গ্রাম্য বাজারে কিছু সময়
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সৃষ্টিকর্তার রহমতে পরিবার নিয়ে আপনারা সকলে ভালো ও সুস্থ আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেশ ভালো ও সুস্থ আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে আবারও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের পোস্টটি হলো গ্রাম্য বাজারে কিছু সময় কাটানো।
আমি কিছুদিন আগে আমার গ্রামে গিয়েছিলাম। গ্রামে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ সময় আমি যমুনা নদীর পাড়ে কাটিয়ে এসেছি। এরপর বিকাল হতে না হতেই আমরা বাসায় আসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। গ্রাম থেকে ভ্যানে করে বাজারে এসে উপস্থিত হলাম। এই বাজার থেকেই আমাদেরকে সিএনজি নিতে হয়। সিএনজি স্ট্যান্ডে আসার পর মনে হলো বাজারটা একটু ঘুরে দেখি।
যে কথা সেই কাজ। বিশেষ করে আমার আম্মু বাড়িতে এলে বাজারে যাবেই। গ্রামে বেশ টাটকা শাকসবজি পাওয়া যায়। আমার আম্মু সেগুলোর খুঁজেই বাজারে চলে যায়। আমিও আম্মুর সাথে সাথে বাজার ঘুরতে চলে এলাম। একপাশে দেখি বেশ কিছু লোক নদীর মাছ নিয়ে সারিসারি করে বসে আছে মাছ বিক্রি করার জন্য। মাছগুলো দেখে মনে হচ্ছিল খুব টাটকা। এরপর আম্মু ও বাবা দুজনে মিলে মাছের দাম শুনতে গেল। মাছের দাম ঠিকই ছিল কিন্তু অনেক গরম থাকার কারণে মাছগুলো কিনে আনা সম্ভব হলো না। তাই আর আমাদের মাছ কেনা হলো না।
এরপর আর একটু সরে গিয়ে দেখতে পেলাম বেশ কয়েকজন লোক ডালার ভিতর আলু ,পটল ,ঝিঙ্গা, রসুন ,পিয়াজ অনেক সবজি নিয়ে বসে আছে। সবজি গুলোকে দেখে বেশ টাটকা মনে হলো। আর সবচেয়ে বড় কথা ফরমালিনমুক্ত। আম্মু ব্যাগ নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু সবজি কিনে নিল। আমিও আম্মুর সঙ্গে সবজি বেছে বেছে নিলাম।
এরপর আরেক জায়গায় দেখতে পেলাম একজন লোক অনেক রকমের মসলা বিক্রি করছে। সেখান থেকেও আমি একটি ছবি তুলে নিলাম। মসলাগুলো এত সুন্দর ভাবে ব্যাগের ভেতর সাজিয়ে রেখেছে দেখতে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।
এরপর আরেক জায়গায় দেখতে পেলাম বেশ কিছু লোক গরুর খাটি দুধ বিক্রি করছে। আমাদের কাছে কোন বোতল না থাকার কারণে আমরা দুধ কিনে আনতে পারিনি।
এরপর বাজারের ব্যাগগুলো সিএনজির ভিতরে রেখে আমরা সবাই মিলে বেরিয়ে পড়লাম কিছু খাওয়ার খোঁজে। কিন্তু সেখানে তেমন কোনো ভালো খাবার পেলাম না। কিন্তু একটা জায়গায় দেখতে পেলাম গরুর দুধ দিয়ে সুন্দর করে চা বানানো হচ্ছে। আমরা গিয়ে একটি বাঁশের মাচায় বসলাম এবং সেখানে চা খেয়ে নিলাম। আমরা তিনজন বসে চা খেলাম। বাবা এর আগেই লাল চা খেয়ে ফেলেছে। আমাদের কাছ থেকে যখন শুনতে পেল যে চা টা অনেক মজা ছিল তখন বাবা আর লোভ সামলাতে না পেরে সেও এক কাপ খেয়ে নিল। আর চা খাওয়া শেষ করে আমরা সিএনজির ভিতরে উঠে বসলাম বগুড়ার উদ্দেশ্যে চলে এলাম আর এভাবেই আমি আমার গ্রাম্য বাজারে বেশ কিছু সময় কাটিয়েছিলাম। আমার কাছে সেই সময়টা খুব ভালো লেগেছে।
এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। এরপর আবারো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। সে পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং আমার জন্য দোয়া করবেন। আপনাদের সবাইকে ।
আসসালামু আলাইকুম। আমি আফরিন খান উপমা। আমি রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলায় বসবাস করি। আমি ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারের মানবিক বিভাগের একজন ছাত্রী। আমার জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি একজন ব্লগার উদ্যোক্তা। আমি গান গাইতে , নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে এবং ছাদ বাগান করতে খুব ভালোবাসি। আমি আনন্দময়ী এবং সকলকে নিয়ে হৈহুল্লর ও একসঙ্গে সকলকে নিয়ে মজা করতে পছন্দ করি। আমি সকলের দুঃখে দুঃখী এবং সকলের সুখে সুখী
ওয়ালাইকুম আসসালাম। আপনার পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো। গ্রামের বাজারের অভিজ্ঞতা এমনই সুন্দর হতে পারে, তা আপনার বর্ণনা পড়ে আরও ভালোভাবে অনুভব করতে পারলাম। যমুনা নদীর পাড়ে সময় কাটানো, টাটকা শাকসবজি আর দুধের চায়ের মজা নেওয়ার বিবরণগুলো খুবই মনোমুগ্ধকর। আপনার পোস্টগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ছোটখাটো আনন্দগুলো মনে করিয়ে দেয়। আশা করি, ভবিষ্যতেও এমন চমৎকার অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন। আপনার এবং আপনার পরিবারের সবার জন্য দোয়া রইলো।
[@redwanhossain]
আপনার মন্তব্য পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।
বাহ গ্রামে বাজারে গেলেন ভালো লাগবে আপু। সত্যি আমারও অনেক ভালো লাগে গ্রামীণ বাজার থেকে টাটকা শাক সবজি কিনতে। আপনারা যমুনা নদীর পাড়ে গেলেন ঘুরতে। আর বাজারে গেলেন সিএনজির জন্য। সেই সুযোগে অনেকগুলো সবজি নিয়ে নিল আপনার আম্মু। মুহূর্তটি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন অনেক ভালো লেগেছে আপু।
সুন্দর ও উৎসাহ মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
গ্রামের বাজার গুলোতে ফরমালিনমুক্ত টাটকা শাকসবজি কিনতে পাওয়া যায়। গ্রামের বাজারে ঢুকে অনেক কিছুর ফটোগ্রাফি করেছেন এবং তা আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন বেশ ভালো লাগছে। খাঁটি গাভীর দুধ দিয়ে চা খেয়েছেন জেনে আরো বেশি ভালো লাগলো আসলে গরুর দুধের চা খেতে বেশ মজা হয়। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার জন্য।