সুস্বাদু এবং মজাদার রুই মাছ দিয়ে শিমের বিচির রেসিপি ।
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন ? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভাল আছেন । আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি ।
প্রিয় , আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের সুস্বাদু এবং মজাদার রুই মাছ দিয়ে শিমের বিচির রেসিপি সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।
শীতকালীন সবজির মধ্যে শিমের বিচি অন্যতম। শিমের বিচি খেতে সবাই খুব পছন্দ করে। শিমের বিচি বিভিন্ন ভাবে রান্না করা হয়। বিশেষ করে শিমের বিচি মাছের মাথা এবং চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করলে খেতে খুব ভালো লাগে। শিমের বিচি দিয়ে বেশ মজাদার এবং সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করা হয়। শিমের বিচির রেসিপি সবার খুব পছন্দের।
আসুন শুরু করি
প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহ :-
নাম | পরিমাণ |
---|---|
শিমের বিচি | ৫০০ গ্ৰাম |
রুই মাছ | ১ পিছ |
দুনিয়া পাতা কুচি | পরিমান মত |
কাঁচামরিচ কুচি | পরিমান মত |
পেঁয়াজ কুচি | দুইটি |
রসুন বাটা | পরিমান মত |
হলুদ গুঁড়া | আধা চামচ |
মরিচের গুঁড়া | পরিমান মত |
লবণ | পরিমান মতো |
সোয়াবিন তেল | ১০০ গ্রাম। |
↘️ প্রস্তুত প্রণালীঃ ↙️
↘️ধাপ :- ১↙️
আমি প্রয়োজনীয় উপকরণ যোগাড় করি। রান্নার প্রক্রিয়ার কাজ আরম্ভ করছি।
- প্রথম আমি শিমের বিচি কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখার পর খোসা ছাড়িয়ে নিলাম । এখন আমি রুই মাছ পরিমাণ মতো হলুদ এবং লবণ দিয়ে মেখে নিলাম।
↘️ধাপ :- ২↙️
- প্রথমে আমি একটি পাতিল চুলার উপরে বসায়। পাতিলের মধ্যে পরিমাণ মতো তেল ঢেলে দিলাম। তারপর পেঁয়াজ কুচি এবং কাঁচামরিচ কুচি দিয়ে পেঁয়াজ ভাজি করছি। পেঁয়াজ লাল বর্ণ হয়ে গেলে রসুন বাটা দিয়ে পেঁয়াজ ভালো করে ভাজি করে নিলাম।
↘️ধাপ :- ৩↙️
- এই ধাপে রুই মাছ এবং সামান্য পানি পেঁয়াজ ভাজির মধ্যে দিলাম। তারপর মাছ ভেঙে মসলা কষিয়ে নিচ্ছি।
↘️ধাপ :- ৪↙️
- এই পর্যায়ে আমি প্রয়োজনীয় মসলা জাতীয় উপাদান ঢেলে দিলাম। পরিমাণ মতো লবণ, হলুদ গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া এবং আদা বাটা দিলাম। সকল মসলা জাতীয় উপাদান কিছুক্ষণ ভালো করে কষিয়ে নিলাম।
↘️ধাপ :- ৫↙️
- এই ধাপে আমি মাছ কষিয়ে নেওয়া পর পাতিলের মধ্যে শিমের বিচি ঢেলে দিলাম।
↘️ধাপ :- ৬↙️
- এখন আমি কিছুক্ষণ যাবত শিমের বিচি ভালো করে কষিয়ে নিলাম।
↘️ধাপ :- ৭↙️
- এই ধাপে আমি শিমের বিচির মধ্যে পরিমাণ মতো পানি ঢেলে দিলাম।
↘️ধাপ :- ৮↙️
- পাতিল ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম। কিছুক্ষণ পর আমি ঢাকনা উঠিয়ে শিমের বিচি নাড়িয়ে নিলাম।
↘️ধাপ :- ৯↙️
- শিমের বিচি প্রায় রান্না হয়ে গেছে। এখন আমি শিমের বিচির মধ্যে ধনিয়া পাতা কুচি ছিটিয়ে দিলাম।
↘️ সর্বশেষ ধাপ :- ↙️
পরিশেষে শিমের বিচির মধ্যে ঘ্রাণ হওয়ার জন্য পেঁয়াজ কুচি ভাজি করে শিমের বিচির সাথে মিশে দিলাম। এখন আমার কাঙ্খিত শিমের বিচি রান্না করা শেষ হয়েছে। ঝোল নিয়ম অনুযায়ী রয়েছে। এই ভাবে আমি এই রেসিপিটি টি সম্পূর্ণ করি। যা এখন আপনাদের কাছে দৃশ্যমান।
রান্না শেষ করার পর এখন আমি খাবার পরিবেশনের জন্য । একটি সুন্দর বাটির মধ্যে তরকারি টি নিলাম।আমি রেসিপি কিছু আলোকচিত্র করে নিলাম।
পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
পোস্ট বিবরণ :-
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ক্যামেরা | Redmi note 7 |
পোস্ট তৈরি | @ah-agim |
লোকেশন | ফেনী, বাংলাদেশ |
এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি আরো বিভিন্ন ধরনের রেসিপি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করবো , ইনশাআল্লাহ।
- অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন ।এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো ।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে - আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলা এর প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানীত এডমিন মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে।বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
শিমের বিচি আমার খুবই পছন্দের। এই সময়টায় আমি প্রায় রান্না করে খাই। আজকেও রান্না করা হয়েছে শিমের বিচি। আসলে শিমের বিচি যদি মাছ দিয়ে রান্না করা হয়, তখন এর স্বাদ অনেক বেশি বেড়ে যায়। শীতকালীন শিমের বিচির স্বাদই আলাদা হয়ে থাকে।
জি আপু, শিমের বিচি মাছ দিয়ে রান্না করলে, স্বাদ অনেক বেশি বেড়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
https://x.com/MdAgim17/status/1888887923434766785?t=42hUKTuZWEikMEQVHVHF4A&s=19
সিমের বিচি আমার ভীষণ পছন্দের ভাই। আর সিমের বিচি দিয়ে আপনার তৈরি করা রুই মাছের রেসিপিটি দেখে মনে হলো একটু খেয়ে দেখি। অত্যন্ত লোভনীয় হয়েছে আপনার রেসিপিটি। ধনিয়াপাতার সমন্বয়ে সিমের বিচি দিয়ে রুই মাছের চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সিমের বিচি আমারও ভীষণ পছন্দের ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
সুস্বাদু এবং মজাদার রুই মাছ দিয়ে শিমের বিচির রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপিটি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। আপনি অনেক সুন্দর করে রেসিপিটি ধাপে ধাপে সম্পন্ন করেছেন। আপনার রেসিপিটি দেখে লোভনীয় লাগছে খেতে ও মনে হয় অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।
জি ভাই, রুই মাছ দিয়ে শিমের বিচির রেসিপি অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
শিমের বিচি আমি অনেক বেশি পছন্দ করে থাকি। জেনে খুশি হবেন যে এবার আমাদের পুকুরপাড়ের বাগানে ব্যাপক শিম গাছ হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে শিমের বিচি খেতে পারছি। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি মাছের সমন্বয়ে রান্না করলে সেটা অনেক সুস্বাদু হয় খেতেও ভালো লাগে।
আসলে ভাই, নিজের বাগান থেকে তাজা শিম এবং শিমের বিচি খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম হয়ে থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
শিমের বিচি খুবই পুষ্টিকর খাবার। আর মাছ দিয়ে রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর করে এই রেসিপি তৈরির পদ্ধতি তুলে ধরেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া।
জি আপু শিমের বিচি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই পুষ্টিকর খাবার। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
শিমের বেশি খেতে আমি খুব পছন্দ করি। শিমের বিচি দিয়ে মাছ রান্না করে কখনোই খাওয়া হয়নি।রেসিপিটি দেখে তো লোভ লেগে গেল ভাইয়া। কালারটা ভীষণ সুন্দর লাগছে। খেতেও নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। শিমের বিচি দিয়ে রুই মাছের রেসিপি তৈরি করার সম্পূর্ণ পথ যদি আপনি আমাদের সাথে খুব সুন্দর ভাবে বিশ্লেষণ করেছেন। দারুন একটি রেসিপি পোস্ট দেখে খুব ভালো লাগলো। এরকম করে রান্না করে একদিন খেতে হবে।
ভাইয়া শিমের বিচির যেভাবে রেসিপি করা হয় খেতে বেশ মজা লাগে। আজকে আপনি রুই মাছ দিয়ে শিমের বিচির মজার রেসিপি করেছেন। আর শীতকালীন সময় শিমের বিচি অনেক পাওয়া যায়। সত্যি বলতে আপনার রেসিপির কালার দেখে আমার খেতে খুব ইচ্ছে করছে রেসিপিটি। এবং খুব সুন্দর করে মজার রেসিপি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আপনি তো অনেক সুন্দর সুস্বাদু রেসিপি করেছেন। আমি মনে করি এই জাতীয় খাবারগুলো সব সময় বেশি সম্মত হয়। আপনি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক সুন্দর রান্না করে দেখিয়েছেন। রান্না করতে যে সমস্ত উপাদান গুলো প্রয়োজন ছিল তা একটু লিস্ট করে দেখিয়েছেন। এজন্য অনেক অনেক ভালো লাগলো ব্লগটা দেখে।