লাইফস্টাইল || কলেজের শেষ দিন
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে বেশ ভালো আছি।আজ আমি আপনাদের মাঝে আবারো নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।আজ আমি আপনাদের সাথে আমার কলেজের শেষ দিন বা বিদায় ও দোয়া অনুষ্ঠানের দিনটি শেয়ার করতে যাচ্ছি।
দেখতে দেখতে প্রায় দুই বছর পার হয়ে গেলো।আজ আমাদের কলেজের শেষ দিন।যদিও প্রায় দুই বছরের মতো এই কলেজে ছিলাম তারপরও কলেজ টা ভীষণ আপন হয়ে গিয়েছিল। আসলে আমাদের কলেজ টা একদম স্কুল এর মত সব নিয়ম মানা লাগতো।যেমন - বেনি করা থেকে শুরু করে রেগুলার কলেজে অ্যাটেন্ট থাকা পর্যন্ত ।আমাদের কলেজ টা ডিসিপ্লিন খুব কঠোরভাবে মেইনটেইন করত । যাইহোক এই নিয়ম নীতির ভেতর দিয়েই প্রায় দুইটা বছর পার করে দিলাম আমার এই কলেজ জীবনটাকে।
আজকে ছিল আমাদের কলেজের বিদায় ও দোয়া অনুষ্ঠান। সেই সাথে আমাদের এডমিট কার্ড দিয়ে দিল। আমরা সকাল এগারোটার মধ্যেই সবাই কলেজে উপস্থিত হয়ে গিয়েছিলাম। এরপর বিজ্ঞান শাখা মানবিক শাখা ও ব্যবসা শিক্ষার জন্য আলাদা রুম করে দেওয়া হয়েছিল। আমরা সবাই সবার রুমে আসন গ্রহণ করলাম। এরপর আমাদের ক্লাস টিচার আমাদের রুমে এলেন। এসে আমাদেরকে রোল নাম্বার অনুযায়ী সবার এডমিট কার্ড দিচ্ছিলেন ও আমাদেরকে দিয়ে সাইন করে নিচ্ছিলেন। সেই সাথে আমাদের সবাইকে একটা করে ফাইল এবং ফাইলের ভিতরে ,কলম ,পেন্সিল ও স্কেল উপহার দিল।
এরপর আমাদের ভাইস প্রিন্সিপাল এসে বললেন তোমাদের বিদায় ও দোয়া অনুষ্ঠান হবে তোমরা সবাই অডিটোরিয়ামে চলে এসো। স্যার রা সেই অনুযায়ী প্রথমে ছেলেরা তারপর মেয়েরা অডিটোরিয়ামে গিয়ে উপস্থিত হলাম। আমরা সবাই সবার পছন্দ মত জায়গায় বসে পড়লাম। এরপর প্রথমেই আমাদের বন্ধু বান্ধবীরা কিছু বক্তব্য রাখলেন। এরপর জুনিয়র কিছু ছোট ভাই ও বোনেরা বক্তব্য রাখলেন। এরপর আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকেরা কিছু বক্তব্য রাখলেন। তারপর এলেন আমাদের শ্রদ্ধেয় ভাইস প্রিন্সিপাল স্যার। তিনি আমাদেরকে পরীক্ষার নানা রকম প্রস্তুতির সম্পর্কে বুঝিয়ে দিলেন। জীবন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দিচ্ছিলেন। শুনতেও বেশ ভালো লাগছিল। এরপর আমাদের মাঝে বক্তব্য রাখলেন আমাদের শ্রদ্ধেয় প্রিন্সিপাল স্যার। এভাবে একে একে সবার বক্তব্য শেষ হয়ে গেল তারপর আমাদের একজন টিচার এইচএসসি পরীক্ষা উপলক্ষে দোয়া শুরু করে দিল। আমরা সকলেই মোনাজাত ধরলাম। আর এভাবেই শেষ হলো আমাদের দোয়া ও বিদায় অনুষ্ঠান।
এরপর সবাইকে লাইন ধরে বাহিরে যাওয়ার অনুমতি দিলেন। আমরা লাইন ধরে বাহিরে যাওয়ার সময় আমাদেরকে এক প্যাকেট করে খাবার দিয়েছিলেন। খাবারের ভেতরে ছিল প্যাডিস, ছানার মিষ্টি, আর একটা কেক। এরপর আমরা আমাদের খাওয়া-দাওয়া শেষে তাদের কাছ থেকে বিদায় ও দোয়া নিলাম। এর মধ্যে আমাদের প্রিন্সিপাল এসে বললেন আমাদের একটা গ্রুপ ছবি তোলা হবে। আমরা সবাই মিলে দাঁড়িয়ে একটা গ্রুপ ছবি তুলে ফেললাম। এরপর আমরা সবাই মিলে আরো কিছুক্ষণ কিছু ছবি তুলে নিলাম। তারপর আমাদের কলেজে রেগডে পালন করা হয়েছিল। কিন্তু প্রচণ্ড গরম থাকার কারণে আমি রেগডে তে থাকতে পারিনি। তাই আমি রিকশা নিয়ে দ্রুত বাসার উদ্দেশ্যে চলে আসি।
এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। এরপর আবারও নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আমি হাজির হব। সে পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন। আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসসালামু আলাইকুম। আমি আফরিন খান উপমা। আমি রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলায় বসবাস করি। আমি ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারের মানবিক বিভাগের একজন ছাত্রী। আমার জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি একজন ব্লগার উদ্যোক্তা। আমি গান গাইতে , নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে এবং ছাদ বাগান করতে খুব ভালোবাসি। আমি আনন্দময়ী এবং সকলকে নিয়ে হৈহুল্লর ও একসঙ্গে সকলকে নিয়ে মজা করতে পছন্দ করি। আমি সকলের দুঃখে দুঃখী এবং সকলের সুখে সুখী
আপনাদের এই সমস্ত পোস্টগুলো না মনে করে দেয় সেই অতীতের দিনগুলো। দিনের পর দিন জীবনের সব অধ্যায় যেন শেষ করে ফেলেছি। এখন শুধু স্মৃতির পাতায় রয়ে গেছে সেই স্মরণীয় দিনগুলো। বেশ ভালো লাগলো আপনাদের সুন্দর এই মুহূর্তের অনুভূতি জেনে।
ভাইয়া একটা সময় আমারও এই দিনগুলো স্মৃতির পাতায় রয়ে যাবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
কলেজ জীবন বা উচ্চ মাধ্যমিকের সময় হুট করে আসে আর অল্পের ব্যবধানে পার হয়ে যায়। তবে স্বল্পের এ শিক্ষাকালীন সময়টি কিন্তু ভীষণ গুরুত্বপূ্র্ণ ভবিষ্যতের জন্য।
তাই, লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করার বিকল্প নেই।
কিছুদিন পর বোধহয় এইচএসসি পরীক্ষা আরম্ভ হবে।
দোয়া রইলো ও শুভকামনা জানাই, 🏅
ভাইয়া আপনি একদম ঠিক বলেছেন কলেজ জীবন বা উচ্চমাধ্যমিকের সময় হুট করে আসে আর অল্পের ব্যবধানে পার হয়ে যায়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
গতকাল আপনার কলেজ এর শেষ দিন ছিল।এই দিনটি সবারই বিশেষ একটি দিন।অন্যরকম এক ইমোশন কাজ করে এই দিনে।আমরাও যখন শেষ দিনটি তে গিয়েছিলাম এরকমই লেগেছিল।আপনার জন্য শুভকামনা আপু।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
জি আপু ঠিক বলেছেন কলেজের শেষ দিনটিতে অন্যরকম এক ইমোশন কাজ করে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার কলেজের শেষ দিন। কিছুদিন আগে আমিও আমাদের কোচিং সেন্টার থেকে বিদায় অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেছিলাম। আসলে বিদায় কথাটা অত্যন্ত বেদনার। আপনাদের অনুষ্ঠান শেষে খাবার দেওয়া হয়েছে দেখে বেশ ভালো লাগলো। সামনে আপনার পরীক্ষার জন্য শুভকামনা রইল।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বিদায় কথাটা অত্যন্ত বেদনার। আপনার পরীক্ষার জন্যও রইল শুভকামনা।