চট্টগ্রাম ডিসি পার্কে কাটানো কিছু মুহূর্ত/ প্রথম পর্ব ।
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি।
প্রিয়, আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের, চট্টগ্রাম ডিসি পার্কে কাটানো কিছু মুহূর্তের অনুভূতি সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।
আসুন শুরু করি
আমি ভ্রমণ পিপাসু মানুষ। স্রষ্টার বৈচিত্র্যময় সৃষ্টি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। বৈচিত্রময় সৌন্দর্য উপভোগ করার আনন্দটাই অন্যরকম হয়ে থাকে। যতো বেশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় ততো বেশি হৃদয়ের মাঝে প্রশান্তি অনুভব হয়। তাই মাঝে মাঝে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই। আমার ইচ্ছে হয় প্রতি দিনই ঘুরতে, তবে মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হওয়ায় মনের ইচ্ছা তেমন একটা পূরণ হয় না। কারণ দূর দূরান্তে ঘুরতে গেলে যাতায়াত ভাড়া, খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপার থাকে যা টাকা পয়সার উপর নির্ভরশীল। আর কোথায় ঘুরতে গেলে নতুন কিছু দেখলে বাড়িতে কিনে আনতে খুব ইচ্ছে হয়। তখন টাকার প্রয়োজন হয়ে থাকে।
সব মিলিয়ে টাকা যদি পকেটে থাকে তাহলেও অনায়াসে যে কোন জায়গায় ঘুরে আসা যায়। কিছুদিন আগে আমি চট্টগ্রাম ডিসি পার্কে গিয়েছিলাম। ঐ দিন আবার বিকেলের দিকে চট্টগ্রাম পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে যাওয়া হয়েছে। একটি বাসে করে আমরা কয়েকজন মিলে সকাল সাতটার দিকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ঐ দিন ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক ফাঁকা ছিলো তাই অল্প সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম শহরে ঢুকে পড়ি। শহরে একটি হোটেলে সকালে নাস্তা করে ডিসি পার্কের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। আমরা প্রায় দশটার দিকে ডিসি পার্কে ঢুকে পড়লাম। আপনারা যারা ডিসি পার্কে ঘুরতে গিয়েছেন তারা নিশ্চয় জানেন ডিসি পার্কের এরিয়া অনেক বড়।
ঐ সময় ডিসি পার্ক বিশেষ ভাবে সাজানো হয়েছে। কারণ ঐ সময়ে ডিসি পার্কে ফুল উৎসবের পাশাপাশি অন্য আরো দুটি অনুষ্ঠান ছিলো। একটি ছিলো পেইন্টিং প্রদর্শনী আর অন্যটি হলো বই মেলা। একই সময় ডিসি পার্কের ভিতরে তিনটি অনুষ্ঠান হওয়াতে। দশানার্থীদের সমাগম অনেক বেশি ছিলো। মানুষ অনেক দূর-দূরান্ত থেকে ফুল উৎসব বা, ফুল প্রদর্শন দেখার জন্য, এক সময়ে পেইন্টিং প্রদর্শনী দেখা সুযোগ তাছাড়া বইমেলাতে যে কোন পছন্দের বই কেনার সুযোগ থাকাতে মানুষের উচ্চেপড়া ভিড় ছিলো। ডিসি পার্কের প্রবেশ পথে দুই পাশে সারি সারি খেজুর গাছ। খেজুরের গাছের মধ্যে বৈচিত্র্যময় বাহারি রকমের ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে।
তাছাড়া কৃত্রিমভাবে বিভিন্ন প্রকার আলোকসজ্জা এবং কারুকাজ চাঁদ তারা নানা রকমের জিনিসপত্রের মাধ্যমে প্রবেশপথ নানা ভাবে সাজানো হয়েছে। যার কারণে ডিসি পার্কে ঢুকতে বেশ ভালো লাগছে। দর্শনার্থীদের প্রবেশ পথের সৌন্দর্য বেশ আকর্ষণ করছে। প্রবেশ পথে দুই পাশে সারি সারি খেজুর গাছ দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। তাছাড়া বিভিন্ন প্রকার আলোকসজ্জার মাধ্যমে সৌন্দর্য আরো বেশি বাড়িয়ে তোলা হয়েছে। ডিসি পার্কের এরিয়া যেহেতু বড় তাই প্রথমে কোন দিকে যাবো বুঝতে পারতেছি না। সবখানে দেখছি মানুষের ভিড় অনেক। প্রথমে আমরা ফুল উৎসবের দিকে রওয়ানো হলাম।
বিভিন্ন রকমের বাহারি সৌন্দর্যের ফুল দেখে তো মুগ্ধ হয়ে গেলাম। জানা-অজানা অনেক রকমের ফুল দেখতে পেলাম। কিছু কিছু ফুল আমি জীবনে প্রথম দেখেছি। ফুল গুলো সৌন্দর্য সত্যি বেশ অসাধারণ ছিলো। নানা রকম ফুল গুলো দেখে কি যে ভালো লাগছে তা আসলে বলে বোঝানো সম্ভব নয়। আমি কিছু কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি করে নিলাম। অনেক দর্শনার্থী দেখছি তারা অনেক রকমের ফুলের ফটোগ্রাফি করছে এবং তার সাথে সাথে নিজেদের ছবি তুলছে। ফুল গুলো বিভিন্ন ভাবে সাজানো হয়েছে। আজ আর নয়। আগামী পর্ব আবার আপনাদের সাথে দেখা হবে।
পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি অন্য কোন বিষয় উপস্থাপন করবো, ইনশাআল্লাহ।
অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন । এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
Dexscrenner react এর একটি নিয়ম ছিলো।
আশা করি আপু ভালো আছেন? আসলে আমি বুঝতে পারে নি এই জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। আগামী পোস্ট গুলোতে Dexscrenner react এর নিয়ম মেনে চলবো। ধন্যবাদ আপু আপনাকে ভালো থাকবেন।
https://x.com/MdAgim17/status/1858613608747594109?t=OWMjWEMFG64mj5l_G0oAHg&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনাকে দেখলেই বোঝা যায় আপনি একজন ভ্রমণ প্রিয় মানুষ। আপনি দেখছি চট্টগ্রাম ডিসি পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে বেশ ভালো একটি সময় উপভোগ করেছেন। আসলে চট্টগ্রাম ডিসি পার্কের সৌন্দর্য বেশ অসাধারণ। আপনি দেখছি খুবই সুন্দর করে চট্টগ্রাম ডিসি পার্কের বেশ কিছু সৌন্দর্য খুবই সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
পোস্টটি দেখে সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ভ্রমণ করার জন্য অর্থের প্রয়োজন নয় সেরকম মন মানসিকতা থাকতে হবে যেমন আপনার ইচ্ছা শক্তি আছে বলেই সেখানে ভ্রমন করতে গিয়েছিলেন। হ্যাঁ তবে যদি আর্থিক অবস্থা ভালো হয় তাহলে নিজের সবগুলো ইচ্ছা পূরণ করা যায় যাই হোক সেখানে পারফেক্ট সময়ে গিয়েছিলেন কারণ বইমেলার পাশাপাশি দুইটা ইভেন্ট চলছিল যার কারণে পার্কটা সুন্দরভাবে সাজানো ছিল।
জি ভাই, বইমেলার পাশাপাশি দুইটা ইভেন্ট চলছিলো যার কারণে পার্ক টা সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
পার্কে ভ্রমণ করতে অনেক ভালো লাগে। আর আপনি এত সুন্দর একটি জায়গায় ভ্রমণ করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। এই ধরনের জায়গাগুলোতে গেলে অনেক সুন্দর সময় কাটানো যায়।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
দারুন সুন্দর জায়গা তো চট্টগ্রাম ডিসি পার্ক। ভীষণ সুন্দর করে সাজানো এবং সকলের জন্য সুন্দর বিনোদনের জায়গা মনে হল। আপনি খুব সুন্দর করে ছবিগুলি তুলেছেন ভাই। ব্যাখ্যা করে খুব ভালো লাগলো। এমন পার্কে কিছু সময় গিয়ে বসে থাকতে খুব ভালো লাগে।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই, পোস্টটি দেখে সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
ভ্রমণ পিপাসুদের ঘোরার জন্য টাকার প্রয়োজন হয় না। তবে আবার এও ঠিক টাকার জোর না থাকলে ঘন ঘন ঘুরতে যাওয়া ও যায় না। বর্তমানে এত বেশি মূল্য বৃদ্ধি ঘটেছে যেখানেই যায় না কেন অনেক টাকা খরচ। তার মধ্যেই যে আপনি ডিসি পার্ক ঘুরতে গিয়েছিলেন এবং পার্কের সাজানো প্রকৃতি উপলব্ধি করেছেন সেটা দেখে ভালো লাগলো। ডিসি পার্ক সত্যিই সুন্দর করে সাজানো। প্রতিটা জায়গার প্রতিটা ছবি অসাধারণ উঠেছে।
জি আপু , টাকার না থাকলে ঘন ঘন ঘুরতে যাওয়া যায় না। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ডিসি পার্ক জায়গাটি সুন্দর এবং এরিয়া অনেক বড়। আপনি দেখতে ডিসি পার্কে ঘুরতে গেলেন। তবে যারা ঘুরতে ভালোবাসে তারা কোথাও যেতে লাগলে কোন না কোন ভাবে টাকা পয়সা ব্যবস্থা হয়ে যায়। আর আপনার ফটোগ্রাফির মধ্যে দেখা যাচ্ছে জায়গাটি খুব সুন্দর। এই জায়গাটিতে আমি নিজেও গিয়েছি ঘুরতে। ডিসি পার্কের পরিবেশ মানুষকে এমনি মুগ্ধ করে। আর পার্কের ভিতর বিভিন্ন ধরনের ফুল গাছ মানুষকে একটু বেশি আনন্দ দিয়ে থাকে। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি দেখে।
চট্টগ্রাম ডিসি পার্কে আপনি গিয়েছেন জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।