ছোটবেলায় বৈশাখী মেলায় গিয়ে চোর ধরার গল্প | |10% Beneficiary To @shy-fox | |
আসসালামু আলাইকুম।
আমি আলামিন ইসলাম আছি আপনাদের সাথে। আমার ইউজার নেমঃ@alamin-islam। আমি বাঙালি, বাংলাদেশের একজন নাগরিক।আশা করি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি এর সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর অশেষ রহমতে ভাল আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
পহেলা বৈশাখ হলো সমগ্র বাঙালি জাতির একটি আনন্দ উৎসবের দিন। এই দিনে হিন্দু-মুসলিম সকল সম্প্রদায় একে অপরের সঙ্গে মিলেমিশে নববর্ষকে নতুন রূপে বরণ করে উদযাপন করে। পহেলা বৈশাখে নানা রকমের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং নানা ধরনের বাঙালির ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হয়। আর এই পহেলা বৈশাখে পান্তা ইলিশ না হলে কিন্তু বাঙালিয়ানা টা একদমই জমে না। তবে সময়ের সাথে সাথে এই দিনগুলো আগের চেয়ে অনেকটা বিলীন হয়ে গেছে। আগে পহেলা বৈশাখ হলেই গ্রাম-শহর সব জায়গাতেই উৎসবের ফোয়ারা উঠে যেত। শহর-গ্রাম সব জায়গাতেই বসতো বৈশাখী মেলা। কিন্তু এখন সচরাচর এগুলো আর খুব একটা দেখা যায় না। তবে ছোটবেলায় পহেলা বৈশাখে আমি খুবই মজা করতাম। ছোটবেলায় পয়লা বৈশাখ মানেই আমার মধ্যে এক অদ্ভুত আনন্দ কাজ করতো। পয়লা বৈশাখে নতুন জামা পরব , এখানে ঘুরব, এই করবো ওই করবো তা নিয়ে ছোটবেলায় আমার খুবই মাথাব্যথা ছিল। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এখন অবশ্য পহেলা বৈশাখ নিয়ে আর অতটা মাতামাতি হয় না তবে আমার ছোটবেলায় পহেলা বৈশাখে আমি অনেক আনন্দ করেছি। আমার সেই ছোটবেলার স্মৃতি থেকেই আজ আমি আপনাদের সাথে আমার ছোটবেলায় কাটানো পহেলা বৈশাখের একটি মজার ঘটনা শেয়ার করব। আশা করি, আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
বেশ অনেকগুলো বছর আগের কথা। আমার বয়স তখন বোধহয় ১০ বছর। তখন আমি পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ি।এই ছোটবেলায় পহেলা বৈশাখের সময় হলেই আমি গ্রামে চলে যেতাম আমার মামাদের বাসায়। কারণ আমার মামা বাড়ি থেকে ১৫ মিনিট হেঁটে যেতে একটি বিশাল বড় মাঠে বটগাছের নিচে বেশ বড় করে বৈশাখী মেলা বসতো। এই বৈশাখী মেলাতে যাওয়ার জন্য আমি প্রতি বছরই পহেলা বৈশাখের সময় গ্রামে চলে যেতাম। এই বৈশাখী মেলার সাথে ছোটবেলায় আমার অনেক ধরনের স্মৃতি জড়িয়ে আছে। তাহলে চলে আসি মুল ঘটনাই। পহেলা বৈশাখের আগের দিন আমি পৌঁছে গিয়েছিলাম আমার পরিবারের সাথে আমার মামাদের বাসায়। এরপর পহেলা বৈশাখের দিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই আমি গোসল করে খাওয়া-দাওয়া করে নতুন জামা প্যান্ট পড়ে বেরিয়ে গেলাম মেলার উদ্দেশ্যে আমার সমবয়সী এক মামার সাথে। এরপর মেলায় যেয়ে আমি বেশ অনেকক্ষণ ঘোরাফেরা করলাম। টাকা দিয়ে মজা কিনেছিলাম এবং দুইবার করে নাগর দোলনায় চড়লাম। এরপর যখন আমাদের বাড়ি আসার পালা তখন আমার মামা আমায় বলল যে চলো কিছু জিলাপি খাই । আমি বললাম তাহলে চলো। এরপর আমরা জিলাপির দোকানে যেয়ে ১০ টাকার জিলাপি কিনেছিলাম এবং দোকানিকে ২০ টাকার একটি নোট দিয়েছিলাম। এরপর দোকানিকে আমি বললাম আমাকে ১০ টাকা ফেরত দিন। তখন দোকানি আমাকে বলল ১০ টাকা কিসের। তুমি টাকা দিলে তোমাকে আমি জিলাপি দিলাম , টাকা ফেরত কিসের। তখন আমি দোকানিকে বারবার বলে বোঝাতে পারিনি ২০ টাকার নোট দিয়েছে তাকে। কিন্তু আমি ওনাকে বোঝাতে পারিনি আমি ওনার কাছে ১০ টাকা পায়। যাইহোক আমি