মামির আকস্মিক মৃত্যু "১০ শতাংশ লাজুক শিয়ালের জন্য বরাদ্দ"
মানুষের মৃত্যু কখন আসে তা বলা যায় না। আমরা আমাদের জীবদ্দশায় একদিন না একদিন মারা যাবো এটাই বাস্তব সত্য।এই বাস্তব সত্য আমাদের চলাফেরা করা উচিত। মৃত্যুর পরবর্তী জীবন নিয়ে সর্বদা চিন্তাভাবনা করা উচিত। কারণ আমাদের দুনিয়ার জীবন বাদেও দীর্ঘ একটি জীবন করে রয়েছে। জীবনের শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই। সে জীবনে পরকাল। দুনিয়ার জীবন শেষ করে সবাইকে একদিন না একদিন পরকালের জীবনে পদার্পণ করতে হবে।
কিছুদিন আগে গ্রামের বাড়িতে বাবা-মার সঙ্গে ঈদ করে রংপুরের বাসায় ফিরেছি। ফিরে আসার পর গোবিন্দগঞ্জ যাওয়ার ইচ্ছা ছিল না। ইচ্ছা না থাকলেও এবারে গোবিন্দগঞ্জ আসতে হল। কারনটা হল আমার মামীর মৃত্যু। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে শুনি আমার মামী ইন্তেকাল করেছেন। মামির মারা যাওয়ার খবর শুনে আমাদের পুরো পরিবারের সকল সদস্যরা মিলে গোবিন্দগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। প্রত্যেকবার রংপুর থেকে গোবিন্দগঞ্জ ফিরে আসার সময় মনের মধ্যে বেশ আনন্দ কাজ করতো। কিন্তু এবারে সম্পূর্ণ প্রেক্ষাপট ভিন্ন ছিল। সবার মধ্যে শোকের ছায়া ছিল। বিশেষ করে আম্মুর অবস্থা বেশি খারাপ ছিল। মেয়ে মানুষরা কান্নাকাটি একটু বেশিই করে। বাসের মধ্যে আসার সময় বাবা আমার মাকে সান্তনা দিতে দিতে নিয়ে আসছিলেন।আমি এবং আমার ছোট ভাই একত্রে ছিলাম। অন্যদিন আমরা গল্প করতে পারতে বাসে করে ভ্রমণ করলেও আজকে কারও মধ্যে কোনো কথা ছিল না। আমার মামী আমাকে এবং আমার ছোট ভাইকে খুব ভালোবাসতেন।
আমরা সকালবেলা খবর পাওয়ার পর রওনা হই। গোবিন্দগঞ্জে এসে পৌঁছেছি ১১ টায়। এসে দেখি পুরো বাড়ি শোকে কাতর। মামীর বাবার বাড়ি থেকে অনেক লোকজন এসেছেন। মামির অকাল মৃত্যু তার বাবার বাড়ির লোকজনেরা কেউ মেনে নিতে পারেননি।মামীর বাবা-মা খুব কান্নাকাটি করছিলেন। তাদের সঙ্গে মামীর ছেলেমেয়েরাও বেশ ভালই কান্না জুড়ে দিয়েছিল। সকলের কান্না দেখে আমার আম্মুও কান্নাকাটি শুরু করে দিল। আমার মনের মধ্যে খুব খারাপ লাগা কাজ করছিল।ঈদের মধ্যেই কত সুন্দর সময় কাটিয়েছি সবাই মিলে।আর কদিন বাদে এখন বাড়িতে সকলের কান্নায় মাতোয়ারা। আমি অবশ্য তেমন একটা বেশি কান্নাকাটি করতে পারিনা। আসরের নামাজের পরে জানাযা সম্পন্ন করা হবে।মাইক দিয়ে সম্পূর্ণ এলাকা জানাযা নামাযের সময়সূচী প্রচার করছিল। দূরদূরান্ত থেকে সকল আত্মীয়-স্বজন ৩ টার মধ্যে হাজির হলো।পরবর্তীতে নির্দিষ্ট সময়ে জানাজার নামাজ এবং দাফন কার্য সম্পন্ন করা হলো।
আমাদের সকলের উচিত দুনিয়ার জীবনকে প্রাধান্য না দিয়ে পরকালের জন্য কিছু করে যাওয়া। মৃত্যু কখন কার জীবনে আসে তা বলা খুব মুশকিল। আমাদের সকলের উচিত মৃত্যুকে স্মরণ রেখে সব সময় ইবাদত-বন্দেগী এবং ভালো কাজের মধ্যে নিজেকে নিয়োজিত রাখা।
ধন্যবাদ সবাইকে
@abusalehnahid
ফটোগ্রাফি | আবু সালেহ নাহিদ |
---|---|
ডিভাইস | OPPO A-12 |
ছবি তোলার স্থান | লোকেশন |
ইন্না নিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলিহি রাজিউন। আপনার মামির মৃত্যুর দিনেও বল্গ করলেন? 😶 সবাইকে মরনের স্বাদ গ্রহন করতে হবে। আল্লাহ্ আপনার মামীকে জান্নাতবাসী করুন। আমিন।
একদমই ভাই আপনি ঠিক বলেছেন আমাদের প্রত্যেক জীবের ই একদিন মৃত্যুবরণ করতে হবে। সেটা আমরা যে দিন করিনা কেন। আপনার মামির মৃত্যুর কথা শুনে খুবই খারাপ লাগলো। তার জন্য অনেক দোয়া রইল তাকে যেন আল্লাহ জান্নাত।বাসি করুক আমিন।
জন্মিলে মরিতে হবে
অমর কে কোথা কবে।
মৃত্যু এমন এক সত্য যেটা আমাদের মেনে নেওয়াই লাগবে হয়তো দুইদিন আগে আর পরে এই যা। আপনার মামির মৃত্যুর খবর শুনে বেশ খারাপ লাগল। আল্লাহ যেন উনাকে বেহেশতে নসিব করেন।
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন
আল্লাহ যেন আপনার মামীকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন আল্লাহর কাছে সেই প্রার্থনা করি।