ইফতার মজলিসে কিছুক্ষণ।
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি।
প্রিয়, আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের, ইফতার মজলিসে কিছুক্ষণ থাকার অনুভূতি বিষয় সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।
আসুন শুরু করি
প্রথমে সবাইকে পবিত্র মাহে রমজানের অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাই- রমাদান মোবারক 🕌🌙। দীর্ঘ এক বছর পর আমাদের মাঝে ফিরে এলো আবার মাহে রমজান। প্রত্যেক মুসলমানদের জন্য পবিত্র মাহে রমজানে গুরুত্ব এবং ফজিলত বেশ তাৎপর্যপূর্ণ । আমাদের বাস্তব জীবনে পবিত্র মাহে রমজানের শিক্ষা অনেক। মাহে রমজানে শিক্ষা হচ্ছে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আবদ্ধ হয়ে মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। রমজান মাসে রোজা পালন ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভের মধ্যে তৃতীয় তম। আজ সিয়াম সাধনার দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত হলো। সিয়াম সাধনায় মহান রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য লাভ ও তাকওয়া অর্জনের জন্য রোজা রাখছে সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
মহান আল্লাহ সন্তুষ্টি লাভের আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আহার পানাহার বিরত থেকে এই একটি মাস আত্মশুদ্ধির সাধনায় নিবেদিত থাকা। রহমত, বরকত আর নাজাতের পবিত্র মাহে রমজান। রোজা মানে শুধু উপবাস থাকা নয় । সকল প্রকার অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার থেকে নিজেকে দূরে রাখা এবং সকল পাপ কাজ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা। রোজা মানে সৎ কাজ করা এবং সৎ কাজে সহযোগিতা করা। এবং নিজেকে মানবতার কল্যাণে বিলিয়ে দেওয়া। যে যতো বেশি মানবিক কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দিতে পারবে সেই ততো বেশি এই পবিত্র মাসে সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য লাভ করতে পারবে।
পবিত্র মাহে রমজানের মূল শিক্ষা হচ্ছে রোজার মাধ্যমে অশ্লীল ও অনর্থক কাজ থেকে বিরত থাকা। নিজের সাধ্য অনুযায়ী অসহায় ও গরিবদের পাশে দাঁড়াতে উৎসাহিত হওয়া। সমাজের সকল মানুষ একসাথে ইফতারের অংশ গ্রহণ করা এবং সকলের মাঝে যে কোনোভাবে আনন্দ ভাগ করে দেওয়া। নিজে সেহেরী এবং ইফতারি করা এবং সমাজের দুঃস্থ গরিব ব্যক্তিদের ইফতারি করার জন্য ব্যবস্থা করা। আজ রমজানের দ্বিতীয় দিনে আমাদের মসজিদে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। সমাজের সবাই ইফতার মজলিসে আসার চেষ্টা করেছে।
সমাজের সকলের মাঝে ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি এবং সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে আনন্দঘন মুহূর্ত পার করার জন্য ক্ষুদ্র এই প্রচেষ্টার । আমি চেষ্টা করেছি ইফতার মজলিসে সকলের সাথে ইফতার করার মাধ্যমে আনন্দঘন মুহূর্ত উপভোগ করার। আসলে একা একা ইফতার করার চেয়ে সকলের সাথে ইফতার করতে পারলে খুব ভালো লাগে। সত্যি কথা বলতে সবার সাথে ইফতার করার মুহূর্ত সত্যি খুব দারুণ ছিলো। সমাজের সকলের সাথে যখন ইফতার করতে বসি তখন নিজের কাছে খুবই অন্যরকম অনুভূতি সৃষ্টি হয়। আর যখন সবার সাথে ইফতার করার মুহূর্ত উপভোগ করি তখন নিজের কাছে খুব ভালো লাগে।
পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি অন্য কোন বিষয় উপস্থাপন করবো, ইনশাআল্লাহ।
অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন । এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy

https://x.com/MdAgim17/status/1896647808398319627?t=MqHezkBerRdvktqA9k-ySQ&s=19
পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা। আপনার লেখা থেকে রমজানের আসল সৌন্দর্য এবং এর শিক্ষা সুন্দরভাবে উঠে এসেছে। সত্যিই, এই মাস শুধু উপবাসের জন্য নয়, আত্মশুদ্ধি, মানবিকতা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর অনন্য সুযোগ। সবার সাথে ইফতার ভাগ করে নেওয়ার আনন্দটাও অসাধারণ! আপনার মসজিদে ইফতার মাহফিলের আয়োজন প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এভাবে একসাথে ইবাদত ও ইফতার করলে সমাজে আরও ভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে ওঠে। শুভ কামনা রইলো।
সকলের সাথে ইফতারে গিয়ে বেশ কিছু সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। উৎসবের আবহ এই কারণেই মানুষের ভালো লাগে আর সারাবছর অপেক্ষা করে থাকে। আপনার উৎসব ভালো কাটুক। সকলের সাথে আনন্দ করে সময় কাটান৷ আসন্ন ঈদের জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইল৷