নিষ্পাপ ছোট মানুষ বলে উনি আমার ১০ টাকা ঝেড়ে দিয়েছিলেন। এরপর ওই জিলাপির দোকান থেকে বেরিয়ে আসার দুই পা ফেলতেই আমার পায়ে কি যেন একটা বাঁধে। এরপর আমি পায়ের দিকে তাকিয়ে লক্ষ্য করলাম আমার জুতার নিচে একটি সুন্দর দেখতে আংটি পড়ে আছে। এরপর আমি আংটি হাতে তুলে নিলাম। তারপর আমি এবং আমার ওই মামা ওই দোকানিকে ওই আংটি টা দেখিয়ে বললাম যে এটা কি আপনার, আপনাদের দোকানের সামনে পড়েছিল। তখন ওই দোকানি বলল হ্যাঁ এইটা আমার। তারপর উনি আংটিটা নিয়ে নিজের পকেটে ঢুকিয়ে ফেললেন এবং আমাদেরকে চলে যেতে বললেন। ঠিক তার পর মূহূর্তে মেলার মাইকে কে যেন বলছে, যে একটি সোনার আংটি হারিয়ে গেছে। কেউ যদি পেয়ে থাকেন দয়া করে আমাকে দিয়ে দিন। ঠিক তখনই আমরা বুঝে ফেললাম যে দোকানি
আসলেই ঠকবাজ একটি লোক। এই আংটিটা দোকানীর নয়। এরপর আমরা বুদ্ধি করে দোকানিকে কিছু না বলে সেই মাইকের কাছে যেয়ে মাইকিং করা লোকটিকে সমস্ত ঘটনা খুলে বললাম এবং তারা দোকানিকে যেয়ে আংটির কথা জিজ্ঞাসা করলে দোকানী অস্বীকার করে। এরপর দোকানিকে চেক করাতে দোকানী আংটি সহ ধরা পড়ে যায়। আর এভাবে আমি বৈশাখী মেলাতে ছোটবেলায় ঘুরতে যেয়ে চোর ধরে ছিলাম।
আমি@Al-Amin ইসলাম , আমি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, আমার ইচ্ছা আমি দেশ ও দশের জন্য ভবিষ্যতে কিছু করতে চাই, আমার গর্ব হয় নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিতে। আমি গর্বিত বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে। বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, বাংলাদেশের মানুষ মাছে ভাতে বাঙালি, প্রকৃতির রূপ, রস ,গন্ধ সবকিছুই আমার অহংকার।
প্রয়োজনে পাশে আছি আমার সাথে যোগাযোগ করুন:
ফেসবুক || টুইটার || ইউটিউব || ডিস্কোড
বৈশাখী মেলায় মাঝে মাঝে এরকম অনেক চুরির ঘটনা ঘটে। আমিও ছোটবেলায় এরকম ই চুরির ঘটনা দেখেছি বৈশাখ মেলায়।আপনার কাহিনী শুনে ছোটবেলার বৈশাখী মেলার কথা মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে
ভাই আপনার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায় আমার পোস্টের মাধ্যমে জেনে খুশি হলাম, আপনার সুন্দর মূল্যায়ন আমাকে অনেক উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে, শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
https://twitter.com/Alamini15050207/status/1515017159793348610?t=miy-spm8ZbVnCH7XA5-iRg&s=19
মেলার মধ্যে চুর ধরা পড়লে তার জীবন অর্ধেক অইখানেই শেষ। হাহা। ছোটবেলায় মেলায় অনেক ঘুরতাম রাত পর্যন্ত বন্ধুরা মিলে। অনেক মজা হত। এবার ও মেলা হচ্ছে আমদের এলাকায়। গুটি কয়েক চোর হয়তো এবারও ধরেছে মানুষ। ধন্যবাদ আপনাকে
জ্বি ভাই আপনি ঠিক বলেছেন মেলায় চোর থাকবেই এটাই বাস্তবতা, আমাদের সকলেরই সচেতন থাকা উচিত, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
ছোট বেলায় মেলায় যখন ঘুরতে যেতাম তখন আনন্দের কোন সীমা থাকতো না। বেশ কিছু জিনিস কিনে ফেলতাম বাবার কাছে বায়না করে।
যাক আপনার চোর ধরার গল্পটি শুনে দারুন লাগলো। আপনি আসলেই বুদ্ধি করে চোরটি ধরেছেন।
জি ভাই ছোটবেলায় বাবা-মাকে অনেক জ্বালিয়েছি মেলায় ঘুরতে যেয়ে, বিশেষ করে ছোটবেলায় পিস্তল কিনতাম খেলা করার জন্য, আপনার সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
