ডেঙ্গু জ্বর থেকে আমাদের সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি।
প্রিয়, আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের, ডেঙ্গু জ্বর থেকে আমাদের সকলকে সতর্ক থাকতে হবে এই বিষয় সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।
আসুন শুরু করি
ডেঙ্গু জ্বর বর্তমানে আমাদের সবার নিকট খুবই অসহনীয় কষ্ট, উদ্বেগ এবং আতঙ্কের নাম। বর্তমানে শহরের সবাই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। ধীরে ধীরে গ্রামের অঞ্চল গুলোতে ডেঙ্গু জ্বর ছড়িয়ে পড়ছে। আমরা অনেকে জানি ডেঙ্গু জ্বর একটি এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু ভাইরাস জনিত রোগ। এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমণ হয়ে থাকে। সাধারণত তিন থেকে পনেরো দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গ দেখা দেয়। ডেঙ্গুর জ্বর নিয়ে অনেক মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। কারণ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে দ্রুত মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার হলো ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অনেকে মারা যাচ্ছে।
মাঝে মাঝে আমাদের দেশে ডেঙ্গু ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে শহরের জেলা গুলোতে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে আমাদেরকে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। তাই ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে। সাধারণত ডেঙ্গুর লক্ষণ গুলো হলো ১০১ ডিগ্রি থেকে ১০২ ডিগ্রি তাপমাত্রায় দেহে জ্বর থাকতে পারে। শরীরে জ্বর একটানা থাকতে পারে আবার ঘাম দিয়ে কিছুক্ষণ পর পর জ্বর আসতে পারে। শরীরে জ্বর হওয়ার সাথে সাথে দেহের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যথা, মাথা ব্যথা, চেখের পেছনে ব্যথা এবং চামড়ায় লালচে দাগ বা, বর্ণ হতে পারে।
সাধারণত এই লক্ষণ গুলো দেখা দিলে বুঝে নিতে হবে ডেঙ্গু জ্বরের আক্রান্ত হয়েছে। তাই অবহেলা না করে দ্রুত নিকটস্থ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা নিলে ডেঙ্গু দ্রুত সময়ের মধ্যে ভালো হয়। তাই কোন ভাবে ডেঙ্গু জ্বর হলে আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। ডেঙ্গু জ্বর কোন সাধারণ জ্বর নয়। ডেঙ্গু হলে কোন ভাবেই অবহেলা করা যাবে না। ডেঙ্গু জ্বরকে অনেকে সাধারণ সর্দি কাশি, মাথা ব্যথা মনে করে কিন্তু এই ধরনের ধারণা মারাত্মক ভুল। ডেঙ্গু জ্বরের সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নিলে রোগী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে পারে।
ডেঙ্গু জ্বর হলে ডাক্তারের চিকিৎসা নিয়ে পরিপূর্ণ বিশ্রাম নিতে হবে। রোগীকে কোন ভাবে আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। নিয়মিত ওষুধ সেবন এবং বিশ্রামূ মাধ্যমে ডেঙ্গু জ্বর ভালো হয়। ডেঙ্গু জ্বর হলে প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। সাধারণত ডাবের পানি, লেবুর শরবত, বিভিন্ন প্রকার ফলের জুস এবং খাবার স্যালাইন গ্রহণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে তরল জাতীয় খাবার ডেঙ্গু রোগ সারতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ডেঙ্গু জ্বর হলে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ গুলো খাওয়া যেতে পারে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক সময়ে ওষুধ সেবন করা খুবই উত্তম।
এডিস মশার বিস্তার বেশি হলে ডেঙ্গুর প্রকোট দেখা যায়। ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী হচ্ছে এডিস মশা। ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা অধিক সতর্ক থাকতে হবে। এডিস মশা অন্ধকারে কামড়ায় না। সাধারণত সকালের সময় এবং সন্ধ্যার পূর্ব মুহূর্তে এডিস মশা কামড়ায়। এডিস মশা না কামড়ালে কখনো ডেঙ্গু জ্বর হবে না। তাই আমাদের সকলকে এডিস মশা প্রতিরোধে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। বাসা বাড়ির চারপাশে পড়ে থাকায় ডিমের খোসা, গাড়ির টায়ার, ফুলের টব, প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট গর্ত ইত্যাদির মধ্যে জমে থাকা পানির মধ্যে এডিস মশা বংশবিস্তার করে থাকে।
