যমুনা নদীতে কাটানো কিছু সময়
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই পরিবার নিয়ে বেশ ভালো ও সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহ তালার অশেষ রহমতে ভালো ও সুস্থ আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে আবারও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
আজ যমুনা নদীতে আমার কিছু সময় কাটানোর মুহূর্ত আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আমার গ্রামের ভেতর দিয়েই অতিবাহিত হয়ে গেছে এই যমুনা নদী। আমি গ্রামে গেলেই যমুনা নদীর পাড়ে দাড়িয়ে কিছুটা সময় অতিবাহিত করি। আসলে এই নদীর পাড়ে দাঁড়ালে মনটা অনেকটাই আনন্দিত হয়ে ওঠে। তার সাথে নদীর সেই ঠান্ডা পানিতে পা ভেজাতে , নদীর পাড়ের ঠান্ডা বাতাস সব কিছু মিলেই অসাধারণ একটা সময় কাটানো যায়।
নদীর পাড়ে গিয়ে দেখি সারি সারি নৌকা বাধা রয়েছে। একটু দূরে দেখি একটি নৌকা যাত্রী বোঝাই করে চলে যাচ্ছে। এবারের যমুনা নদীতে প্রচুর পরিমাণে স্রোত ছিল। আমি যেদিন যমুনা নদীতে গিয়েছিলাম সেদিন দেখতে পেলাম নদীর পানিটা বেশ ঘোলা ছিল। কিন্তু নদীর পানিটা ছিল বেশ ঠান্ডা। আমি নদীর পাড়ের এক সাইডে দাঁড়িয়ে ছিলাম। প্রচুর স্রোত থাকার কারণে বারবার সেই স্রোত আর বাতাসের ধাক্কায় পানি গুলো আমার পায়ের কাছে আসছিল আর আমার পা পানিতে ভিজে যাচ্ছিল।
নদীর পারে বেশ কিছু বড় বড় গাছ ছিল দেখতে এত সুন্দর লাগছিল তা বলে প্রকাশ করার মত নয়। এমন সময় চোখে পড়লো দুইজন জেলে জাল দিয়ে মাছ ধরার চেষ্টা করছিল। খুব একটা ভালো মাছ পায়নি দেখে তাদের মনটা ভীষণ খারাপ ছিল। আমি নদীর পাড়ের গাছের নিচে একটা ব্লক ছিল সেখানে বসে থেকে বাতাস, নদী সবকিছু উপভোগ করছিলাম।
এরপর একটি নৌকায় উঠে কলাপাতার ভেতরে আম ও লবণ একত্রে মাখিয়ে খেয়েছি। নৌকার উপর উঠে এভাবে আম খেতে বেশ দারুন লাগছিল। এরপর যেখানে নৌকার মাঝিরা হাল ধরে ঠিক সেখানে বসে আমি পাতার বাঁশি বাজিয়ে ছিলাম। যদিও আমি বাঁশি বাজাতে পারি না । কিন্তু পাতা থেকে যে সাউন্ড বের হচ্ছিল মনে হচ্ছিল যেন আমি কোন একটা গানের সুর বাজাচ্ছি। নদীর পাড়ের এই সময়টা আমার কাছে অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত ছিল। এরপর আমি নদীর পাড়ে বসে কিছু ছবি তুলে ফেললাম।
নদীর পারে এত পরিমান বাতাস ছিল যে আমার চুলগুলো একদম এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল। পরে আমি নৌকার ভিতর বসে থেকে একটা বেনি করে ফেললাম। সেদিনের সে বিকেলটা এত তাড়াতাড়ি পার হয়ে যাবে আসলেই ভাবতে পারিনি। আসলেই ভালো সময় হয়তো তাড়াতাড়ি অতিবাহিত হয়ে যায়।
আজ এ পর্যন্তই। এরপর আবার নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো। সে পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন। আপনাদের সবাইকে জানাচ্ছি অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসসালামু আলাইকুম। আমি আফরিন খান উপমা। আমি রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলায় বসবাস করি। আমি ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারের মানবিক বিভাগের একজন ছাত্রী। আমার জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি একজন ব্লগার উদ্যোক্তা। আমি গান গাইতে , নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে এবং ছাদ বাগান করতে খুব ভালোবাসি। আমি আনন্দময়ী এবং সকলকে নিয়ে হৈহুল্লর ও একসঙ্গে সকলকে নিয়ে মজা করতে পছন্দ করি। আমি সকলের দুঃখে দুঃখী এবং সকলের সুখে সুখী
