পহেলা বৈশাখ ||১০% বেনিফিট লাজুক খ্যাক এর জন্য ও ৫% বেনিফিট এবিবি স্কুলের জন্য
আসসালামু আলাইকুম
১৪ই এপ্রিল ২০২২ইং
আজ বিগত সকল বছরের সকল কষ্ট ভুলে সাজবো আবার নতুন করে।জীবনের রং তুলিতে আঁকবো ছবি, বাধবো বাসা রমনার ওই বটের মূলে।
পহেলা বৈশাখ
পহেলা বৈশাখ নিয়ে বাংলা মানুষের আয়োজন আবেগ থাকে অন্যরকম। পহেলা বৈশাখ এর ইতিহাস আমাদের সকলেরই জানা।সাধারণ সম্রাট আকবরের সময় থেকে পহেলা বৈশাখ উদযাপন শুরু করা হয়। তখনকার সময়ের প্রধান ঘটনা ছিল এই দিনে হালখাতা উদযাপন করা। হালখাতা মূলত পুরান হিসাব বন্ধ করে, নতুন বইয়ের হিসাব খোলা। গ্রাম শহর বা বাণিজ্যিক এলাকায় সকল স্থানে পুরোনো হিসাব বন্ধ করে নতুন হিসাব খোলা হত এবং হালখাতার এই দিনে দোকানদাররা তাদের গ্রাহকদের মিষ্টি আপ্যায়ন করে থাকতেন।নববর্ষের এই দিনটি বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীর নতুন ব্যবসা শুরু করা উপলক্ষে বরণ করে নেওয়া হয়। পুরোনো ব্যাবসায়ীরা আয়োজন করেন হালখাতার। ক্রেতা সারা বছরের বাকি পরীশোধ করে নতুন বছরের খাতা খোলেন। নানা খাবার আর আয়োজনের মধ্য দিয়ে করা হয় এই হালখাতার কাজ। এতে ক্রেতা বিক্রেতার সম্পর্ক হচ্ছে আরও সুন্দর ও আস্থাশীল হয়।
কিন্তু বর্তমান যুগ পরিবর্তন এর সাথে সাথে এই রীতি নীতি পরিবর্তন হয়ে আজ শুধু ব্যবসায়ী এরা একা উৎসব পালন করেন না সমস্ত মানুষ আজ এই উৎসব পালন করে থাকেন।
বাংলার যে কয়টি উৎসব আছে, তার মধ্যে পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণ একটি সার্বজনীন অনুষ্ঠান। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব শ্রেণি ও বয়সের মানুষ এই উৎসবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। গ্রামগঞ্জে তো বটেই, নাগরিক জীবনেও জায়গা করে নিয়েছে এই উৎসব। রংবেরঙের পোশাকে সজ্জিত হয়ে সব বয়সী মানুষজন অংশ নেয় এই উৎসবে।
পহেলা বৈশাখের আনন্দ শুরু হয় মূলত সকাল থেকে। যা শুরু হয় বাংলার ঐতিহ্যবাহী কিছু খাবার দিয়ে, পান্তা ভাতের সঙ্গে ইলিশ, বিভিন্ন রকমের ভর্তা, কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজ। যার স্বাদ বাঙালির মনে ও প্রাণে লেগে থাকে পুরো বছর।
পহেলা বৈশখে ছেলেরা সেজে ওঠে নববর্ষের নতুন সাদা পাঞ্জাবিতে। এবং মেয়েরা বাংলা শাড়িতে তাদের সুন্দয্য বাড়ায়।শিশুরা মেতে উঠে তাদের গালে লেখা শুভ নববর্ষতে। মেলায় সারাদিন ঘোরা, মুড়ি-মুড়কি, বাতাসাসহ কত রকমের খাবার খাওয়া। যে খাবারগুলো বাংলার ঐতিহ্যকে লালন করে আসছে বহু বছর থেকে। সেসব খাবার বছরের অন্যদিন দেখা না গেলেও পহেলা বৈশাখের মেলায় ঠিকই দেখা মেলে এসবের। নাগোরদোলনায় চড়া আর পুতুল নাচ এই মেলার অন্যতম এক অংশ। নববর্ষ আমাদের বাঙালির সঙ্গে মিশে আছে হাজার বছরের ঐতিহ্য।
আমরা বাঙালিরা পহেলা বৈশাখ নিয়ে অনেক আয়োজন করে থাকি নতুন বছরকে সানন্দে বরণ করার জন্য। কিন্তু তদন্ত পরিতাপের বিষয় বাঙালি সংস্কৃতির ধারে কাছেও যারা সারা বছর থাকে না পহেলা বৈশাখের দিনটিতে তাদের পদচারণাই বেশি দেখা যায়। অথচ বাংলা সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে আমাদের প্রতিনিয়ত ধারণ করা উচিত। আপনার পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করা জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ, আমার পোস্টি পড়ার জন্য এবং এত সুন্দর মন্তব্য জন্য।
পহেলা বৈশাখ সত্যিই বাঙ্গালীদের জন্য অনেক আনন্দের একটি দিন। আপনি পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন। আমার কাছে বিশেষ করে পহেলা বৈশাখের লাল সাদা রংয়ের ড্রেস বেশি ভালো লাগে। আপনার কথাগুলো পড়তেও ভীষণ ভালো লেগেছে। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু,,আপনার মূল্যবান সময় হতে আমার পোস্টি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
খুবই ভালো লাগলো আপনার এত সুন্দর একটি পোস্ট দেখে। খুবই সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনার কথাগুলো।
ধন্যবাদ কষ্ট করে আপনার মন্তব্য করার জন্য,,আপনাদের মন্তব্য পেলে খুব ভালো লাগে।ধন্যবাদ
শুভ নববর্ষ ভাইয়া। আপনার এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনি পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে খুবই সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্টি পড়ার জন্য এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য রাখার জন্য
প্রথমে জানাই আপনাকে পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা।। পহেলা বৈশাখ সম্বন্ধে আপনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।।
ধন্যবাদ কষ্ট করে আপনার মন্তব্য রাখার জন্য
পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা জানাই আপনাকে। পহেলা বৈশাখ নিয়ে অনেক ভালো লিখেছেন ।যেটা নতুনের আগমন ঘটে অতীতকে ভুলে গিয়ে নতুন করে বরণ করে নেওয়ার আমন্ত্রণ রইল।
আপনাকেও নববর্ষের শুভেচ্ছা। আশা করি আপনার পুরু বছরটা অনেক অনেক ভালো কাটুক