খুবই মজাদার এবং সুস্বাদু শোল মাছের রেসিপি
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি।
প্রিয়, আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের, খুবই মজাদার এবং সুস্বাদু শোল মাছের রেসিপি সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি। শোল মাছ অনেকে বেশ পছন্দ করে থাকে। এই মাছ গুলো আমাদের দেশীয় মাছ। শোল মাছ রান্না করলে বা, ভুনা করলে খেতে বেশ ভালো লাগে। শোল মাছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি, প্রোটিন পাওয়া যায়। শোল মাছের প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে।
আসুন শুরু করি
প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহ :-
নাম | পরিমাণ |
---|---|
শোল মাছ | মাঝারি একটা |
টমেটো | তিনটি |
পেঁয়াজ কুচি | দুইটি |
রসুন বাটা | পরিমান মত |
আদা বাটা | পরিমান মত |
কাঁচা মরিচ কুচি | পরিমান মত |
হলুদ গুঁড়া | আধা চামচ |
মরিচ গুঁড়া | পরিমান মত |
ধনিয়ার গুঁড়া পরিমান মত
জিরা বাটা| পরিমান মত
সোয়াবিন তেল| ১০০ গ্রাম ইত্যাদি ।
↘️ প্রস্তুত প্রণালীঃ ↙️
↘️ধাপ :- ১↙️
- আমি প্রয়োজনীয় উপকরণ যোগাড় করি। রান্নার প্রক্রিয়ার কাজ আরম্ভ করছি। প্রথমে আমি শোল মাছ কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিলাম।
- এখন আমি একটি পাতিল চুলার উপরে বসায়। পাতিলের মধ্যে পরিমাণ মতো তেল ঢেলে দিলাম।
↘️ধাপ :- ২↙️
- এখন পাতিলের তেলের মধ্যে পেঁয়াজ কুচি ঢেলে দিলাম। পেঁয়াজ কুচি লাল বর্ণ হওয়া পর্যন্ত নাড়িয়ে নিলাম।
↘️ধাপ :- ৩↙️
- পেঁয়াজ কুচি লাল বর্ণ হয়ে গেলে শোল মাছ এবং পরিমাণ মতো হলুদের গুঁড়া দিয়ে দিলাম ।
↘️ধাপ :- ৪↙️
- এখন আমি শোল মাছ কিছুক্ষণ তেলের মধ্যে ভালো করে ভাজি করে নিলাম।
↘️ধাপ :- ৫↙️
- শোল মাছ ভাজি হয়ে গেলে প্রয়োজনীয় সকল মসলা উপাদান দিয়ে দিলাম। আমি পরিমাণ মতো রসুন বাটা, আদা বাটা, জিরা বাটা, মরিচের গুড়া, হলুদের গুড়া, ধনিয়ার গুঁড়া, কাঁচামরিচ কুচি, লবণ দিলাম।
↘️ধাপ :- ৬↙️
- সকল উপাদান দেওয়ার পর এই পর্যায়ে মাছ ভালো করে কষিয়ে নিচ্ছি
↘️ধাপ :- ৭↙️
- মাছ কষিয়ে নেওয়া হয়েছে ।
↘️ধাপ :- ৮↙️
- এখন আমি মাছের মধ্যে পরিমাণ মতো পানি ঢেলে দিলাম। তারপর ঢাকনা দিয়ে ডেকে দিলাম।
↘️ধাপ :- ৯↙️
- কিছুক্ষণ পর পর ঢাকনা উঠিয়ে মাছ নাড়িয়ে নিচ্ছি। মাছ রান্না হচ্ছে।
↘️ সর্বশেষ ধাপ :- ↙️
পরিশেষে আমার শোল মাছ রান্না হয়ে গেছে। আমার কাঙ্খিত এই রেসিপি তৈরি করা শেষ হয়েছে। এই ভাবে আমি শোল মাছ রেসিপি টি সম্পূর্ণ করি। যা এখন আপনাদের কাছে দৃশ্যমান। আমি রেসিপির কিছু আলোকচিত্র করে নিলাম।
পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
পোস্ট বিবরণ :-
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ক্যামেরা | realme C55 |
পোস্ট তৈরি | @ah-agim |
লোকেশন | ফেনী, বাংলাদেশ |
এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি আরো বিভিন্ন ধরনের রেসিপি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করবো, ইনশাআল্লাহ।
অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন । এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো ।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
আপনি তো খুব মজাদার শোল মাছের রেসিপি করেছেন। শোল মাছ খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। তবে আমি শোল মাছ খেতে ঝাল করে খুব পছন্দ করি। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। মজাদার শোল মাছের রেসিপি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