ভালো লাগলো ভাই আপনার আংটি চুরির গল্পটি। তবে আপনি খুব ভালো একটা কাজ করেছেন। নিজের বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন। আপনার জন্য আরেকজন বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছে। ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাই আপনার সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য পেয়ে আমি অনেক অনেক খুশি আনন্দিত, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
আসলে ছোটবেলায় বৈশাখী মেলায় ঘুরতে গিয়ে আমরা অনেক মজা করেছি। আপনার পোস্টে এসে এরকম চোর ধরার গল্প আমারও একটা মনে পড়ে গেল। আমাদের সময় ২০ টাকা দিয়ে স্টিলের পিস্তল পাওয়া যেত। আমি ছোটবেলায় বৈশাখী মেলায় গিয়ে প্রথমেই পিস্তল কিনতাম। সেদিন দোকানের সামনে দাড়াতেই দোকানি চোর চোর বলে চিৎকার করে উঠল বলল পিস্তল চুরি হয়েছে। আমিতো ভয় পেয়ে গেলাম পরে অবশ্য চোর ধরা পড়েছিল বিষয়টা অনেক রোমাঞ্চকর ছিল। আপনারা গল্পটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
জ্বি ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন ছোটবেলায় বৈশাখী মেলায় অনেক অনেক মজা করতাম আর পিস্তল কিনতাম, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
ছোটবেলা বৈশাখী মেলাতে ঘুরতে যাওয়া অনেক মজার একটা ঘটনা ছিল। সময়ের পরিক্রমায় আমরা বড় হয়ে যাওয়ার ফলে এসব অনুভূতি আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে গেছে। যাইহোক আপনার জিলেবি হওয়ার ঘটনাকে আমার বেশ দারুন লেগেছে। ছোটবেলার অনেক মজাদার একটি স্মৃতি 20 টাকা এবং 10 টাকার কাহিনীটি। যা বর্তমান সময়ে মনে পড়লে মনে হয় যে শুধু হাসি পাবে এমন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাই আপনি বাস্তবসম্মত কথা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন, ছোটবেলায় মেলায় যাওয়া কত আনন্দের অনুভূতি ছিল কিন্তু বড় হওয়ার সাথে সাথে সকল আনন্দ অনুভূতি বিলীন হয়ে যাচ্ছে আমাদের জীবন থেকে, আপনার সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
বেশ ভালোই তো বুদ্ধি মানের কাজ করেছেন।আসলেই এই রকম ঠকবাজ লোক প্রত্যেক জায়গায় আছে।ভালো লাগলো আপনার চোর ধরার গল্প পড়ে।ধন্যবাদ আপনাকে।শুভেচ্ছা রইলো।🌳🌳
আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে অনেক অনেক খুশি আনন্দিত হলাম, আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
বৈশাখী মেলায় ঘুরার মজাই আলাদা। তারপর উপর চোর ধরেছেন হাহা মজা পেলাম অনেক ভাই। খুব সুন্দর ভাবে সব কিছুর বর্ননা করেছেন অনেক ভালো লাগলো দেখে। আমাদের বেলায় একবার মেলার মধ্যে ঝড় হয়েছিলো। পুরো স্টেজ ভেঙ্গে পরে যায় সেবার।
আপনার সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই, আপনার সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন, শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
কথায় আছে চোরের দশ দিন গৃহস্থের একদিন। আপনাকে ছোট পেয়ে দশ টাকা জেড়ে দিলো এবং পড়ে থাকা আংটি উঠিয়ে দিয়েছেন বিদায় তাও তার পকেটে ভরে নিলো। অথচ তাকে খেসারত দিতে হয়েছে পরবর্তী। তবে আপনি ঠিকই বলেছেন বৈশাখী মেলায় খুবই আনন্দ করতাম। এখন আর আগের মতো তেমন একটা মেলা বসে না। আর আগের মতো আনন্দ পাওয়া যায় না। আর বয়সের সাথে সাথে সবকিছুই পরিবর্তন হয়। যাইহোক আপনার ছোটবেলার গল্পটি বেশ দারুন ছিল। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
জ্বি ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন চোরের দশ দিন গৃহস্থের একদিন কথাটি সম্পন্ন যুক্তিযুক্ত, আপনার সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল আপনার জন্য।