রেসিপি || কচু পাতা দিয়ে মসুরের ডাল
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা পরিবার নিয়ে ভালো ও সুস্থ আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেশ ভালো ও সুস্থ আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে আবারও রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের রেসিপি হলো কচু পাতা দিয়ে মসুরের ডাল।
এই রেসিপিটি আমার আম্মু প্রায় সময় বানিয়ে থাকে। আমার কাছে এই রেসিপিটি অনেক বেশি ভালো লাগে। তাই ভাবলাম আজ আপনাদের সাথে রেসিপিটি একটু শেয়ার করে নেওয়া যাক। তবে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আমি এই রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করেছি তা দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণসমূহ | পরিমাণ সমূহ |
---|---|
কচু পাতা | ২৫০ গ্রাম |
মসুরের ডাল | ২৫০ গ্রাম |
কাঁচা মরিচ | ৮ টি |
পিয়াজ | ৫ টি |
রসুন বাটা | ১ চামুচ |
জিরা বাটা | ১/২ চামুচ |
তেজপাতা | ৩ টি |
হলুদ গুঁড়ো | ১/২ চামুচ |
রসুন কুচি | ১ টি |
লবণ | পরিমাণ মতো |
তেল | পরিমাণ মতো |
আসসালামু আলাইকুম। আমি আফরিন খান উপমা। আমি রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলায় বসবাস করি। আমি ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারের মানবিক বিভাগের একজন ছাত্রী। আমার জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি একজন ব্লগার উদ্যোক্তা। আমি গান গাইতে , নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে এবং ছাদ বাগান করতে খুব ভালোবাসি। আমি আনন্দময়ী এবং সকলকে নিয়ে হৈহুল্লর ও একসঙ্গে সকলকে নিয়ে মজা করতে পছন্দ করি। আমি সকলের দুঃখে দুঃখী এবং সকলের সুখে সুখী
কচুপাতা দিয়ে মসুর ডাল আমার শ্বাশুড়ির হাতের রান্না । ভীষণ চমৎকার রান্না করতেন। আপনি ভীষণ চমৎকার সুন্দর করে কচুপাতা দিয়ে মসুর ডাল রান্না করেছেন এবং তা আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
কচু পাতা দিয়ে মসুরের ডাল দেখে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। এত মজাদার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আসলে এই রেসিপি অনেক পুষ্টিগুণে ভরপুর ছিল।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
কচুপাতার রেসিপি আমার অনেক পছন্দের। তবে কচু পাতা দিয়ে মুসুরির ডালের এ ধরনের রেসিপি কখনো খাওয়া হয়নি। আর কচুপাতার রেসিপিতে কখনো তেজপাতার ব্যবহার করা হয়নি। যাইহোক, রেসিপিটি দেখে অনেক ভালো লাগলো। নতুন ধরনের একটি রেসপি শিখতে পারলাম। একদিন বাসায় ট্রাই করবো আপু।
আপু একদিন বাসায় ট্রাই করে খেয়ে দেখবেন ।কেমন লাগলো আমাকে জানাবেন। ধন্যবাদ আপু।
আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। কচু পাতা দিয়ে মসুরের ডালের রেসিপিটি অত্যন্ত সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর মনে হচ্ছে। এই ধরনের ঐতিহ্যবাহী রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এটা একটি ঐতিহ্যবাহী রেসিপি। এই রেসিপি খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বেশ দারুণ একটি রেসিপি তৈরি করে দেখিয়েছেন আমাদের। আমার সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করে দেখানোর জন্য ধন্যবাদ। এভাবে কোনদিন ডাল আর শাক দিয়ে রান্না করা হয়নি। তবে অনেক আগে আমার আম্মা রান্না করত। বেশ সুন্দর হয়েছে আপনার আজকের এই রেসিপি তৈরি করা। দেখে খুবই ভালো লেগেছে আমার।
ভাইয়া সময় পেলে একবার রান্না করে খেয়ে দেখবেন আশা করি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
কচু পাতা দিয়ে মসুর ডাল এভাবে কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে বেশ খেতে মন চাইছে। রেসিপি দেখে বুঝাই যাচ্ছে খুব সুস্বাদু হয়েছিল। আপনি খুব সুন্দর ভাবে প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ এমন একটি আর্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু একবার হলেও খেয়ে দেখবেন আশা করি ভালো লাগবে। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
কচু শাক আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার। মসুর ডাল দিয়ে কচু শাকের খুবই মজার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। তবে কচু শাক রান্নায় তেজপাতা কখনো দেওয়া হয়নি। মনে হচ্ছে ফ্লেভারটা ভালোই হবে। অসাধারণ একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। আপনার তৈরি করা রেসিপি দেখে আমিও এই রেসিপি শিখে নিলাম।
একবার আমার মত করে রান্না করে খেয়ে দেখবেন আশা করি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
কচুর শাক আমার খুব পছন্দের । ছোটকালে আমার আম্মা বলতেন, কচুর শাক খেলে চোখের জ্যোতি বাড়ে। শুটকি দিয়ে কচুর শাক রান্না করলে খেতে বেশ ভালো লাগে। আপনার কচু পাতা দিয়ে মসুরের ডাল রেসিপি বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপু রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আপনার আম্মা একদম ঠিক বলেছেন কচুর শাক খেলে চোখের জ্যোতি বাড়ে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু আপনি কচু পাতা দিয়ে মসুরের ডালের দারুণ রেসিপি পোস্ট উপহার দিলেন। কচু পাতায় আছে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন। আমি কচুপাতা বেশি করে খাওয়ার চেষ্টা করি। তবে কচু পাতা দিয়ে মুসুরের ডালের এ ধরনের রেসিপি কখনো খাওয়া হয়নি। আপনি রন্ধন প্রণালী খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে পোস্ট করেছেন। একদিন তৈরি করে খাওয়ার চেষ্টা করবো, আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু ভালো থাকবেন।
সুন্দর ও উৎসাহমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন কচু পাতা দিয়ে মসুরের ডাল ঘন্ট রেসিপি তৈরি করে। আসলে কচুর পাতা ঘন্ট করলে খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আসলে গ্রামাঞ্চলের দিকে এই কচুর শাক বেশি দেখা যায় তবে শহর অঞ্চলের মানুষ বেশির ভাগই কিনে খেয়ে থাকে। অনেকগুলো উপাদান দিয়ে এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ রেসিপি তৈরির প্রত্যেকটি স্টেপ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া গ্রামে কচু পাতা বেশি পাওয়া যায় এবং শহরে কিনে খেতে হয়। আমি কচু শাক কিনি নি গ্রাম থেকেই এনেছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।