সৎ পথে উপার্জন করা কোন পেশায় ছোট নয় (১০ শতাংশ বরাদ্দ লাজুক শিয়ালের জন্য)
আমরা আমাদের জীবনের প্রতি মুহূর্তে অনেক ধরনের মানুষের সঙ্গে সময় কাটায় এবং অনেক জায়গায় চলাফেরা করি। আমাদের চলার পথে বিভিন্ন পেশার এবং বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ হয়। বিভিন্ন সময়ে চলার পথে নানান ধরনের মানুষের সঙ্গে পথ চলতে হয়। সকালবেলা বাসা থেকে বের হয়ে স্কুল কলেজ কিংবা অন্য কোন কাজে রাস্তায় বের হলেই রিকশায় করে রওনা দেই। আমার চলার পথে জুতা ছিড়ে গেলে মুচির কাছে জুতা সেলাই করতে দেই। এছাড়াও আমাদের বাসস্থান নির্মাণে সহায়তাকারী রাজমিস্ত্রি,কাঠমিস্ত্রি সহ আমাদের আশেপাশে নানান পেশায় শ্রমজীবী মানুষ রয়েছেন।
আমরা কি আদৌ সকল পেশার মানুষদের প্রাপ্য সম্মানটুকু প্রদান করছি। আমরা কিছু কিছু পেশার মানুষদের পেশাকে সম্মানের চোখে দেখেছি। এই পেশার মানুষ গুলো হলেন সমাজের বুদ্ধিজীবীরা। অবহেলা করছি সমাজের শ্রমজীবী শ্রেণীর মানুষদের। কোন বিষয়ে সামান্য ত্রুটি পেলেই তাদের উপর রাগ দেখাচ্ছি কিংবা অত্যাচার করছি।অথচ আমাদের প্রত্যেকের উচিত ছিল সমাজের প্রতিটি পেশার মানুষদেরকে যথাযথ সম্মান প্রদান করা। সমাজের এই মানুষগুলোর মধ্যে এই বিভেদ কিংবা স্তরভেদ সৃষ্টি করছি কারা? আমাদের বুদ্ধিজীবী শ্রেণীর মানুষজন রাই এর জন্য দায়ী। তারা তাদের নিজেদের পেশাকে উপরে নিয়ে যেতে শ্রমজীবী শ্রেণীর মানুষদের নিচু চোখে দেখে। তাদেরকে হীনমন্যতায় ভোগায়। যাতে তারা সব সময় নিজেদের নিচু ভাবে। নিজেদেরকে কখনোই যাতে তারা তথাকথিত উঁচু শ্রেণীর লোকজনদের সমকক্ষ না মনে করে।তাদেরকে যাতে সব সময় "স্যার" "স্যার" বলে সম্বোধন করেন।
আমি ধিক্কার জানাই এই সিস্টেমকে। তুমিও মানুষ, আমিও মানুষ এবং শ্রমজীবী শ্রেণীর ওই লোকটিও মানুষ। তাহলে মানুষের মধ্যে কেন বিভেদ থাকবে। সমাজের বিভিন্ন পেশার মানুষদের মধ্যে এই স্তর ভেদ আমি সিদ্ধ হস্তে বিনাশ করতে চাই। বরং সমাজের এই ভুল সিস্টেমের কারণে আমরা যাদেরকে বেশি সম্মানিত করছি তারাই সমাজের উন্নতির পথে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সমাজের বড় বড় দুর্নীতিগুলোর পেছনে তাদের হাত সবচেয়ে বেশি থাকে। এদেশের শিক্ষাখাতে উন্নয়ন না হওয়ার পেছনে রয়েছে বুদ্ধিজীবী শ্রেণীর মানুষদের দুর্নীতি। দেশের বড় বড় রাজনীতিবিদ কিংবা মন্ত্রীরা হলেন বুদ্ধিজীবী শ্রেণীর মানুষ।আর দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য সরকার কর্তৃক ঘোষিত বাজেট গুলোর বেশিরভাগ নিজের পকেট এ ভরাচ্ছে। বুদ্ধিজীবী শ্রেণীর মানুষদের দুর্নীতির কারণে দেশের উন্নয়ন থমকে রয়েছে। শ্রমজীবী মানুষদের প্রদান করা করগুলো তারাই লুটেপুটে খাচ্ছে।
