চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় কাটানো কিছু মুহূর্ত / দ্বিতীয় পর্ব।
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি।
প্রিয়, আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় কাটানো কিছু মুহূর্ত / দ্বিতীয় পর্ব। এই বিষয় সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।
আসুন শুরু করি
আমি আপনাদের মাঝে কয়েকদিন আগে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় কাটানো কিছু মুহূর্তের প্রথম পর্ব উপস্থাপন করেছি। আজ দ্বিতীয় পর্ব উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা আগে তুলনায় অনেক বড় করা হয়েছে এবং অনেক বৈচিত্র্যময় পশুপাখি নিয়ে আসা হয়েছে। তাই এখন পুরো চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখতে অনেক বেশি সময়ের প্রয়োজন হয়। আমরা যেহেতু বিকেলে গিয়েছি তাই আমাদের হাতে সময় খুব কম ছিলো। আমরা তাড়াহুড়া করে প্রতিটি পশু পাখি দেখার চেষ্টা করেছি। আমি বেশি সময় ব্যয় করেছি বাঘ এবং হরিণ দেখতে। কারণ চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানাতে সাদা বাঘ রয়েছে। সাধারণত সাদা বাঘ তেমন একটা দেখা যায় না।
পৃথিবীতে এই প্রজাতির বাঘ খুব কম রয়েছে। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় রাজ ও পরীর নামে দুটি বেঙ্গল টাইগার সাদা বাঘ দম্পতি রয়েছে। এদের চারটা বাচ্চা হয়েছে। সাদা বাঘ দেখতে খুবই সুন্দর। আমি যখন বাঘের খাঁচার পাশে গিয়েছি তখন বাঘ ঘুমানোর অবস্থায় ছিলো। আমাকে দেখে হঠাৎ জেগে আমার দিকে এগিয়ে আসলো এবং বেশ গর্জন দিতে লাগলো। খুব কাছ থেকে সাদা বাঘ দেখতে পেয়ে বেশ ভালো লাগলো। আসলে বাঘের গর্জন খুবই ভয়ঙ্কর ছিলো প্রথমে তো আমি ভয় পেয়ে গিয়েছি। সাদা বাঘের সৌন্দর্য সত্যি বেশ দারুন লাগছে আমার কাছে। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো সাদা বাঘ। অনেক দর্শনার্থী শুধু সাদা বাঘ দেখতে চিড়িয়াখানা আসে।
বাঘ দেখার পর আমি হরিন দেখতে চলে গেলাম। আসলে আমার সবচেয়ে প্রিয় প্রাণী হচ্ছে হরিণ। হরিণ দেখতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। সত্যি কথা বলতে হরিণের সৌন্দর্য আমার হৃদয় ছুঁয়ে যায়। বিশেষ করে যে হরিণ গুলো শিং অনেক বড় বড় সেগুলো দেখতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। হরিণ হচ্ছে স্তন্যপায়ী প্রাণী। আপনারা অনেকে জানেন হরিণ কত বছর বাঁচে? হরিণ সাধারণত ১৫ থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। আড়াই বছর বয়সের পর থেকে হরিণের বাচ্চা দেওয়া শুরু করে। হরিণের প্রায় ৬০ প্রজাতি রয়েছে। আমি অনেকক্ষণ যাবত হরিণের পাল দেখছি। হরিণ গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো।
হরিণের পাল দেখার পর আমি টিয়া পাখি দেখতে গেলাম। আসলে যখন কোন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বা, কোন কিছু উপভোগ করি তখন সময় খুব দ্রুত চলে যায়। বিকেলের সময় খুব দ্রুত চলে যাচ্ছে। তাই দ্রুত সব পশু পাখি দেখার চেষ্টা করছি । বৈচিত্র্যময় টিয়া পাখি দেখে খুব ভালো লাগলো। বিভিন্ন রকমের টিয়া পাখি দেখতে পেলাম। অনেকেই টিয়া পাখি বেশ শখ করে পুষে থাকে। সবুজ রঙের টিয়া পাখি বাংলাদেশে প্রচুর পাওয়া যায়। হলুদ এবং লাল টিয়া পাখি দেখতে খুবই সুন্দর। আসলে টিয়া পাখির সৌন্দর্য খুব অসাধারণ।