যমুনা নদীর পাড়ে প্রকৃতির পরিবেশে চমৎকার মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য চমৎকারভাবে উপভোগ করেছেন। নদীতে নৌকা ভ্রমণের অনুভূতি বেশ দারুন। আসলে এমন চমৎকার পরিবেশে আম খাওয়ার অনুভূতি বেশ অসাধারণ। যমুনা নদীর পাড়ে কিছু সময় কাটানো অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনার পোস্টে দেখে এবং পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম আপনি যখন গ্রামের বাসায় বেড়াতে যান তখন এই নদীতে কিছু সময় এভাবে অতিবাহিত করেন। আপনি দেখছি বাবা-মায়ের সাথে সহ নৌকায় খুব সুন্দর একটা মুহূর্ত এঈ যমুনা নদীর পাড়ে উপভোগ করেছেন। আপনার পোস্টটি দারুন ছিল ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া ঠিক বলেছেন আমি বাবা-মা ছোট ভাইয়ের সাথে খুব সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
খুব ভালো লাগলো আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্ত দেখে। নদীর পাড়ে গেলে এমনিতে মন মানসিকতা ভালো থাকে। আর মনের মধ্যে অন্যরকম ভালো লাগার সৃষ্টি হয়। বেশি ভালো লাগলো আপনার এ যমুনার পাড়ে কাটানোর মুহূর্ত দেখে। খুব সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।
ঠিক বলেছেন আপু যমুনা নদীর পারে পরিবারের সকলে মিলে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছি।
আপনি যমুনার পাড়ে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। নদীর পাড়ে সময় কাটাতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আপনার কাটানো মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
যমুনা নদীতে কাটানো দারুণ মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। নদীতে ভ্রমণ করতে কার না বেশি ভালো লাগে। আমিও খুব পছন্দ করি নদীতে ভ্রমণ করতে। কারণ এখানে প্রাকৃতিক পরিবেশের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় পাশাপাশি মনের প্রশান্তি মিলে।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যমুনা নদীতে কাটানো কিছু সময়ের অনুভূতি। বাবা মেয়ের সাথে সেখানে বেশ দারুন সময় অতিবাহিত করেছেন আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম। প্রবাল বাতাসে নৌকার মাঝে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন জেনে বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি অনুভূতিমূলক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এটা ঠিক বলেছেন আপু, ভালো সময় গুলো খুব তাড়াতাড়ি অতিবাহিত হয়। সেদিনের বিকেলটা খুব সুন্দর কাটিয়েছেন সেটা ছবিগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে। নদীর পাড়ে শীতল পরিবেশে সময় কাটাতে সত্যি দারুন লাগে। আপনারা সবাই মিলে খুব সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন যমুনা নদীর পাড়ে। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু ভালো সময় গুলো খুব দ্রুত অতিবাহিত হয়ে যায়। তবে এটা ঠিক আমরা পরিবারের সকলেই খুব মজার একটা সময় কাটিয়েছি।
বেশ সুন্দর একটা সময় কাটিয়েছেন। আসলেই ভালো সময় খুব দ্রুত কেটে যায়। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
নদীর পাড়ে কাটানো মুহূর্তগুলো আপনি বেশ সুন্দরভাবেই আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আর নদীতে যে বাতাস বইছিল এটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। নদীর পাশের গাছ গুলো অনেক সুন্দর লাগছিল এই কথাটা ঠিকই বলেছেন আমার কাছেও জায়গাটি অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
নদীর পাড়ে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো আপু। পাতা দিয়ে বাঁশি বাজাতে অনেক ভালো লাগে। ছোটবেলায় এরকম বাঁশি অনেক তৈরি করতাম আপু। নদীর পাড়ের সুন্দর প্রকৃতি আর অনেক সুন্দর মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।