এর চেয়ে বরং আমি সম্মান জানাই খেটে খাওয়া দিনমজুর, কৃষক,রিকশাচালক, তাঁতি,কামার,কুমোর জেলে ইত্যাদি খেটে খাওয়া মানুষদের। তারা দেশের মানুষদের সবসময় উপকার করছেন। তাদের পেশার মধ্যে নেই কোনো দুর্নীতি, নেই কোনো অনিয়ম।তাদের উপার্জন করা অর্থের মধ্যে ভেজাল নেই। প্রকৃত সম্মানের প্রধান হকদার তো এরাই। সুতরাং আমাদের এই তথাকথিত সিস্টেম থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সমাজের স্তর ভেদ দূরীকরণ করে সকল পেশার মানুষদের সম্মানের চোখে দেখতে হবে।
আপনার কথার সাথে আমিও একমত খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে কোনো দুর্নীতি নেই। তারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উপার্জন করে। কিন্তু যত দুর্নীতি সব দেখা যায় বড় বড় পদে যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে। আপনার পোষ্টটি পড়ে মনে হল যে আপনি খুবই বাস্তবসম্মত একটি বিষয় নিয়ে পোষ্ট করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সেজন্য।
গঠণমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
জি ভাইয়া আমিও আপনার সাথে একমত। কোন কাজই ছোট নয় যদি সেটা সৎ পথে হয়।
আর প্রকৃতপক্ষে ছোট থেকেই বড় দিকে যাওয়া যায়।
যদি বড় বড় মনীষীদের দিকে তাকাই তা হলেও এটা লক্ষ্য করি যে তারাও কিন্তু একদিন ছোট থেকেই বড় হয়েছেন আর আজকে আমাদের মাঝে অমর হয়ে আছেন
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
খুব সুন্দর লিখেছেন ভাই।আমাদের উচিত সকল পেশার মানুষদের সম্মান প্রদর্শন করা।কোনো পেশায় ছোট নয়।স্তর ভেদ দূর করতে হবে।এই ধরনের বাস্তবভিত্তিক লেখা থেকে আমাদের সবাইকে শিক্ষা নেয়া দরকার।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
শোধআপনি বাস্তব বিষয়গুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপনা করেছেন। আমাদের সকল পেশার মানুষদেরকে সম্মানের সাথে দেখা উচিত।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া সত্যিই কোন কাজ ছোট নয়, যদি তা সৎ পথে রোজগার হয়। অসৎ পথে যদি কোটি টাকা রোজগার হয় তাহলে তার কোন মূল্য নেই। আমাদের সবারই উচিত সকল প্রকার পেশার মানুষ কে সম্মান করা এবং সকল পেশাকে মূল্য দেওয়া। তাহলে একজনকে দেখে আরেকজন শিক্ষা পাবে। আপনার পোস্টটি অনেক মূল্যবান ছিল অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আমার মনে হয় সৎ পথে উপার্জন এর চেয়ে উত্তম উপার্জন কোন কিছু হতে পারে না। আপনি সুন্দর একটি পোষ্ট লিখেছেন আজকে যা দেখে অনেক কিছু শিখতে পারলাম। সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনারা মন্তব্য করার জন্য।
খুব সুন্দর একটা বিষয় তুল ধরেছেন ভাইয়া, খুব ভালো লেগেছে , আসলেই সৎ উপার্জনে কোনো কর্মই ছোট না। সৎ উপার্জনে একটা আত্মতৃপ্তি থাকে। আর যারা এই সৎ উপার্জনে যুক্ত তাদেরকে অবশ্যই সম্মান করা উচিৎ আমাদের। আপনার তুলে ধরা বিষয় টা আমার খুব ভালো লেগেছে ভাই।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।