টিয়া পাখি যখন কথা বলে তখন বেশ ভালো লাগে। চিড়িয়াখানার অনেক টিয়া পাখি কথা বলতে পারে। অনেক দর্শনার্থী টিয়া পাখির সাথে কথা বলছে। অনেকে আবার বৈচিত্রময় টিয়া পাখির আলোচিত করছে । বিশেষ করে ছোট বাচ্চারা টিয়া পাখি দেখে বেশ আনন্দ উপভোগ করছে। বিকেলে অনেক দর্শনার্থীর আগমন ঘটেছে। তারা সবাই বেশ চমৎকারভাবে টিয়া পাখির সৌন্দর্য উপভোগ করছে। চিড়িয়াখানার কতৃপক্ষ অনেক সুন্দর করে টিয়া পাখি বাসা তৈরি করেছে। টিয়া পাখির বাসা করে দেখতে খুব সুন্দর লাগছে।
অনেক টিয়া পাখি ডিম দিচ্ছে। বাসার মধ্যে টিয়া পাখি বসে থাকার দৃশ্য দেখতে খুব সত্যি খুব সুন্দর লাগছে। আজ আর নয় আগামী পর্বে আবার আপনাদের সাথে দেখা হবে। আগামী পর্বে চিড়িয়াখানা কাটানোর পুরো মুহূর্ত উপস্থাপন করবো।
পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে অকপটসুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি অন্য কোন বিষয় উপস্থাপন করবো, ইনশাআল্লাহ।
অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন । এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
https://x.com/MdAgim17/status/1873386091719561343?t=vD38-KgYxj5a4GvvINzaGw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
চিড়িয়াখানায় ঘুরতে গেলে প্রায় সব ধরনের পশু প্রাণির সাথে দেখা হয়ে যায়। আপনি দেখছি চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ঘুরতে গিয়েছিলেন। আপনি চিড়িয়াখানার মধ্যে ঘুরতে গিয়ে প্রায় সব ধরনের পশু প্রাণি কে সামনাসামনি দেখেছিলেন। আসলে চিড়িয়াখানার প্রতিটি পশু পাখি খুবই অসহায়। কেননা, তাঁর চাইলে অন্যান্য সব প্রাণীর মতো ঘোরাঘুরি করতে পারে না।
জি ভাই, চিড়িয়াখানার প্রতিটি পশু পাখি খুবই অসহায়। আসলে তাদের সব সময় আবদ্ধ খাঁচায় থাকতে হয়।
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
আপনার আজকের এই পোস্ট আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লেগেছে। যেন সম্পূর্ণ চিড়িয়াখানার পশুগুলোকে একই ফ্রেমে বন্দী করেছেন এবং আমাদের দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমি অনেক খুশি হলাম এই সুন্দর পোস্ট দেখে।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু, পোস্ট টি দেখে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আসলে চিড়িয়াখানা গেলে অনেক ধরনের প্রাণী দেখা যায়। আর এই সব জায়গাতে গেলে সামনে থেকে বিভিন্ন প্রাণী দেখা যায় এবং সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। তবে এটি ঠিক আগের তুলনায় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় অনেক বড় করেছেন। তবে আমি আপনার প্রথম পর্বটিও দেখেছি। আজকে আপনার দ্বিতীয় পর্বটি দেখে অনেক ভালো লাগলো। তবে আপনি বিভিন্ন প্রাণীর অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন।
আপনাকে ভাই, অসংখ্য ধন্যবাদ পুরো পোস্টটি দেখে সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।