়ার কথা বললো,,কুটুও রাজি হয়ে গেলো। কুটু ও কুটুর বাবা এবং আরো অনেক ব্যবসায়ীরা একসাথে হয়ে সেই শশান ঘাট, বটতলা দিয়ে বাজারে গেলো। কুটু বাজারে গিয়ে বাবার সাথে সারাদিন ব্যবসায় সাহায্য করলো।হাটবারে কুটুর বাবার অনেক বন্ধু তাদের দোকানে এলো এবং কুটুকে অনেক খেলনা উপহার দিলো।দেখতে দেখতে বিকাল হয়ে গেলো।কুটুর বাবা কুটুকে বললো কুটু তুমি এখন বাসায় এই বাজার নিয়ে চলে যাও,, তুমি গেলে মা রান্না করবে এবং তার কাছে থাকা নোকেয়া বাটন মোবাইল দিয়ে বললো বাসায় গিয়ে আমাকে ফোন দিও। কুটু বাজার নিয়ে রাস্তা দিয়ে দুলতে দুলতে বাসার দিকে রওনা হলো। চলার মাঝে মাঝে বাবার বন্ধুদের দেওয়া উপহার গুলো বের করে দেখে সব ঠিক আছে কিনা।এরকম করতে করতে ঠিক ওই শশান ঘাটের কাছা কাছি আসতে আসতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো।কুটু ইক্টু ইক্টু ভয় পেতে লাগলো।ইক্টু সামনে যায় কিছু সময় অপেক্ষা করে আর ভাবে কেউ যদি আসে তার সাথে যাবো।কিন্তু কেউ আসনে কুটু কি করবে বাসায় তারাতারি না গেলে আবার মা রান্না করতে পারবে না।তাই সে আস্তে আস্তে চলতে শুরু করলো।ঠিক যখন শশান ঘাটের ওই বট গাছের নিচ দিয়ে যেতে লাগলো তখনই একটা ছোট মেয়ের হাসির আওয়াজ আসতে লাগলো। কুটু চারিপাশে দেখলো কেউকে দেখতে পারছে না।শুধু সেই হাসির আওয়াজ ভেসে আসছে। কুটু অনেক ভয় পেলো এবং সেইখানে জ্ঞান হারিয়ে ফেললো। এরপর অনেক রাতে কুটুর বাবা ও আরো ব্যবসায়ীরা বাসায় যাওয়ার সময় কুটুকে সেখানে অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকতে দেখে ধরাধরি করে বাসায় নিয়ে যায়।পরের দিন সকালে কুটুর জ্ঞান ফিরলে সবাই তাকে রাতে কি হয়ে ছিলো জিজ্ঞাসা করলে, সে সব ঘটনা খুলে বলে। কথা বলা শেষ হলে কুটু বাবা কুটুকে জিজ্ঞাস করলো কুটু আমি যখন তোমাকে রাতে ফোন দিয়েছিলাম তখন তুমি কোথায় ছিলে,,এই কথা বলার সাথে সাথে কুটুর আছে থাকা ফোনে একটা কল এলো, আবার সেই ছোট মেয়ের হাসি ভেসে এলো, কুটু বলে উঠলো এই সে মেয়ের হাসি,,কুটুর কথা শোনে সবাই হেসে দিলো,,,আর বললো এটাতো ফোনের রিংটন। কুটু সরল মুখে বলে উঠলো তাহলে এটাকি ডিজিটাল ভূত।

আশা করি ভালো লাগেছে আপনাদের।আপনাদের ভালো লাগলেই আমি স্বার্থক। আপনাদের ভালোবাসা,আর সাপোর্ট আমাকে আগামীতে আরো ভালো কিছু লেখার উৎসাহ জোগাবে।

@alaminridoy

Sort:  
 2 years ago 

ছোটগল্প ডিজিটাল ভূত গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো । আপনি অনেক সুন্দর একটি গল্প তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ।
আশা করি পরবর্তীতে আরো সুন্দর সুন্দর গল্প তৈরি করে আমাদের সামনে উপস্থাপন করবেন ।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল

ইনশাআল্লাহ আমি চেস্টা করবো আপনাদের আরো সুন্দর সুন্দর পোস্ট উপহার দিতে,,

 2 years ago 

বেশ মজা পেলাম ভাইয়া। কুটু আসলে ফোনের রিংটোন শুনেছে,,🤣
আপনার লেখা গল্প টি পড়তে খুবই ভালো লেগেছে। আশা করি আপনি পরবর্তীতেও এমন সুন্দর সুন্দর গল্প শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ আপনাকে

আপনাদের ভালো লাগলেই আমি ধন্য

 2 years ago 

কি গল্প রে বাবা, আমি তো হাসতে হাসতে বেহুশ 🤣। দুর্দান্ত লিখেছেন ভাই, এবং গল্পের আকাঙ্ক্ষাটা সঠিক লিখেছিলেন যার কারণে পুরো গল্পটি পড়ার শুধু সাহস হয়েছে আমার। শুভকামনা রইল আপনার জন্য এভাবেই লিখে এগিয়ে চলুন।

আমি শুনে খুশি হলাম,, অন্তত আপনাদের মুখে যদি ইক্টু হাসি ফুটাতে পারি,,,তাতেই আমি খুশি।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 60115.50
ETH 3192.77
USDT 1.00
SBD 2.45