তাই আমাদেরকে বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার করতে হবে কোথায় যেন পানি তিন থেকে চার দিন জমে না থাকে সে দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে। পরিবেশ সুন্দর থাকলে আমরা সুস্থ ভাবে বাঁচতে পারবো।
পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি অন্য কোন বিষয় উপস্থাপন করবো, ইনশাআল্লাহ।
অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন । এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy

বর্তমানে ডেঙ্গু জ্বর অনেক বেড়ে গেছে। এই সময় সবাইকেই সাবধানে থাকতে হবে। আমাদের সচেতনতাই আমাদেরকে ভালো রাখতে পারে। খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া।
জি আপু, বর্তমানে ডেঙ্গু জ্বর অনেক বেড়ে গেছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
https://x.com/MdAgim17/status/1853088410749251830?t=0-gyH7yf_UiMGRpsdri4jw&s=19
ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপনি। আমাদের এই বিষয়ে সবসময় সতর্ক এবং সজাগ থাকতে হবে। কারণ বিভিন্ন মশার কারণে এই রোগে আক্রান্ত হতে হয়।
পোস্ট টি পড়ে সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে আপু অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
দারুন সচেতনতামূলক একটি পোস্ট শেয়ার করলেন আজিম ভাই। ডেঙ্গু জ্বরে প্রত্যেক বছর একটা বড় সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হন। অনেকে মারাও যান। তাই এই জ্বর সম্পর্কে সকলের অনেক ওয়াকিবহাল হওয়া উচিত। মশা বাহিত এই রোগ প্রতিবছর মহামারীর রূপ নেয়। আপনি সেই বিষয়গুলি তুলে ধরে একটি সচেতনতা দেওয়ার চেষ্টা করলেন।
জি ভাই, মশা বাহিত এই রোগ প্রতি বছর মহামারীর রূপ নেয়। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
সময়োপযোগি ও সচেতনতামূলক একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ এতটা বেড়েছে যে ভয়াবহ অবস্থা বলা ছাড়া উপায় নেই! প্রতিদিনেই ডেঙ্গু জ্বরে মানুষ মারা যাচ্ছে। হাসপাতাল গুলোতে রোগীর চাপ বাড়ছে দিন দিন। পরিচিদের ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের খবর পাচ্ছি। আমাদের সচেতন হওয়া ছাড়া উপায় নেই।আসুন সবাই সচেতন হই। এডিস মশা নির্মূল করি। ভালো লেগেছে আপনার পোস্টটি। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
জি আপু, ডেঙ্গু জ্বরে হাসপাতাল গুলোতে রোগীর চাপ বাড়ছে দিন দিন। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ভাইয়া আপনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় আলোচনা করেছেন। আপনার পোস্ট পড়ে গতবছরের কথা মনে পড়ে গেলো। গতবছর আমি আর আমার হাজবেন্ড একসাথে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলাম। একটা সময় পর আমার এমন অনুভূতি হয়েছিল ভেবেছিলাম আমি আর বাঁচবো না। কিন্তু মহান আল্লাহ তায়ালা এমন কঠিন একটা পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করেছেন। আমাদের এখানে এবারো অনেক মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে। আমরা সবাই সাবধানে থাকার চেষ্টা করছি। আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর ব্লগ শেয়ার করার জন্য।
জি আপু ডেঙ্গু থেকে সব সময় সতর্ক থাকবেন ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বিশেষ করে ঢাকা শহরে ডেঙ্গুর প্রভাব বেশি। বর্ষার শেষে বা মাঝামাঝি সময়ে একটা প্রকট আকার ধারণ করে। বেশ দারুণ একটা পোস্ট করেছেন। ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে বেশ ভালো ভালো কিছু তথ্য ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সাথে পোস্ট টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
জি ভাই, ঢাকা শহরে ডেঙ্গুর প্রভাব অনেক বেশি। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।