এত সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
https://x.com/MdAgim17/status/1803839328751358182?t=uKjEmmbnnq77SLm2QnVZ7A&s=19
আপনার শোল মাছের রেসিপিটা দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এখানে আমি দেখলাম আপনি শোল মাছটি ভাজি করা ছাড়াই রান্না করেছেন। আবার সাথে কোন সবজি ও ব্যবহার করেন নি। তবে রেসিপিটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
শোল মাছের রসা ভীষণ লোভনীয় ও সুস্বাদু একটি রেসিপি।শোল মাছ আমার অনেক পছন্দের। আপনি শোল মাছের চমৎকার সুন্দর করে রেসিপিটি তৈরি পদ্ধতি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু আপনি ঠিক বলেছেন, শোল মাছের রসা ভীষণ লোভনীয় ও সুস্বাদু হয়ে থাকে । ধন্যবাদ আপনাকে আপু ।
ভাই রেসিপির ছবি দেখে চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে। শোল মাছের রেসিপি কিভাবে এমনটা লোভনীয়ভাবে উপস্থাপন করতে হয় সেটা পর্যায়ক্রমে দেখিয়েছেন আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার মন্তব্য পড়ে বেশ ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
শোল মাছের খুব সুন্দর একটি রেসিপি আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর এবং লোভনীয় এই শোল মাছের রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
শোল মাছ আমার খুবই প্রিয়। আপনি এত সুন্দর করে শোল মাছ রান্না করেছেন দেখে ভালো লাগলো। এছাড়া শোল মাছ ভুনা করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। গরম ভাতের সাথে এই ধরনের খাবার গুলো খেতে খুবই ভালো লাগে। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
শোল মাছ আপনার খুবই প্রিয় জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
শোল মাছ আমার খুব পছন্দের একটি মাছ। শোল মাছ যেভাবে রান্না করা হয় খেতে বেশ মজাই লাগে। আজকে আপনি খুব সুন্দর করে শোল মাছের মজার রেসিপি করেছেন। তবে নদীর শোল মাছগুলো খেতে বেশি মজা লাগে। আর এ ধরনের মাছগুলোর মধ্যে টমেটো পেঁয়াজ একটু বেশি দিলে খেতে বেশ মজাই লাগে। তবে মজার রেসিপিটি খুব সুন্দর করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।
আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে এত সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
একটা সময় নদীতে এই মাছগুলো অনেক পাওয়া যেত। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এই মাছগুলো এখন খুবই কম দেখা যায়। শোল মাছ আমারও অনেক পছন্দের একটি মাছ। আর আপনি এত সুন্দর করে এই রেসিপি তৈরির পদ্ধতি তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো।
জি ভাই শোল মাছ এখন তেমন একটা পাওয়া যায় না। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য
শোল মাছের মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। তবে শোল মাছে কাটার পরিমাণ বেশি থাকায় রান্না করে খেতে আমার কাছে ভালো লাগে না। তবে শোল মাছ ভেজে ভর্তা করে খেতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। খেতে নিশ্চয় অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো। ধন্যবাদ তৈরির ধাপ গুলো সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য।
জি ভাই, শোল মাছ ভেজে ভর্তা করে খেতে বেশ দারুন। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।